তামিমের 'ধরে খেলার' ভূমিকায় খুশি ঢাকা কোচ সালাহউদ্দিন
সিলেট পর্ব শেষে বিপিএলে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান রান। ৮ ইনিংসে ৩১৮ রান করেছেন, গড় ৫৫। ফিফটি আছে তিনটি, এর মধ্যে দুইটি আবার অপরাজিত। টি-টোয়েন্টির হিসেবে দারুণ বলে ফেলা যায়। কিন্তু ১১৫ স্ট্রাইক রেট তামিম ইকবালকে দিয়ে ঠিক উচ্ছ্বসিত হতে দিচ্ছে না। বরং প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টির গতির সঙ্গে তামিম তাল মেলাতে পারছেন না। তবে আজ অনুশীলনে ঢাকা প্লাটুনস কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বললেন, তামিম যে ভূমিকা পালন করছেন তাতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে খুশি।
গত বিপিএলেই ১৪১ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন ঢাকাকে। এরপর টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ আর হয়নি, একেবারে বিপিএল দিয়েই শুরু। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই রান পাওয়া শুরু করেছেন, ৭৪ রানের ইনিংসটা ঢাকাকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিল। পরের দুই ম্যাচে আউট হয়ে গেছেন ত্রিশের ঘরে। এরপরের ম্যাচে আবার অপরাজিত ফিফটি করেছেন সিলেটের বিপক্ষে, দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। এরপর রাজশাহীর সঙ্গে ৬৮ রানের ইনিংসেও স্ট্রাইক রেট কম হলেও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়েছে ব্যবধান গড়ে দেওয়া।
স্ট্রাইক রেট হয়তো তামিমের পক্ষে নেই, তবে এক প্রান্ত ধরে রেখে ঢাকাকে বড় ইনিংসের পথ দেখাচ্ছেন । ঢাকার কোচ সালাহউদ্দিন তাই তামিমের ভূমিকায় সন্তুষ্টই, ‘আমাদের দলটি যেভাবে করা হয়েছে এখানে তামিমের আলাদা একটা ভূমিকা আছে। কারণ আমার মনে হয় তামিম যতক্ষণ উইকেটে থাকবে ততক্ষণ আমাদের জন্য সুবিধা থাকবে। কারণ আমার কাছে মনে হয় নিচে অনেক পাওয়ার হিটার আছে। একটা খেলোয়াড় থাকবে যে কিনা লম্বা ইনিংস খেলবে। এই কারণে আমি মনে করি তামিম ইকবাল যেভাবে খেলছে তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক খুশি। আমার মনে হয় সে যখন জাতীয় দলে খেলবে তখন তাঁর ভূমিকা আরেক রকম হতে পারে। এই দলের জন্য সে যেভাবে খেলছে সেটা একেবারে যথার্থ বলে আমি মনে করি। ’
তবে পরিসংখ্যান বলছে, অন্তত ২০০ রান এখন পর্যন্ত বিপিএলে যারা করেছেন তাদের মধ্যে তামিমের স্ট্রাইক রেটই সবচেয়ে কম। তাহলে কি তামিমকে অ্যাংকরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? সেটাও ঠিক মানলেন না সালাহউদ্দিন, ‘না, অ্যাঙ্কর রোল (তামিমের ব্যাপারে) আসলে সেভাবে কাউকে দেয়া হয় না। আমার কাছে মনে হয় উইকেটে থাকাটা খুব বেশি জরুরী। কারণ তামিমের যে সামর্থ্য আছে হয়তো শেষের দিকে সে এটা কাভার করতো এবং সেটা করছে। এই কারণে তাকে নিয়ে খুশি।’