জাপানের কাছে উড়ে গেল বাংলাদেশ অ-১৬ মেয়েরা
ফুলটাইমঃ জাপান অ-১৬ ৯-০ বাংলাদেশ অ-১৬
দুই বছরে তাহলে কী উন্নতি হলো বাংলাদেশের? এখন এ প্রশ্নটা তুলতেই পারেন আপনি। গতবার এই জাপানের কাছে ৬-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৬ দলের মেয়েরা। এরপর অবশ্য বাংলাদেশ বদলেছে, জাপান বদলেছে আরও বেশি। এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপেএবার জাপান গুণে গুণে বাংলাদেশের জালে বল পাঠাল নয়বার। আর বাংলাদেশ শূন্যই।
গ্রুপ 'এ' এর প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক থাইল্যান্ডের কাছে হেরে শুরুটাই বাজে হয়েছিল বাংলাদেশের। সে ম্যাচে অবশ্য কিছু সুযোগও পেয়েছিল বাংলাদেশ। সুযোগ হাতছাড়ার মাসুল গুণে শেষ পর্যন্ত খালি হাতে ফেরা। কিন্তু জাপানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দাঁড়াতেই পারেনি। ম্যাচের কিক অফ থেকেই ওঠা আক্রমণেই বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিয়েছিল জাপান। ১ মিনিটে প্রথম গোল ডিফেন্ডার মানাকা হায়াশির। ডিবক্সের বাইরে থেকে করা শট বারপোস্টে লেগে ঢুকে যায় ভেতরে। ম্যাচের পাঁচ মিনিট না যেতেই সেই ব্যবধান হয়ে গেল ২-০।
মনোবল হারিয়ে এরপর বাংলাদেশ ধুঁকেছে কেবল। প্রথমার্ধে ৫-০ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ইচ্ছাটাই মরে যাওয়ার কথা যে কোনো দলের। বাংলাদেশের মেয়েদের ক্ষেত্রেও বিপরীত কিছু হয়নি। জাপান আক্রমণে দুর্দান্ত তো ছিলই, সঙ্গে বাংলাদেশে ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষকের ভুলগুলো হারের ব্যবধানটা অস্বস্তিকর করেছে শুধু।
গোলরক্ষক রুপনা চাকমার দুর্বলতা তার উচ্চতা। তার পুরো ফায়দা লুটেছে জাপান। নয় গোলের চারটিই বাংলাদেশ হজম করেছে ডিবক্সের বাইরে থেকে করা শটে। আরও দুইবার নিচ থেকে খেলা বিল্ড আপ করতে গিয়ে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশের। জাপানের তৃতীয় ও শেষ গোলে ভুল দুইটি করেছেন যথাক্রমে ডিফেন্ডার আঁখি ও গোলরক্ষক রুপনা। দুইবারই তারা ভুল পাস দিয়ে জাপানকে গোল করতে সাহায্য করেছেন। বাংলাদেশের কাছে কোনো জবাবই ছিল না। জাপান আক্রমণ করেছে উইং ধরে, ডিবক্সের বাইরে থেকে, ভেতর থেকে। তাতে অসহায়ত্ব কেবল বেড়েছে বাংলাদেশের।
জাপানের বিপক্ষে অবশ্য বাংলাদেশের ম্যাচটা এমন একপেশেই হওয়ার কথা ছিল। জাপান এএফসি শীর্ষ পর্যায়ের এই বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সফল দল। রুপনা আরও দুইটি ভালো সেভ না করলে জাপানের গোল দুই অঙ্কের ঘরেও যেতে পারত। ৬১ মিনিটে শেষ গোলটি করেছে জাপান। এর আর গোল হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে। জাপানের হয়ে মাইকা তামানো ও রিরিকা তান্নো দুইটি করে গোল করেছেন।
এই হারের পর টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকে আরও একবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।