• এএফসি কাপ
  • " />

     

    ইউটিউব দেখেই আবাহনীকে বধ করতে চায় টুয়েন্টি-ফাইভ

    ইউটিউব দেখেই আবাহনীকে বধ করতে চায় টুয়েন্টি-ফাইভ    

    উত্তর কোরিয়া দেশটাই অজানা, সেখানকার ফুটবল তো আরও অচেনা। এই সমস্যা অবশ্য সমান দুই দলের জন্যই। আবাহনী আর এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ- দুই প্রতিপক্ষকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে শুধু এটুকুই। আবাহনী সম্পর্কে তাই এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ কোচের ধারণার ভিত্তি ইউটিউবের গুটি কয়েক হাইলাইটস।

    উত্তর কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ ঢাকায় এসেছে বেশ আগে ভাগেই। সঙ্গে একজন দোভাষীও এসেছিলেন। এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের আগে সংবাদসম্মেলনে তিনি একরকম সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করলেন। ক্লাবের হেড কোচ ও ইউন সন ও মিডফিল্ডার চো জং ইয়োকের  কথা বললেন নিজেদের ভাষাতেই।

    ইউন সনই জানালেন, আবাহনীর খেলা আগে কখনও দেখেননি। যা দেখেছেন সব ইউটিউবের হাইলাইটসে। সেগুলোর দৈর্ঘ্যও অবশ্য কোনোটাই তিন মিনিটও নয়। এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ কোচ তাই বরং প্রতিপক্ষের কথা না ভেবে জোর দিচ্ছেন নিজের দলের শক্তিমত্তায়, "আবাহনীর খেলা কখনও দেখা হয়নি। যা দেখেছি এএফসির হাইলাইটস। আমরা নিজেদের ট্যাকটিকস ও কৌশলের ওপরই ভরসা রাখতে চাই।"

    এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের আগাগোড়া স্কোয়াডই উত্তর কোরিয়ান ফুটবলারদের দিয়ে তৈরি। বিদেশী খেলোয়াড় নেই কোনো। আবাহনীতে বিদেশী আছেন তিনজন। বিদেশী থাকা না থাকাটা ম্যাচের ফলে প্রভাব রাখবে না বলেই বিশ্বাস তার।

    শুরুতে জানা গিয়েছিল এই স্কোয়াডের আটজন খেলোয়াড় খেলেন জাতীয় দলের হয়ে। সংশয় অবশ্য দূর করেছেন কোচ। জানিয়েছেন আটজন নয়, এখানে জাতীয় দলে খেলা খেলোয়াড় আছেন চারজন। চো জয়ং ইয়োকের সহায়তা নিয়ে পরে দোভাষী নিশ্চিত করেছেন- কোন চুং হিউক, ও  চল, কিম ইউ সং ও আন তে সং- এই চারজন খেলছেন উত্তর কোরিয়া জাতীয় দলে।

    আবাহনী অচেনা হলেও দুই বছর আগে দক্ষিণ এশিয়ায় খেলার অভিজ্ঞতা আছে দলটি। সেবার এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ভারতের বেঙ্গালুরু এফসির কাছে জোনাল সেমিফাইনালে হেরেছিল তারা। এই পরিসংখ্যানটা আবাহনীর জন্য কিছুটা প্রেরণাদায়ক। তাই দুই বছর আগের দলটার সঙ্গে এখনকার দলের কতোখানি পার্থক্য সে প্রশ্ন করা হয়েছিল কোচকে। সনের জবাবটা অবশ্য স্বস্তিদায়ক নয় আবাহনীর জন্য, তিনি জানিয়েছেন দুই বছর আগের দলটার ৬০ শতাংশ খেলোয়াড়ই বদলে গেছে এতোদিন।