লাকাজেত-অবামেয়াংয়ে দশ বছর পর 'টানা দুই' আর্সেনালের
অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেত ও পিয়ের এমেরিক অবামেয়াংয়ের দুই গোলে বার্নলিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গানারদের স্ট্রাইকার জুটিকে গোল পেতে সাহায্য করেছেন দানি সেবায়োস। পূর্ণ অভিষেকে আর্সেনালের জার্সিতে প্রথম ম্যাচে দুই অ্যাসিস্ট করা মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হয়ে গেছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। আর আর্সেনালও ২০০৯-১০ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ শুরু করল টানা দুই জয়ে।
এমিরেটসে শুরুটা দারুণ ছিল আর্সেনালের। ১৩ মিনিটে কর্নার থেকে গোল পেয়ে যান অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেত। নিচু কর্নার কিক থেকে সিক্স ইয়ার্ড বক্সের কোণায় বল পেয়েছিলেন, পেছনে ছিলেন দুই ডিফেন্ডার। টার্ন নিয়ে এরপর নেয়ার পোস্টে শট করেন লাকাজেত, গোলরক্ষক পোপের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জড়ায় জালে। লাকাজেত, অবামেয়াংদের সঙ্গে নেমেছিলেন জো উইলকক ও রেইস নেলসন- এই দুইজনই শুরুতে আসার আলো দেখালেও পড়ে মিলিয়ে গেছেন।
শুরুতে এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধটা স্বস্তিতে কাটেনি আর্সেনালের। বার্নলি বেশ চাপেই রেখেছিল তাদের। ৪৩ মিনিটে বার্নলির সমতায় ফেরাটাও তাই প্রাপ্যই ছিল তাদের। বাম দিক থেকে করা ক্রস ডিবক্সের ভেতর হুট করেই ফাঁকায় পেয়ে যান অ্যাশলি বার্নস। আর্সেনালের জার্সিতে প্রথমবার নামা ডেভিড লুইজের অবশ্য দায় আছে কিছুটা, গুন্দোজি আর লুইজ দুইজনের কেউ বার্নসকে পাহারায় রাখেননি।
বার্নস সেখানে থেকে বার্নড লেন ফাঁকি দিয়ে বার্নলি ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।
বিরতির আগে গোলটা আর্সেনালকে পুড়িয়েছে বেশ। গোল হজমের পরপরই অফসাইডে একটি গোলও বাতিল হয়েছে আর্সেনালের। বিরতির পর বদলি করাতে তাই সময় নেননি উনাই এমেরি। নিকোলাস পেপেকে নামিয়ে দিয়ে 'নতুন আর্সেনালের' পুরোটাই দেখার সুযোগ করে দেন তিনি এমিরেটসকে।
নতুনদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন অবশ্য দানি সেবায়োস। প্রথমার্ধে আর্সেনালের হয়ে সবচেয়ে বেশি পাস দিয়েছেন তিনি, সবচেয়ে বেশি নির্ভুল পাসও তাঁর। অ্যাটাকিং থার্ডেও ছিলেন সমান রঙিন। লাকাজেতের গোলে কর্নারটার ছিল সেবায়োসের নেওয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনালের ফিরে আসার নেতৃত্বও দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ধারে খেলতে আসা সেবায়োস। ৬৩ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে ভালো শট করেছিলেন, কিন্তু পোপ ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে। পরের মিনিটেই সেবায়োস মিডফিল্ড থেকে বলের পজিশন কেড়ে নেন বার্নলির কাছ থেকে, এরপর পাস বাড়ান পিয়ের এমেরিক অবামেয়াংকে। তিনি আরও কয়েক গজ দৌড়ে কাট করে ভেতরে ঢুকে ডিবক্সের বাইরে থেকে নেয়ার পোস্টে বটম কর্নারে বল জড়ান জালে।
তাতে স্বস্তি ফেরে এমিরেটসেও। শেষদিকে সেবায়োসের বদলি নামা তোরেয়েরার শট পোপ ঠেকিয়ে না দিলে কাজটা আরেকটু সহজ হতে পারত আর্সেনালের। সেবায়োস যখন মাঠ ছেড়েছেন ততক্ষণে তিনি ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বলে টাচ, সবচেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি, সবচেয়ে বেশি পাস অ্যাটেম্পট নেওয়া খেলোয়াড়। লাকাজেত, অবামেয়াংদের ছাপিয়ে তাই ম্যাচের বড় নায়ক অণুর্ধ্ব-২১ ইউরোর সেরা খেলোয়াড় সেবায়োসই।