• বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    তিন ধাপে, তিন ফরম্যাটে খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ

    তিন ধাপে, তিন ফরম্যাটে খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ    

    তিন ধাপে তিন ফরম্যাটেই খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ, পৃথক দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে পিসিবি ও বিসিবি। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর এ প্রক্রিয়াকে ‘সহজতর’ করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। 

    প্রথম ধাপে ২৪-২৭ জানুয়ারি তিনটি টি-টোয়েন্টি হবে লাহোরে, এরপর প্রথম টেস্টের জন্য আবারও বাংলাদেশ যাবে পাকিস্তান, রাওয়ালপিন্ডিতে সে ম্যাচ হবে ৭-১১ ফেব্রুয়ারি। এরপর পাকিস্তান সুপার লিগ হওয়ার কথা, ২২ মার্চ শেষ হবে সেটি। এরপর তৃতীয় দফা আবারও পাকিস্তান গিয়ে বাংলাদেশ খেলবে একটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডেও। ৩ এপ্রিল একমাত্র ওয়ানডের পর ৫-৯ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট হবে করাচিতে। 

    এফটিপিতে ২টি টেস্টের সঙ্গে- যেগুলো আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত- ৩টি টি-টোয়েন্টি থাকলেও যুক্ত করা হয়েছে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচও। 

    এর আগে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের এ সফর নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে পরে টেস্টের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত, বিসিবির এমন প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আগে টেস্ট সিরিজ খেলে আসতে বলেছিল পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশ অটল ছিল নিজেদের প্রস্তাবে। কোচিং স্টাফের সদস্য ও ক্রিকেটাররা সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে চান না বলে জানিয়েছিল বিসিবি।


    বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর অনিশ্চয়তা : টাইমলাইন


    তবে ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার বিসিবিকে পাকিস্তান সফর সংক্ষিপ্ত সময়ে আসতে ও শুধু টি-টোয়েন্টি খেলে আসতে বলায়। এরপরই দুবাইয়ে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে দেখা করতে যান বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। সেখানেই পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানির সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল তার। 

    বিসিবি প্রেসিডেন্ট পিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “আমার অবশ্যই আমাদের অবস্থান বুঝতে পারার জন্য পিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে হবে। আমরা খুশি যে পারস্পরিক সমঝোতায় একটা সমাধানে পৌঁছানো গেছে, এবং এটি আমাদের আইসিসির এফটিপির প্রতি দায়বদ্ধতার উদাহরণ।”

    পিসিবি চেয়ারম্যান এই সফর নিয়ে তৈরি হওয়া সঙ্কট নিরসনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মনোহরকে, “আমি খুশি যে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ আপসের মাধ্যমে একটা সমাধানে পৌঁছাতে পেরেছি, যেটি এই খেলার এবং দুটি গর্বিত ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের জন্য সবচেয়ে ভাল। আমি আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরকেও তার নেতৃত্ব এবং এ দুটি দেশে যাতে ক্রিকেট বেড়ে ওঠে, সেটি নিশ্চিত করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।” 

    ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও ম্যাচ অফিশিয়ালদের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর দীর্ঘদিন কার্যত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিল পাকিস্তানে। সম্প্রতি সেখানে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ দিয়ে ফিরেছে এই ফরম্যাটের ক্রিকেট।