• অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজ
  • " />

     

    বে ওভালের দ্বিতীয় দিনে শুরুটা নিউজিল্যান্ডের, শেষটা ইংল্যান্ডের

    বে ওভালের দ্বিতীয় দিনে শুরুটা নিউজিল্যান্ডের, শেষটা ইংল্যান্ডের    

    মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট

    দ্বিতীয় দিন শেষে

    ইংল্যান্ড ৩৫৩ অলআউট

    নিউজিল্যান্ড ৫১ ওভারে ১৪৪/৪


    মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে যেন ঠিক করেছে, অভিষেকটা জমজমাট করে রাখবে। প্রথম দুই দিনে কখনো ইংল্যান্ড এগিয়ে যায়, আবার কখনো। দ্বিতীয় দিন শেষেও কাউকে বেশি এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। তবে কেন উইলিয়ামসনের চেয়ে জো রুটই একটু বেশি খুশি হয়ে মাঠ ছাড়বেন।

    স্টোকস আর পোপ যেভাবে ব্যাট করছিলেন কাল, প্রথম ইনিংসে বড় কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল ইংল্যান্ড। সকালের সেশনেও অনেকটা সময় কিউইদের হতাশ করে যাচ্ছিলেন দুজন। দুজনের জুইতে ৭৪ রান উঠল। স্টোকস তখন পাচ্ছেন সেঞ্চুরির সুবাস, ঢুকে পড়েছেন নব্বইয়ের ঘরে। সাউদির বলটা স্টোকস কাভার দিয়েই খেলতে গিয়েছিলেন, কিন্তু মিসটাইম হয়ে ক্যাচ উঠে গেল প্রথম স্লিপে। রস টেলর কাল একটা ক্যাচ ছেড়েছিলেন স্টোকসের, আজ সেটার প্রায়শ্চিত্ত করলেন ডান হাতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে। ৯১ রানে ফিরলেন স্টোকস, নিউজিল্যান্ড পেল দিনের প্রথম উইকেট।

    সেটা বোধ হয় পোপের মনযোগও নড়িয়ে দিয়ে থাকবে। স্টোকসের পর আবার সাউদির আঘাত। এবার অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা পোপ তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন উইকেটের পেছনে। ফিরলেন ২৯ রানে। স্যাম কারান ইদানীং ব্যাট হাতে অনেকবারই উদ্ধার করেছেন ইংল্যান্ডকে। তবে আজ তেমন কিছু করতে পারলেন না, মুখোমুখি প্রথম বলেই এলবিডব্লু হয়ে গেলেন সাউদির বলে। হ্যাটট্রিকের সুযোগই হয়ে গেল সাউদির, হুট করেই ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড। হ্যাটট্রিক অবশ্য আর হয়নি, ওদিকে জফরা আর্চারও আরেকবার নিজের ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ। বোল্টের বলে ৪ রান করে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। জস বাটলার আর জ্যাক লিচ লাঞ্চের আগে আর কোনো বিপদ হতে দেননি।

    বাটলার এরপর একটু হাত খুলে খেলতে শুরু করেছেন, বোল্টের বলে লং অফের ওপর দিয়ে একটা ছয়ও মেরেছেন। ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে মনযোগ হারালেন। ডিপ পয়েন্টে স্যান্টনার অটোগ্রাফ দেওয়ার জণ্য মাঠ ছেড়ে বেরিয়েছিলেন, ওয়াগনার বল করার ঠিক আগ মুহূর্তে ঢুকেছিলেন মাঠে। বাটলার হয়তো খেয়াল করেননি তাকে, সরাসরি ক্যাচ দিয়ে বসলেন সেখানে। ৪৩ রানে ফিরলেন, খানিক পর ব্রডকেও তুলে নিলেন ওয়াগনার। ৩৫৩ রানে অলআউট হয়ে গেল ইংল্যান্ড।

    তখন মনে হচ্ছিল, রান অন্তত ৫০ এর মতো কম হয়ে গেছে। তবে ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালোই হয়েছে, ৮ রানে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে গেছেন টম ল্যাথাম। রিপ্লে দেখে যদিও মনে হয়েছে সূক্ষ্ম ইনসাইড এজ হয়েছে, রিভিউ নেননি ল্যাথাম। জিট রাভাল জ্যাক লিচের বলে আগ্রাসী ছিলেন, কিন্তু একটা স্লগ সুইপ করতে গিয়েই ক্যাচ দিলেন মিড উইকেটে ১৯ রানে।

    এরপর রস টেলরও টিকলেন না বেশিক্ষণ, কারানের একটা শির্ট বল পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেন ২৫ রানে। ১০৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসন অবশ্য ফিফটি পেয়ে গিয়েছিলেন, বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু কারান ফিরলেন আর একবার। একবার বাড়তি বাউন্স করা বলটা সামলাতে না পেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে এলেন উইলিয়ামসন, ফিরলেন ৫১ রানে। ওয়াটলিং আর নিকোলস বাকি দিনটা পার করে দিয়েছেন নির্বিঘ্নে।