'সঠিকভাবে রিভিউ ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে অস্ট্রেলিয়া'
প্যাট কামিন্সের বলে ওই রিভিউটা না নিলেই বদলে যেত এবারের অ্যাশেজের পুরো চিত্র। টিম পেইনের সেই সিদ্ধান্তেই কপাল পুড়েছে অস্ট্রেলিয়ার। নাথান লায়নের বলে বেন স্টোকসের বিপক্ষে যে রিভিউটা নিলে জিতে যেত অস্ট্রেলিয়া। হেডিংলি টেস্টের পর রিভিউ নেওয়া নিয়ে কম সমালোচনা শুনতে হয়নি পেইনকে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টের আগে স্পোর্টস ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক পত্রিকাকে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বলেছেন, রিভিউ যেন ঠিক সময়ে ও সঠিকভাবে নেয় অস্ট্রেলিয়া, সেই চেষ্টাতেই আছেন তিনি।
লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে পড়েছিল কামিন্সের বলটা। সেই বলে নিজেদের শেষ রিভিউটা নষ্ট করেন পেইন। এরপর লায়নের বলে নিশ্চিত আউট দেখালেও রিভিউ না থাকার কারণে হতাশায় ডুবতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। শেষ পর্যন্ত এক উইকেটে জয় নিয়েই সিরিজে সমতা এনেছে ইংল্যান্ড।
শুধু হেডিংলি নয়, সিরিজজুড়েই রিভিউ নেওয়াতে সাফল্য পায়নি অস্ট্রেলিয়া। মোট ২৩ বার রিভিউ নিয়েছেন তারা, এর মাঝে নষ্ট হয়েছে ১৪টি, আম্পায়ার্স কল হয়েছে তিনটি। মাত্র ছয়বার নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে আম্পায়ারদের। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকে পেইনের রিভিউ রেকর্ডও খুব একটা ভালো নয়। পেইনের নেওয়া ৬১ রিভিউয়ের মাঝে ৪৮টিই নষ্ট হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৭৮.৬৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই অসফল পেইন।
কীভাবে রিভিউয়ে আরও সফল হওয়া যায় সেই ব্যাপারেই ভাবছেন পেইন, ‘এই পদ্ধতির সুফল পাওয়ার জন্য সব চেষ্টাই করা হচ্ছে। ১৫ সেকেন্ডের মাঝে কীভাবে মাঠের অন্যদের থেকে পরামর্শ নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় সেটাই মূল লক্ষ্য। এটা খুবই কঠিন কাজ, কারণে এখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক থাকে। তবে এই ক্ষেত্রটায় উন্নতির অনেক জায়গা আছে, আমরা সেটা নিয়েই কাজ করছি।’