পাকিস্তানে যেতে পরিবারকে বুঝানো কঠিন ছিল মাহমুদউল্লাহর
মুশফিকুর রহিম পারিবারিক কারণে যাচ্ছেন না পাকিস্তানে, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবে মাহমুদউল্লাহর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা কঠিন ছিল? পাকিস্তানে যাওয়ার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটার মুখোমুখি হতে হলো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে। তিনি স্বীকার করলেন, শুরুতে পরিবারকে বুঝানো বেশ কঠিনই ছিল তার জন্য। এই মুহূর্তে পাকিস্তান গিয়ে নিরাপত্তা বা এ ধরনের কিছু নিয়ে চিন্তা না করে শুধু খেলার কথাই ভাবছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।
নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রথমে শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে আসার পর টেস্টের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মনোভাব বিসিবি জানালেও শেষ পর্যন্ত তিন ধাপে তিন ফরম্যাটে খেলতেই পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ। এর মাঝে প্রথম ধাপে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা, ২৪ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচ খেলতে ২২ তারিখ দেশ ছাড়বে জাতীয় দল।
পাকিস্তান সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া মুশফিক না যাওয়ার কারণ হিসেবে বলেছিলেন, তার পরিবার তাকে নিয়ে শঙ্কিত বলে যাচ্ছেন না তিনি। পরিবারকে বুঝাতে তারও বেগ পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ , “প্রথমে অবশ্যই কঠিন ছিল। কারণ আমার পরিবারও চিন্তিত ছিল। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তো ওরা রাজি হয়েছে। এদিক থেকে আমি কিছুটা নিশ্চিন্ত, যেহেতু আমার পরিবার এতোটা চাপ অনুভব করবে না। কারণ পাকিস্তান আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দিচ্ছে।”
তবে মুশফিকের সিদ্ধান্তকেও ‘সমর্থন’ জানিয়েছেন তিনি, “পরিবারের একটা ইস্যু থাকে সবসময়। পরিবারের চাইতে বড় ইস্যু কোনও ক্রিকেটারের বা কোনও সাধারণ মানুষের হতে পারে না। মুশফিকের সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে।”
অবশ্য নিরাপত্তা বা এর ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতেই চান না তিনি এখন আর। দলের অন্য সদস্যরাও ভাবছেন না, “এই মুহূর্তে আমি একটা কথা বলতে পারি। দলের অন্য সদস্যরা এই ব্যাপারে চিন্তিত নয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। আমরা শুধু খেলার কথাই চিন্তা করছি। কীভাবে ওখানে গিয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারব এবং জিততে পারব- এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত।”
মাঠের খেলায় অবশ্য পাকিস্তানে বেশ একটা চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করতে পারে বাংলাদেশের জন্য। র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তান যেখানে শীর্ষে, বাংলাদেশ সেখানে নয় নম্বরে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের খেলা নিয়ে আশাবাদি তিনি, “র্যাঙ্কিং তো ভিন্ন কথা বলে। আমরা নয় নম্বরে, ওরা এক নম্বরে। টি-টোয়েন্টিতে তারা ধারাবাহিকভাবে খেলে আসছে। আমার মনে হয় যেভাবে আমরা ক্রিকেট খেলছি, শেষ কয়েকটি সিরিজে আমি খুব আশাবাদী যে ভালো কিছু ম্যাচ আমরা উপহার দিতে পারব। ইনশাআল্লাহ্ আমরা সিরিজ জেতার চেষ্টা করব।”
বাংলাদেশ পাকিস্তানে শেষবার খেলতে গিয়েছিল ২০০৮ সালে এশিয়া কাপ খেলতে। প্রায় এক যুগ পর ভিন্ন কিছুই প্রত্যাশা করছেন তিনি, “ আমি এর আগেও গিয়েছি পাকিস্তানে দুই বার। ২০০৮ এ গিয়েছিলাম। এবারের অভিজ্ঞতা খুব বেশি তারতম্য করবে। যেহেতু আমরা পাকিস্তানে খেলছি, এর আগেও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার পাকিস্তানে খেলেছে।
“যেহেতু উপমহাদেশ, তাই আমরা জানি এবং আমার কিছুটা হলেও ধারণা আছে সেখানকার উইকেট কেমন হতে পারে সেই ব্যাপারে। পাকিস্তানের উইকেট খুব বেশি কঠিন ব্যাটসম্যানদের জন্য। আমরা আশা করি ব্যাটসম্যানদের ভালো উইকেট পাবো। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বটি বেশি থাকবে বলে আমি মনে করি বড় স্কোর গড়তে।”