ভারত অনূর্ধ্ব ২৩ দলের বিপক্ষে ১৯২ রান তাড়া করতে পারলেন না সাইফরা
কাগজে কলমে দুই দেশের ম্যাচটা অনূর্ধ্ব ২৩। তবে ভারতের জন্য হলেও বাংলাদেশের জন্য অন্তত নয়। ব্যর্থতায় ভারতের সঙ্গে পারল না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩ দল, ৩৪ রানে ম্যাচটা জিতেছে ভারত অনূর্ধ্ব ২৩ দল।
লখনৌতে প্রথমদিন ম্যাচটা ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। আজ একই মাঠে সে ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তিতে টসে জিতে ভারতকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। স্কোরকার্ডে কোনো রান না ওঠার আগেই আবু হায়দার রনির বলেবোল্ড হয়ে যান ভুপেন্দ্র জায়সাওয়াল। এরপর এরপর মাধব কৌশিক ও বিআর হরত দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৬৪ রান। সেই জুটি ভাঙেন শফিকুল ইসলাম, শরতকে ৪২ রানে ফিরিয়ে। এক ওভার পর কৌশিককে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান। খানিক পর অধিনায়ককে প্রিয়াম গার্গকেও মেহেদি ফিরিয়ে দিলে ৭১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। ৯৯ রানে ঋত্বিক রায়কে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচে নিজের তৃতীয় উইকেট পান মেহেদি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। অরুনা জাউয়াল অবশ্য একপ্রান্তে ছিলেন, অতিত শেঠ ও শুভাম হেগড়েকে নিয়ে চালিয়ে গেছেন লড়াই। এর মধ্যে অফ স্পিনার সাইফ হাসান এসে তুলে নিয়েছেন শেঠ ও হেগড়েকে। তবে অরুন ছিলেন শেষ পর্যন্ত, শেষ ওভারে গিয়ে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৬৯ রান। ৫০ ওভার শেষ পর্যন্ত ১৯২ রান করেছে ভারত অ-২৩ দল।
সেই রান তাড়া করেই শুরু থেকে হুমড়ি খেয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনার সাব্বির হোসেন আউট হয়ে গেছেন কোনো রান না করেই, ১২ রানে ফিরে গেছেন ফর্মে থাকা সাইফ হাসানও। ইয়াসির আলী চৌধুরীও বেশি রান করতে পারেননি, ফিরে গেছেন ৬ রান করে। এরপর আল আমিন জুনিয়রও ৪ রানে ফিরে পেলে ৪০ রানের ভেতর ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
জাকির হাসান একটু ভালো খেলছিলেন, আরিফুল হককে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৪৭ রান করে আহত অবসরে যেতে হয় তাকে। সেই ধাক্কাটা আর সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। আরিফুল ৩৮, রবিউল ২১ ও মিরাজ ২০ রান করার পরও শেষ পর্যন্ত ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি।