• এএফসি কাপ
  • " />

     

    এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে নিখুঁত ফুটবল চান আবাহনী কোচ

    এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে নিখুঁত ফুটবল চান আবাহনী কোচ    

    প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়ার চ্যাম্পিয়ন। আগের তিনবারই এএফসি কাপে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল খেলেছে যারা। গতবার এই টুর্নামেন্টের জোনাল ফাইনালও খেলেছিল এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ। আর এ পর্যায়ের এবারই প্রথম উঠেছে আবাহনী। এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ সাম্প্রতিক ইতিহাসে আবহনীর জন্য সবচেয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ। আবাহনী কোচ থমাস মারিয়া লেমোস অবশ্য এরপরও আশা হারাচ্ছেন না। জোর দিচ্ছেন নিখুঁত হওয়ার দিকে। রক্ষণটা ঠিকঠাক করতে পারলেই আক্রমণে আবাহনী গোল পাবে বলে একরকম নিশ্চয়তাই দিচ্ছেন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ।

    "এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভকে হারাতে হলে আমাদের একদম নিখুঁত ফুটবলটা খেলতে হবে। নিজেদের সেরা ফুটবল খেলতেই হবে। নইলে আসলে ভালো কিছু পাওয়ার আশা করা কঠিন। আমরা যদি রক্ষণ ভালো করতে পারি, রক্ষণে যদি কোনো ভুল না করি, আমি বিশ্বাস করি সে সুযোগে আমরা গোলও করতে পারব।"- ম্যাচের আগেরদিন বাফুফে ভবনে আবাহনীর জন্য আশার কথা শোনালেন লেমোস

    তবে ম্যাচের আগে দল নিয়ে নির্ভারও থাকতে পারছে আবাহনী। আকাশী-হলুদদের সেমিফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে আসায় বড় কৃতিত্ব ছিল আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানির। ঘরোয়া মৌসুম শেষেই তিনি পাড়ি জমিয়েছেন ভারতের চেন্নাইন এফসিতে। তার জায়গায় নতুন একজন ডিফেন্ডারও এনেছে আবাহনী। কিন্তু মিশরীয় ডিফেন্ডার নাসের এইসা নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারছেন না এই ম্যাচ। সেটাও নাকি আবাহনী কোচ জেনেছেন ম্যাচের পাঁচদিন আগে। মামুনুল ইসলাম শেষদিকে এসে পড়েছেন ইনজুরিতে, তার খেলাও অনিশ্চিত।

    তবে এসবকিছু অযুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছেন না লেমোস, "মাসিহ ক্লাব ছেড়ে গেছে, সে এখন অতীত। আর আমরা ভারতেও গিয়েছিলাম ওয়েলিংটনকে ছাড়া। দলে যারা আছে তাদের সবার কাছ থেকেই আমার প্রত্যাশা সমান। এটা আমাদেরই কর্তব্য দল হিসেবে খেলা। এখানে কোনো অযুহাতের সুযোগ নেই।"

    "এই ম্যাচের জন্য আলাদা অনুপ্রেরণার দরকার নেই। এই ম্যাচের যে মাহাত্ম্য সেটাই তো অনুপ্রেরণা। খেলোয়াড়দের জন্য, ক্লাবের জন্য, সমর্থকদের জন্য এমন কী আমার জন্যও এটা বড় ম্যাচ। হ্যাঁ, ওরা বাকিদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী তবে আমরা এখানে এসেছি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এবং ভালো খেলেই এসেছি। আমরাও মোটেই ভীত নই।"

    গতবার লিগে মোট ২৮ গোল হজম করেছে আবাহনী। আর এএফসি কাপের ছয় ম্যাচেও একমাত্র মানাং মার্সিয়াংদির সঙ্গে দুই লেগে ক্লিন শিট রাখতে পেরেছে লেমোসের দল। প্রতিপক্ষ এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের চিত্র পুরো উলটো। এএফসি কাপে ছয় ম্যাচের চারটিতেই ক্লিনশিট তাদের, আর গোল হজম করেছে মাত্র দুইটি। আর পিইংইংয়ে ঘরের মাঠে তারা আরও বেশি অপ্রতিরোধ্য, তাই যা করার  প্রথম লেগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই করতে হবে- এমন একটা ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন আবাহনী কোচ। "আমরা এবার লিগে একটু বেশিই গোল খেয়েছি। এখানে উন্নতি করতে হবে। বাংলাদেশেই আমাদের সুযোগ। ঘরের মাঠে ওরা দুই বছর কোনো ম্যাচ হারেনি।"

    আক্রমণে এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের মূল ভরসা দুই উইং থেকে করা ক্রস। আবাহনীর ফুলব্যাক বনাম এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের উইঙ্গারদের ছোট লড়াইটা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেবে কী না সে প্রশ্নের জবাব ম্যাচের দিন খেলোয়াড়দের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কোচ, "আমরা তো ওদের সব ক্রসই আটকানোর চেষ্টা করব। সেদিনেই মনোযোগ থাকবে।  শুধু ফুলব্যাক নয় সেন্টারব্যাকরাও যাতে সজাগ থাকে সেদিকটায়েও খেয়াল রাখতে হবে। তবে সব তো আর ঠেকানো সম্ভব নয়। দেখা যাক কী হয়!"

    বুধবার সন্ধ্যা ৬.৪৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে প্রথম লেগ খেলতে নামবে আবাহনী।