• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    জাদুকরী দিবালায় অ্যাটলেটিকোকে ঝুলিয়ে রাখলো জুভেন্টাস

    জাদুকরী দিবালায় অ্যাটলেটিকোকে ঝুলিয়ে রাখলো জুভেন্টাস    

    ফুলটাইম 
    জুভেন্টাস ১-০ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ 


    মাঝে মাঝে আক্রমণের মতো শৈল্পিক হয় রক্ষণও। মাঝে মাঝে একটা চ্যালেঞ্জও উদযাপিত হয় গোলের মতো করে। মাঝে মাঝে স্কোরলাইনে বড় সংখ্যা না থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝটা টের পাওয়া যায় ঠিকই। তুরিনে জুভেন্টাস ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের লড়াইটা হলো তেমনই। দুই অনড় রক্ষণাত্মক শক্তিকে আলাদা করলো পাউলো দিবালার বাঁ পায়ের তৈরি করা এক জাদুকরী মুহুর্ত। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগ দিয়ে প্রায় শূন্য ডিগ্রি থেকে ফ্রিকিক থেকে সরাসরি করা তার গোলের জবাব অনেক চেষ্টা করেও আর দিতে পারেনি অ্যাটলেটিকো। পুরো পয়েন্ট নিয়ে জুভেন্টাস পরের রাউন্ডে যাচ্ছে তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই, আর গ্রুপে অন্য ম্যাচে লোকোমটিভের বিপক্ষে লেভারকুসেনের জয়ের কারণে অ্যাটলেটিকোকে করতে হচ্ছে অপেক্ষা।  

    প্রথমার্ধে বল পজেশন বা পাসিংয়ে এগিয়ে ছিল জুভেন্টাস, তবে ক্রমাগত হুমকি তৈরি করে যাচ্ছিল অ্যাটলেটিকো। দূর থেকে নেওয়া শট তাদের গেছে বাইরে দিয়ে, ভেতরে ঢুকলে ব্লক করেছেন জুভেন্টাস ডিফেন্ডাররা, আর সব পেরিয়ে অন-টার্গেটে গেলেও দাঁড়িয়ে ছিলেন সেজনি। প্রায় একই রকম চিত্র ছিল মাঠের অন্য অর্ধেও। গোলশূন্য প্রথমার্ধ প্রায় নিশ্চিত হওয়ার মুহুর্তেই জাদুটা দেখালেন দিবালা। 

    ডানদিকে বক্সের ঠিক বাইরে প্রায় গোলের সমান্তরালে ফ্রিকিক পেয়ে গিয়েছিল জুভেন্টাস, যেটি জিতেছিলেন রদ্রিগো বেন্টাংকুর। দিবালা বাঁ পায়ে টপ সেন্টারে মারলেন, শটটা শেষ মুহুর্তে বাঁক নিয়ে ঢুকলো জালে। অ্যাটলেটিকো গোলকিপার ইয়ান অবলাক প্রতিক্রিয়া দেখানোর সুযোগই পেলেন না তেমন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিল সেটিই।
     

     
    রোনালদো খেলেছেন পুরো সময়, দিবালাকে উঠিয়ে হিগুয়াইনকে নামিয়েছিলেন সারি/টুইটার


    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই জুভেন্টাস রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা আরও জোরালো করেছিল অ্যাটলেটিকো, তবে শেষ পর্যন্ত লাভ হয়নি। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে ম্যাচে সবচেয়ে সেরা সুযোগটি পেয়েছিল অ্যাটলেটিকো। আনহেল কোরিয়ার ক্রস এসে পড়েছিলে একেবারে আলভারো মোরাতার সামনে। তবে বেসামাল হয়ে পা লাগাতে ব্যর্থ হলেন এই স্প্যানিশ, প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগে একেবারে শেষে এসে আর ড্র করা হলো না অ্যাটলেটিকোর। 

    এর আগে দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শুরুতে আরেকটি ভাল সুযোগ পেয়েছিল ডিয়েগো সিমিওনের দল। সল নিগুয়েজের শটটা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেজনি। অবশ্য লিড বাড়িয়ে নেওয়ার একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল জুভেন্টাসও। ডিফেন্ডারের ভুলে প্রায় একা বল পেয়ে যাওয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে সরাসরি শট নিয়েছিলেন, তবে সেটি গেছে বাইরে দিয়েই। আর ফেদেরিকো বার্নাদেস্কির শট প্রতিহত হয়েছিল পোস্টে। 

    ম্যাচে ওই সুযোগটা ছাড়া রোনালদো ছিলেন বেশ নিস্প্রভ। অবশ্য শুরুতে কর্নার ফ্লাগের পোস্ট ভেঙে বল ইন-প্লেতে রাখার চেষ্টা করে চোট পেয়ে, আর পরে তাকে করা ফেলিপের ফাউল সরাসরি লাল কার্ডের মতো কিনা সেটা দেখার জন্য ভিআরের সহায়তা- রোনালদো ছিলেন আলোচনায়। এদিন তিনি খেলেছেন পুরো সময়ই, ৭৫ মিনিটে সারি গঞ্জালো হিগুয়াইনকে নামিয়েছিলেন দিবালার জায়গায়। 

    তবে অ্যাটলেটিকোর যা ক্ষতি, তা উঠে যাওয়ার আরও ৩০ মিনিট (খেলার সময়ের হিসেবে) আগেই করে গেছেন দিবালা।