• অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়াকেই চ্যালেঞ্জ মানছেন মিসবাহ

    অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়াকেই চ্যালেঞ্জ মানছেন মিসবাহ    

    শেষবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের টেস্ট জয় এসেছিল ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে। সিডনির সেই জয়ের পর গত দুই যুগেও অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। টেস্ট সিরিজ খেলতে আবার অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেছে পাকিস্তান। নতুন কোচ, নতুন অধিনায়ক; নতুন চেহারার এক পাকিস্তান দলই মুখোমুখি হবে টিম পেইনদের। পাকিস্তান কোচ মিসবাহ-উল-হক বলছেন, কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়াটাই এই পাকিস্তান দলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। 

    অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে সিডনিতে মিসবাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন পৃথিবীর সব কন্ডিশন থেকে আলাদা, ‘অন্য সব জায়গা থেকে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন পুরোপুরি ভিন্ন। এখানকার গতি ও বাউন্সের সাথে ব্যাটসম্যানদের মানিয়ে নেওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এছাড়া আমাদের উপমহাদেশে তো পিচে বেশি স্পিন ধরে, স্পিনাররাই আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি। কিন্তু এখানে একটু অন্যভাবে বোলিং আক্রমণ সাজাতে হবে। পেসাররাই এখানে বড় ভূমিকা রাখবে।’ 

    এই সফরে পাকিস্তান দলে নেই সরফরাজ আহমেদ। অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হচ্ছে আহজার আলি ও বাবর আজমের। মিসবাহ তাই দুইজনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জই দেখছেন, ‘অধিনায়কদের জন্য এটা চ্যালেঞ্জ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আজহার আগেও নেতৃত্ব দিয়েছে, এই অভিজ্ঞতা তার কাজে লাগবে। সে টেস্টে অনেক অভিজ্ঞও। বাবর বয়সে তরুণ। তাকে ঠিক পরামর্শ দেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। দলে ইমাদ ওয়াসিম, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ ইরফানদের মতো বোলার আছে যারা এখানে খেলার ব্যাপারে অভিজ্ঞও। সবাই আশা করি তাকে সাহায্য করবে। সে যে পরিকল্পনাগুলো সাজাবে, সেটা বাস্তবায়ন তো সে একা করতে পারবে না।’ 

    ১৬ বছর বয়সী নাসিম শাহ ও ১৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুসা প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। মিসবাহর বিশ্বাস, তরুণ দুই বোলার চমকে দিতে পারেন অস্ট্রেলিয়াকে, 'তাদের দুইজনকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা কখনোই খেলেননি। তাই তারা অস্ট্রেলিয়াকে ভড়কে দিতে পারে। তবে এটার উল্টোটাও হতে পারে। দুইজন দারুণ বোলিং করেছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। আশা করি সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধরে রাখবে।' 

    ৩ নভেম্বর সিডনিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ।