পাকিস্তানের হেড কোচের পদে আবেদন করেছেন মিসবাহ
পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ পদে অফিশিয়ালি আবেদন করেছেন সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। এর আগে আবেদন না করলেও পিসিবি প্রস্তাব দিয়েছিল তাকে। কোচ হওয়ার ইচ্ছায় পিসিবি ক্রিকেট কমিটির পদ থেকেও পদত্যাগ করছেন তিনি। হেড কোচের অনুপস্থিতিতে লাহোরে ক্রিকেটারদের ট্রেনিং-ক্যাম্প পরিচালনার দায়িত্ব আছে তার ওপর।
মিকি আর্থারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার পর কোচের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পিসিবি। সেখানে যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে কমপক্ষে লেভেল-২ কোচিংয়ের স্বীকৃতি ও সংশ্লিষ্ট পদে তিন বছরের অভিজ্ঞতার কথা। প্রথমটি থাকলেও দ্বিতীয়টি নেই মিসবাহর, তার অবসর নেওয়ারই তিন বছর হয়নি এখনও। তবে মিসবাহর ক্ষেত্রে এ নিয়ম শিথিল করবে পিসিবি, গুঞ্জন এমনই।
অবশ্য মিসবাহর কোচ হিসেবে নামা উঠে আসার পর থেকে আলোচনায় এসেছে ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’ বা ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’-এর ব্যাপার। আর্থার পাকিস্তানের হয়ে কাজ চালিয়ে যাবার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন পিসিবির ক্রিকেট কমিটির কাছে দেওয়া রিপোর্টে, যে কমিটিতে ছিলেন মিসবাহ। সেই কমিটিই আর্থারের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার প্রস্তাব দিয়েছিল। আর্থারের সঙ্গে ব্যাটিং কোচ গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, বোলিং কোচ আজহার মাহমুদ ও ট্রেইনার গ্রান্ট লুডেনের চুক্তির মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এদের কারও চুক্তি নবায়ন করা হবে কিনা, সেটি এখনও নিশ্চিত করেনি পিসিবি। আর্থার ও ফ্লাওয়ার কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন।
২৬ আগস্ট শেষ হয়ে গেছে হেড কোচের পদে আবেদনের সময়। মিসবাহ বলেছেন, পাকিস্তানের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সবারই, “পাকিস্তানের ভবিষ্যত হেড কোচ হিসেবে আমার নাম দেখাটা চমকপ্রদ, তবে ব্যাপারটা হলো, আমি আজ (আবেদনের) সিদ্ধান্ত নিয়েছি”, ২৬ তারিখ বলেছেন মিসবাহ। “এ পদে যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা শক্ত হবে, সেটি জেনেই আমি আবেদন করেছি। ক্রিকেটের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজের একটিতে আরও কয়েকজন বেশ হাই-প্রোফাইল ও যোগ্য লোক আবেদন করবেন বলেই আমি জানি।”