বাংলাদেশকে টেস্ট পাকিস্তানেই খেলতে হবে, বললেন পিসিবি সভাপতি
পাকিস্তানে বাংলাদেশ টেস্ট খেলতে যেতে চায় না, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে কয়েক দিন আগেই ব্যাপারটি বলেছেন প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। তবে আজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান এহসান মানি দ্ব্যর্থহীনভাবে বললেন, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে শ্রীলংকা দুইটি টেস্ট খেলার পর পাকিস্তানের হোম টেস্ট এখন বাইরের কোনো ভেন্যুতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বিপিএলের পরেই সামনের মাসে দুইটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি না থাকলেও টেস্ট নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতেই খেলতে চায় বাংলাদেশ। কোচিং স্টাফদেরও পাকিস্তানের যাওয়া নিয়ে আপত্তি আছে বলে এর আগে জানিয়েছিল একাধিক বাংলাদেশি গণমাধ্যম। এসবের মধ্যেই শ্রীলংকা পাকিস্তানে কোনো অঘটন ছাড়া খেলে গেছে দুইটি টেস্ট। পিসিবি এখন বাংলাদেশ সফরের পুরোটা নিজেদের দেশের বাইরে কোনো বিকল্প ভেন্যুতে আয়োজনের সুযোগই দেখছে না।
আজ করাচিতে ম্যাচ শেষে মানি পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ‘পাকিস্তানের হোম টেস্ট কোথায় হবে সেটি নিয়ে কোনো ধোঁয়াশার এখন আর সুযোগ নেই। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হোক আর যে-ই হোক, পাকিস্তানের মাঠেই এখন থেকে সব টেস্ট হবে। আমি এখনও আশা করছি বিসিবি ব্যাপারটা বুঝবে ও মেনে নেবে পাকিস্তানে তাদের না আসতে পারার কোনো কারণ নেই।
‘শ্রীলংকাকে আনা ছিল অনেক বড় ঝুঁকি। তখন কোনো ঘটনা ঘটলে বলা যেত এখানে আসা নিরাপদ নয়। কিন্তু ওরা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে এবং এসেছে। এমনকি যারা সীমিত ওভারে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল তারাও পরে বলেছে যে তারা আসতে পারত। কারণ তারা আগে এমন শুনেছিল পরিস্থিতি তার চেয়ে আলাদা।’
প্রশ্ন উঠেছিল, বিসিবির সঙ্গে পিসিবির আলোচনা কি থেমে গেছে? বা দুই পক্ষের মধ্যে কি কোনো মতবিরোধ হয়েছে? মানি অবশ্য সেরকম কিছু অস্বীকার করেছেন। জোর দিয়েই বলেছেন, শ্রীলংকার সঙ্গে টেস্টের পর এখন পাকিস্তানে না আসার অজুহাত দাঁড় করানোর সুযোগ নেই দলগুলোর, ‘আইসিসির সঙ্গে আমি অনেক দিন ধরেই জড়িত। আমি জানি ব্যাপারটা কীভাবে কাজ করে। এখন ওদের প্রমাণ করতে হবে পাকিস্তান অনিরাপদ। আমরা মনে করি আমরা নিরাপদ এবং পুরো বিশ্বকে ব্যাপারটি দেখিয়েছিও। ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ দলের সঙ্গেও বড় একটা ঘটনা হয়েছি। যার মানে দুর্ঘটনা যে কোনো জায়গায় হতে পারে। সেটা অস্ট্রেলিয়া হোক বা ইংল্যান্ড। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের রাজনৈতিক অবস্থা তো আরও বেশি টালমাটাল। আমি খেলোয়াড়দের নিয়ে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে চাই না। এখানে কেউ আসতে না চাইলে আমরা কথা বলব, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের প্রমাণ করতে হবে পাকিস্তান অনিরাপদ।’এই মৌসুম থেকে পিএসএলের পুরো মৌসুম পাকিস্তানে হবে, এবং বিদেশী ক্রিকেটারদেরও পাকিস্তানে আসতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন মানি। মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশের নারী ও বয়সভিত্তিক দলও কয়েক দিন আগে পাকিস্তানে খেলে গেছে, ‘আমি এই ব্যাপারে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না, কারণ বিসিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে। ওরা যখন আনূষ্ঠানিকভাবে ওদের সিদ্ধান্ত জানাবে, এরপর আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা কী করব। বাংলাদেশের মেয়েরা পাকিস্তানে খেলে গেছে, অনূর্ধ্ব ১৬ দলও এসেছে, তারা খুশিমনেই ফিরে গেছে। আমরা এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ রাখতে চাই না, খেলতে হলে ওদের পাকিস্তানেই খেলতে হবে।
কিন্তু বিসিবি যদি শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে আসতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে কী হবে? মানি অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।