'বাউন্সার লড়াই নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া'
জফরা আর্চারের এক বাউন্সার বদলে দিয়েছে এবারের অ্যাশেজের পুরো দৃশ্যপটটাই। লর্ডসে আর্চারের বাউন্সার সামলাতে না পেরে ঘাড়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে না পেরে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান ছিটকে গেছেন তৃতীয় টেস্ট থেকে। ইংলিশ পেসারদের বাউন্সারের জবাব কি বাউন্সার দিয়েই দেবেন অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা? হেডিংলি টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার অবশ্য সাফ জানিয়ে দিলেন, 'বাউন্সার লড়াই' নয়, সিরিজ জিততেই বেশি মনযোগী তাঁর দল।
বাউন্সারে প্রতিপক্ষকে ‘ঘায়েল’ করা নিয়ে ভাবছেন না ল্যাঙ্গার, ‘কে বেশি জোরে বাউন্সার দিতে পারে, এই লড়াইয়ে আমরা যেতে চাই না। আমরা এখানে টেস্ট জিততে এসেছি, কতগুলো বল হেলমেটে লাগাতে পারি এজন্য আসিনি।’
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মানসিকতা আগের মতো অতি আক্রমণাত্মক নেই বলেই মানছেন ল্যাঙ্গার, ‘মাইক আথারটন সেদিন আমাকে একটা কথা বলেছিল। অতীতে অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিল। এখন সেটা আর নেই। সবাই বাউন্সার দেবে, সেটা বোলিংয়ের অংশ। এটা অনেক সময় ব্যাটসম্যানকে আউট করতে সাহায্য করে। কিন্তু এটাকেই মূল অস্ত্র বানাতে চাই না। আমাদের ব্যাটসম্যানরাও ওয়াকা, ব্রিসবেনের মতো বাউন্সি পিচে খেলে অভ্যস্ত। আমরা প্রতিপক্ষের বাউন্সার সামলাতে প্রস্তুত। আমার মনে হয় ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরাও প্রস্তুতিটা নিয়ে রাখছে।’
আর্চারের বোলিং এবারের অ্যাশেজে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলেই জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। ল্যাঙ্গারও তাঁর সাথে একমত, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানদের আউট করার জন্য তারা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। এই লড়াইয়ে আর্চার অবশ্যই নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সে কতটা জোরে বল করতে পারে সেটা আমরা আগের টেস্টে দেখেছি। তাই আমরা জানি আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। সেটার জন্য সবাই প্রস্তুত। প্রস্তুত না হয়ে উপায়ও নেই, তাহলে তো আমরা সিরিজ জিততে পারব না!’
আর্চারকে কি সামলাতে পারবেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা?