• বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    আগে পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি খেলে এরপর সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিসিবি

    আগে পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি খেলে এরপর সিদ্ধান্ত নিতে চায় বিসিবি    

    পিসিবি সভাপতি এহসান মানি স্পষ্ট করেই কাল বলেছিলেন, পাকিস্তানের নিজেদের দেশের বাইরে হোম টেস্ট খেলার এখন কোনো সুযোগ নেই। অন্য কোনো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নয়, বাংলাদেশকে খেলতে হবে পাকিস্তানেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিসিবির প্রধান নির্বাহী বললেন। আপাতত টি-টোয়েন্টি সিরিজটা পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে চায় বাংলাদেশ। টেস্ট খেলা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এর পরেই।

    মানির বক্তব্যের পর পিসিবির শক্ত অবস্থানটা কাল একরকম স্পষ্টই হয়েছিল। নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও মান ছেন, বর্তমান অবস্থায় পাকিস্তান আদের দেশে খেলার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ খেলা নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দিতে চান না তিনি, ‘পাকিস্তান অবশ্যই চাইবে তাদের দেশেই যেন পুরো সিরিজটা হয়, এটিই স্বাভাবিক। তবে এখানে আমাদের ক্রিকেটাদেরও মত নেওয়ার ব্যাপার আছে, আবার কোচিং স্টাফের মধ্যে অনেকে বিদেশি আছেন। তাদের কথাও বিবেচনা করতে হবে। ম্যাচের আবহও বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। আর আনুষাঙ্গিক অন্যান্য স্টেকহোল্ডার যারা আছে লম্বা সফর হলে তাদের মতের কথাও মাথায় রাখতে হবে।’

    সবকিছু বিবেচনা করে আপাতত পিসিবির কাছে টি-টোয়েন্টি আগে খেলার একটা প্রাথমিক প্রস্তাব পাঠিয়েছে পিসিবি, ‘আমরা আপাতত তিনটি টি-টোয়েন্টি ওখানে খেলার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এরপর টেস্ট খেলা যায় কি না সেটি বিবেচনা করে দেখব।’

    সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির ২৩,২৫ ও ২৭ তিনটি টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথা পাকিস্তানে। টেস্ট সিরিজ এর পরেই হওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশ চাইছে, সেটি একটু পেছাক। শ্রীলংকার পথেই আসলে হাঁটতে চাইছে বাংলাদেশ। শুরুতে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে অক্টোবরে পাকিস্তানে এসেছিল শ্রীলংকা। সেই সফরে অবশ্য নিয়মিতদের অনেকেই আসেননি। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার পর শ্রীলংকা ডিসেম্বরে দুইটি টেস্ট খেলতে পাকিস্তানে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।

    কিন্তু বাংলাদেশ সেটা করতে চাইলেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সূচি। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই শুরু হওয়ার কথা পিএসএলের, চলবে মার্চ পর্যন্ত। এরপর বাংলাদেশের খেলতে যাওয়ার কথা আয়ারল্যান্ডে। তারপর জুন, জুলাই, আগস্টে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ আছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। দুইটি টেস্ট খেলার জন্য আগে পরে অন্তত দুই সপ্তাহেরও বেশি একটা সময় ফাঁকা থাকতে হবে। দুই দল সেই ফাঁক বের করতে পারবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন।