ভারত সিরিজের আগে জাতীয় লিগে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে মোস্তাফিজকে
নিয়মিত অনুশীলন করছিলেন মিরপুর একাডেমিতে, এবারের জাতীয় লিগে প্রথম রাউন্ডে তার খেলারও কথা ছিল। বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনাও হয়েছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফিজিওর ছাড়পত্র না পাওয়ায় খেলা হয়নি মোস্তাফিজুর রহমানের। সবকিছু ঠিক থাকলে দ্বিতীয় রাউন্ডে খুলনার হয়ে খেলার কথা তার। আজ মিরপুরে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বললেন, ভারত সফরের জন্য বিবেচিত হতে হলে আগে জাতীয় লিগে নিজেকে প্রমাণ করে আসতে হবে। তবে আপাতত দিনে ১৫ ওভারের বেশি বল করা যাবে না, এমন একটা শর্তও দিয়ে দেওয়া হয়েছে মোস্তাফিজকে।
বাঁহাতি এই পেসারের লম্বা দৈর্ঘ্যের সম্ভাবনা ও ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন আছে বেশ কিছু দিন ধরেই।মোস্তাফিজ টেস্ট খেলতে চান না- সেটাও একরকম ওপেন সিক্রেট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগেও হুট করে ‘ফিটনেস’ না থাকার কারণে ছিলেন না মোস্তাফিজ। যদিও সেবার আসলে বাদ না বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল, সেটা নিয়েও আছে প্রশ্ন। এত কিছু মিলে মোস্তাফিজের ভারত সফরের দুই টেস্টের দলে থাকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
সর্বশেষ এই পেসার কোনো প্রথম শ্রেণি ম্যাচ খেলেছেন এই বছর নিউজিল্যান্ড সফরে। সেই সিরিজেও এক টেস্টে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছিল তাকে। আজ মিনহাজুল আবেদীন বলেছেন, আপাতত দিনে ১৫ ওভারের বেশি বল করতে না পারার একটা সীমা বেঁধে দেওয়া আছে মোস্তাফিজের জন্য, ‘ফিজিও আমাদের একটা গাইড লাইন দিয়েছে। ওর প্রথম ম্যাচে খেলার কথা ছিল। যেহেতু ওর অ্যাংকেলে একটা সমস্যা আছে, সেটার জন্য লোড পুরোপুরি না নেওয়া পর্যন্ত সেকেন্ড ম্যাচে ও খেলতে পারবে না। এখন ও রিকভারি করেছে। এটার জন্য দেখার বিষয় দুই ইনিংস মিলে কত ওভার বল করতে পারে। আমরা দিন প্রতি বলেছি, ওকে ১৫ ওভারের বেশি বল করতে পারবে না।’ প্রধান নির্বাচক নিশ্চিত করলেন, মোস্তাফিজকে ভারত সফরের টেস্টের জন্য বিবেচিত হতে হলে আগে জাতীয় লিগে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।
মোস্তাফিজের জন্য অবশ্য ১৫ ওভার বল করাটাও চ্যালেঞ্জ হয়ে যেতে পারে। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা টেস্টেও বল করেছিলেন পুরো ইনিংস মিলে ১৪ ওভার। আর গত বছর জাতীয় লিগের যে ম্যাচে খেলেছেন, সেখানে দুই ইনিংস মিলে বল করেছেন মাত্র ১৯ ওভার। সাদা পোশাকে সবচেয়ে বেশি বল করার রেকর্ডটা গত বছরের জানুয়ারিতে। সেবার শ্রীলংকার বিপক্ষে এক ইনিংসে ৩২ ওভার বল করতে হয়েছিল, বাংলাদেশই বল করেছিল প্রায় ২০০ ওভারের মতো।
সব মিলে চোট বাংলাদেশের পেসারদের জন্য সমস্যাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেসার খালেদ আহমেদ লম্বা সময় চোটের জন্য বাইরে, ফিট নন তাসকিন আহমেদও। মিনহাজুল আবেদীন সেটা নিয়ে নিজের উদ্বেগ চাপা রাখলেন না, ‘গত ছয় মাসে আমরা পেস বোলার নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কারণ অনেকগুলা পেসার চোটে। কারণ এক থেকে দশজন লিস্ট করল পাঁচ জন চোটে। এইচপিতেও একই অবস্থা। এটা আমাদের যথেষ্ট ভোগাচ্ছে। তবে এখন কিছু বোলার রিকভারি করেছে। আমাদের পেসারদের নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন আছে। আমরা এখন ফিটনেসের ওপরেই জোর দিচ্ছি। এবারের প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটেই সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
এবারের জাতীয় লিগ তাই পেসারদের জন্য অন্যরকম পরীক্ষাই!