• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    সাউদাম্পটনে ডুবতে ডুবতেও ডুবল না লিভারপুল

    সাউদাম্পটনে ডুবতে ডুবতেও ডুবল না লিভারপুল    

    সেন্ট মেরিস স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত সাউদাম্পটনকে হারাতে বেশ বেগ পেতে হলো লিভারপুলকে। দুই অর্ধে দুই গোল করে ম্যাচের বিশ মিনিট বাকি থাকতে জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল ইউর্গেন ক্লপের দল। তবে গোলরক্ষক আদ্রিয়ান নায়ক থেকে ফ্লপ বনে গেলে চাপে পড়ে যায় একটা সময় লিভারপুল, এরপর সাউদাম্পটন স্ট্রাইকার ড্যানি ইংসও মিস করে যান সহজ সুযোগ। তাই শেষ পর্যন্ত সাউদাম্পটনকে ২-১ গোলে হারিয়ে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল। 



    মৌসুমে প্রথমবারের মতো সাদিও মানে, মোহাম্মেদ সালাহ ও রবার্তো ফিরমিনোদের একসঙ্গে নামিয়েছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। দ্বিতীয় পছন্দের গোলরক্ষক আদ্রিয়ানকে নিয়ে সংশয় ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিও ছিলেন গোলের নিচে। এরপরও অবশ্য প্রথমার্ধটা গোলশূন্য হওয়ার দিকেই এগুচ্ছিল। লিভারপুলকে হতাশ করে উলটো চোখ রাঙাচ্ছিল সাউদাম্পটন। কর্নার থেকে মায়া ইয়োশিদার হেড দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়ে আদ্রিয়ান শুরুতেই রক্ষা করেন লিভারপুলকে। পরে স্ট্রাইকার চে অ্যাডামসও হেডে অল্পের জন্য লক্ষ্য মিস করে গেলে আরেকবার বেঁচে যায় লিভারপুল। 

    তবে অস্বস্তি জেঁকে বসতে দেননি মানে। মৌসুমের গোলের খাতা খুলেছিলেন সুপার কাপে জোড়া গোল করে। প্রিমিয়ার লিগে একাদশে নেমেই গোল করলেন তিনি। ৪৬ মিনিটে বাম প্রান্তে পাওয়া একটি থ্রো ইন গোলের উৎস। অ্যান্ড্রু রবার্টসন ও জেমস মিলনারের ওয়ান টু এর পর মানে পাস পান বাম দিকে ডিবক্সের মাথায়। কাট করে কিছুটা ঢোকেন, এরপর কোণাকুণি শটে চোখ ধাঁধানো এক ফিনিশে গোল করে এগিয়ে নেন লিভারপুলকে। 

    পুরোপুরি স্বস্তি পেতে লিভারপুলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭১ মিনিট পর্যন্ত। এর আগে সালাহ ওয়ান অন ওয়ানে অ্যাঙ্গাস গানের সেভের কাছে হার মানেন। আরেকবার মানের স্কয়ার থেকে আড়াআড়ি ফিনিশ করতে গিয়ে অল্পের জন্য ফারপোস্টে লক্ষ্য মিস করে যান ফিরমিনো। 

    ফিরমিনো অবশ্য আফসোস ভোলেন এর কিছু পরেই। সেই মানেই পাস দেন আবার বাম প্রান্ত থেকে, এবার ফিরমিনো ঢুকে যান আরেকটু মাঝামাঝি জায়গায়, ডিবক্সের ঠিক মাথা থেকে নিচু শটে গোল করে স্বস্তি এনে দেন লিভারপুলকে। 

    রবার্টসন লিভারপুলকে তিন গোলের লিডও এনে দিতে পারতেন। তবে গানের দারুণ এক সেভের কাছে হার মানেন তিনি। এরপরের পুরো সময়টাই ম্যাচে ছিল সাউদাম্পটনের দাপট। তাই শেষ দশ মিনিটে লিভারপুলের স্বস্তি সব উবে যায় গোলরক্ষকের অদ্ভুত ভুলে। ভার্জিল ভ্যান ডাইকের ব্যাক পাস পেয়েছিলেন আদ্রিয়ান। ডিবক্সের ভেতর আরেকবার পাস দিতে গিয়ে সামনে থাকা ড্যানি ইংসে বল উপহার দিয়ে বসেন তিনি। প্রথমার্ধেও একইরকম ভুল করে বেঁচে গিয়েছিলেন লিভারপুল গোলরক্ষক। তবে এবার ইংসও আর ভুল করেননি, এক গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনি সাউদাম্পটনকে। 

    লিভারপুল এক গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় ডিবক্সের বাইরে থেকে ভালো শট নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন আদ্রিয়ানকে। শট অবশ্য গিয়েছিল বাইরে দিয়ে। সেই ইংসই ম্যাচের কয়েক মিনিট বাকি থাকতে সাউদাম্পটনের নায়ক হয়ে যেতে পারতেন আরও একবার। ইয়ান ভ্যালেরির ক্রস সিক্স ইয়ার্ড বক্সের মাথায় একেবারে গোলের সামনে এসে পড়েছিল। ইংস ঠিকমতো পা লাগাতে পারলেই হত, তিনি পা ছোঁয়ালেন ঠিকই, কিন্তু যেরকমটা চেয়েছিলেন সেরকম হলো না। সহজ সুযোগ নষ্ট করে তাই আর লিভারপুলকে হতাশাও উপহার দেওয়া হয়নি সাউদাম্পটনের।