• বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর
  • " />

     

    টি-টোয়েন্টিতে নিজের টেকসই 'ব্র্যান্ড'টা খুঁজে পাবেন তামিম?

    টি-টোয়েন্টিতে নিজের টেকসই 'ব্র্যান্ড'টা খুঁজে পাবেন তামিম?    

    নেটে নক করছেন যিনি, তামিম ইকবালই তো? 

    স্ট্যান্স, ব্যাট ধরার স্টাইল, ব্যাকলিফট, দু পায়ের মাঝে ফাঁক কিংবা ব্যাটের ব্র্যান্ডটা, হেলমেটের শেপটা- একজন ক্রিকেটারকে তো কতো উপায়েই চেনা যায়। আপনার মস্তিষ্কে আরও অনেক ক্রিকেটারের মতো আলাদা করা আছে তার এই ‘প্যাকেজ’টা, যা দিয়ে মুহুর্তেই সেটি সিগন্যাল পাঠিয়ে দেবে- কাকে দেখছেন আপনি।

    স্টাম্পে হেলান দিয়ে রাখা একটা বাড়তি ব্যাট, হাতেরটির সঙ্গে অদল-বদল করছেন সেটি বলের মুখোমুখি হওয়ার আগে। হয়তো ‘হ্যামার’-এর পর বল দিয়ে ব্যাট ‘নক’ এর কাজটা এগিয়ে রাখছেন, অথবা বাছাই করে রাখছেন ম্যাচে কোন জাদুদন্ডটি অগ্রাধিকার পাবে। 

    তামিম প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পাকিস্তান সফরের। এ সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন তিনি।  

    ****

    “আমাদের হয়তো পাওয়ার হিটার নেই। কিন্তু আমরা একটা বাংলাদেশী ব্র্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পরিকল্পনা করতে ও (সে অনুযায়ী) খেলতে পারি”, ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার ২১৪ রান তাড়া করার পর বলেছিলেন তামিম।

    “আমরা ইংল্যান্ড বা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনুসরণ করতে পারবো না। এমএস ধোনির মতো কেউ নেই আমাদের, যে সাত নম্বরে এসে খেলে দিবে। ক্রিস গেইলের মতো কেউ নেই, যে প্রথম বল থেকেই বোলারদের নিয়ে খেলবে। কিন্তু আমাদের যেটা আছে- স্মার্ট ক্রিকেটার, যারা অন্যান্যদের চেয়ে আলাদা। সবসময় এটা চার বা ছয়ের ব্যাপার না। মাঝের ওভারগুলোতে প্রচুর সিঙ্গেল নিলে বাউন্ডারি এমনিতেই আসবে।”

    নিজেদের সেই ব্র্যান্ডটা কি তৈরি করতে পেরেছে বাংলাদেশ? নিজের টি-টোয়েন্টি খেলার ব্র্যান্ডটা কি বদলে ফেলতে পেরেছেন তামিম, বা করতে পেরেছেন আরও কার্যকরী? 

    নিদাহাস ট্রফির সেই ম্যাচে তামিম করেছিলেন ২৯ বলে ৪৭ রান, ১ ছয় ও ৬ চারে। অবশ্য সে ম্যাচের পর থেকে তামিমের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং হেঁটেছে প্রায় একই পথেই- ক্যারিয়ার গড় ২৩.০৪ থেকে নেমে এসেছিল ২০.৩৮-এ, স্ট্রাইক রেট ১১৬.৬৩ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৮.৩০-এ। 

    ২০১৯ সালে তামিম আন্তর্জাতিক কোনও টি-টোয়েন্টিই খেলেননি। 

    ****

    বিশ্বকাপের পর তামিম শ্রীলঙ্কা সফরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তবে এরপর দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট থেকে ‘বিরতি’ নিয়েছিলেন। চোট ছাড়া কোনও সিরিজ সেবারই প্রথম মিস করেছিলেন সেবার।

    তামিম বিরতিতে গিয়েছিলেন বাজে ফর্মের রেশে। বিশ্বকাপে মাত্র একটি ফিফটি ছিল তার, বলেছিলেন, ২০১৫ সালের ‘দানব’টা তাড়া করে ফিরছিল তাকে। এরপর শ্রীলঙ্কা সিরিজে ৩ ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ২১ রান। তামিমের হয়তো বিরতিটা প্রয়োজন ছিল। 

    অথচ বিশ্বকাপের আগে ফর্মেই ছিলেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস, তার আগে নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডেতে বাজে করলেও টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন। অথচ বিশ্বকাপে গিয়ে সব গুলিয়ে গেল তার, শুরু করেও খেই হারিয়ে ফেলছিলেন বারবার। 
     


    তামিমের ফেরার কথা ছিল ভারত সফরে। ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের পর দ্বিতীয় সন্তানের আগমনের কারণে সে সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন তিনি। ক্রিকেটে ফিরলেন বিপিএল দিয়ে। মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে ঢাকা প্লাটুনে। 

    তামিম এ টুর্নামেন্টে করেছেন প্রায় ৪০০ রান, প্রায় ৪০ গড়ে। তার চেয়ে বেশি রান করেছেন ছয় জন, যার চারজনই খেলেছিলেন ফাইনাল পর্যন্ত। তবে আলোচনায় ছিল তামিমের স্ট্রাইক রেট- ১২ ইনিংসে ১০৯.৩৯ রেটে ব্যাটিং করেছেন তিনি। 

    ঢাকার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেছিলেন, তামিমের খেলার ধরনে তিনি খুশি। তাকে ইনিংস ধরে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অবশ্য অখুশী হওয়ার কারণ ছিলও না তেমন। তামিম ৩০ রান পেরিয়েছেন, এমন ম্যাচে একটি ছাড়া সবকটিতেই জয় পেয়েছে ঢাকা। শেষ দুই ম্যাচে ১ ও ৩ রান করেছিলেন তামিম- ঢাকাও হেরে বিদায় নিয়েছে এরপর। তবে এর আগে দায়িত্বটা পালন করেছিলেন ঠিকঠাকই।

    ক্যারিয়ারজুড়ে তামিমের স্ট্রাইক রেট অবশ্য 'খুব বেশি' ছিল না কখনোই। কমপক্ষে ২০ গড়ে ১০০০ রান করেছেন, এমন তালিকায় তামিম আছেন বেশ নিচের দিকেই, অবশ্য বাংলাদেশের বাকিদের অবস্থাও তাই। সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক- এই ক্যাটাগরিতে পড়া বাকি তিন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে বেশি সাকিবের- ১২৩.৭৭। গড়ে অবশ্য মাহমুদউল্লাহ (২৩.৮৩) একটু এগিয়ে সাকিবের (২৩.৭৪)।


    ****

    ২০১৮ এশিয়া কাপ, বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ছিলেন ২ রানে, হয়তো তামিমের সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিংসগুলির একটি সেটি। সে বছরে তার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট অনুযায়ী ছিল টেস্ট ও ওয়ানডের সঙ্গে স্যান্ডউইচড অবস্থায়। টেস্টে ৮ ইনিংসে ২০.৩৭ গড়ে ব্যাটিং করেছিলেন, যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে বছর। ওয়ানডেতে ১২ ইনিংসে গড় ছিল ৮৫.৫০- ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভাল। টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স ছিল এ দুইয়ের মাঝে- ২২.২৫ গড় ও ১২১.৯১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। 

    টি-টোয়েন্টিতে তামিমের সবচেয়ে ভাল দুই বছর কেটেছিল ২০১২ ও ২০১৬ সালে। প্রথমটিতে ৪৬.৭১ গড়ের সঙ্গে স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৯.৩৪, ২০১৬ সালে অপরাজিত সেঞ্চুরির কল্যাণে ৪০.৮৮ গড় ছিল, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৫.৭৯। 

    ****

    পোর্ট অফ স্পেন, ২০০৭। 

    তামিম তার ৫১ রানের ইনিংসে কটি বল খেলেছিলেন মনে আছে? জাহির খানকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে লং-অন দিয়ে মারা তার ছয় একটা অন্যরকমের ইম্প্রেশন তৈরি করেছিল, তামিমকে সেদিন শুধুই লাগাম ছাড়া উন্মত্ত ষাঁড় হিসেবেই হয়তো মনে রেখেছেন আপনি। তামিম সেদিন ২টি ছয় মেরেছিলেন শুধু, জাহিরকে ওই ছয়ের পর মুনাফ প্যাটেলকে আরেকটি- তবে সেটি ছিল বড়সড় এক এজ। ৫৩টি বল খেলেছিলেন, এর মাঝে ডটই দিয়েছিলেন ৩২টি। 

    আক্রমণ মানেই তেঁড়েফুঁড়ে মারা- এই পদ্ধতি থেকে তামিম সরে এসেছেন- এমনটি বলাই যায়। ওমানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে তার এখন পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরিতে ছয় ছিল ৫টি- এর প্রথম তিনটিই অবশ্য মেরেছিলেন ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে। পরের দুটি দারুণ ক্লিনহিট। চারগুলি যেমন সময় নিয়ে টাইমিং করেছিলেন, এ দুটিও ছিল তেমন। সেদিন তামিম চার মেরেছিলেন ১০টি। 

    টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবাল বরাবরই স্কোরিংয়ে ছয়ের চেয়ে চারের ওপর নির্ভরশীল বেশি।

    ক্যারিয়ারে তার চেয়ে বেশি চার মেরেছেন আর ১৩ জন ব্যাটসম্যান, সবার ওপরে বিরাট কোহলি। ২৫০টি চারের বিপরীতে কোহলি মেরেছেন ৭৪টি ছয়, মানে প্রতি ৩.৩৮টি চারের সঙ্গে ১টি করে ছয় তার। তামিমের চার-ছয়ের অনুপাত ৪.২৪ (১৭৪ চার, ৪১ ছয়)। 

    ওপেনার হিসেবে তামিমের চেয়ে বেশি চার আছে ৭ জনের। রোহিত শর্মা (২০৪ চার, ১০৩ ছয়, অনুপাত ১.৯৮) , মার্টিন গাপটিল (১৮৭, ১০২, ১.৮৩), অ্যারন ফিঞ্চ (অনুপাত ২.০৮), ডেভিড ওয়ার্নার (২.৩৭), মোহাম্মদ শাহজাদরা (২.৭৮) মোটামুটি ২-৩টি চারের বিপরীতে ১টি ছয়- এমন ধারায় ব্যাটিং করেন। 

    শিখর ধাওয়ান (৩.৭২), পল স্টার্লিং (৩.৪৪),অ্যালেক্স হেলসের (৩.৩৭) একটি করে ছয়ের জন্য চার লাগে ৩টিরও বেশি। তিলকারত্নে দিলশান ব্যতিক্রম, তার চার-ছয়ের অনুপাত ৭.৭৪। কিন্তু, ওপরের সবারই স্ট্রাইক রেট বেশি তামিমের চেয়ে বেশি (সবচেয়ে কাছে ওই দিলশানই, ১২০.৯৫)।
     


    *কমপক্ষে ২০ গড়ে ১০০০ রান করেছেন ৫৮ জন ব্যাটসম্যান। শীর্ষে থাকা ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শেষ স্কোয়াডের ব্যাটসম্যানদের দেখানো হয়েছে এখানে।


    তামিমের সমান ৪১টি বা এর কম ছয় মেরেছেন, কিন্তু ১০০টির বেশি চার মেরেছেন- এমন ১৯ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তার চেয়ে কম স্ট্রাইক রেট আছে মাত্র ৩ জনের। এক কেভিন পিটারসেন (১৪১.৫১) বাদ দিলে এই ক্যাটাগরির ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেটের রেঞ্জটা অবশ্য তামিমের চেয়ে খুব দূরে নয়, মোটামুটি ১২০-রেঞ্জ থেকে ১৩০-রেঞ্জের মাঝে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আজমের স্ট্রাইক রেট ১২৭.৪৯, ক্যারিয়ারে ১৩৯টি চারের বিপরীতে মাত্র ২০টি ছয় তার (অনুপাত ৬.৯৫)। 

    শেষ বিপিএলে ৩৬টি চারের বিপরীতে তামিম ছয় মেরেছেন ১১টি, ৩.২৭ অনুপাতে। শুধু ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে তামিমের চার-ছয়ের অনুপাত অবশ্য এমনই- ৩.১০। 

    আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কমপক্ষে ১০টি চার এবং সর্বোচ্চ ৫টি ছয়ে সেঞ্চুরি হয়েছে ২৩ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত ১৩টি, মোট ৫৫টি সেঞ্চুরির মাঝে। চারের হিসাব বাদ দিলে সর্বোচ্চ ৫টি ছয়ে সেঞ্চুরি আছে ১৪টি, অবশ্য এর মাঝে সর্বোচ্চ ১১৯। 

    সবচেয়ে কম বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি ইনিংসের রেকর্ডটি পাপুয়া নিউ গিনির টনি উরার, ফিলিপাইনের বিপক্ষে ৬০ বল খেলে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে তিনি ৪টি ছয়ের সঙ্গে মেরেছিলেন মাত্র ৬টি ছয়। সে ইনিংসে উরা ডট দিয়েছিলেন ১২টি। 

    তামিমের সেঞ্চুরিতে ডট ছিল উরার চেয়ে ৭টি বেশি। 

    বাউন্ডারি হিটিংয়ের দিক দিয়ে তামিম ‘বিগ-হিটার’ নন, আবার দিলশান-বাবরের মতো গ্রাউন্ড শটেও অতি-পারদর্শী-পর্যায়ের নন। 

    তামিমের কি তবে ওই ধরে খেলা বা স্ট্রাইক রোটেট করে খেলাটার দিকেই জোর দেবেন এখন থেকে? অন্যপাশের ওপেনার শট খেলার স্বাধীনতা নেবেন বেশি করে? অবশ্য ওপেনার বলে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার কাজে লাগানোর ব্যাপার আছে, আবার সেখানে স্ট্রাইক বদল করাটাও তুলনামূলক কঠিন। 

    **** 

    “আমি অদ্ভুত সব ব্যাপার কল্পনা করি। কেমন হবে যদি আমি ১০০ সেঞ্চুরি করি, বা এক ইনিংসে ৪০০-৫০০ করে ফেলি? আমি এমন স্বপ্ন দেখি, বাংলাদেশের ২ ওভারে ৬০ রান দরকার, আমি জিতিয়ে দিয়েছি।”

    ২০১১ সালে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার তামিমকে নিয়ে আর্টিকেলে এই কথাটা ছিল। হয়তো ২ ওভারে ৬০ রানের প্রয়োজনীয়তাটা অসম্ভবের গ্রাফে ধরাছোঁয়ার বাইরেই, তবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতেও তামিমের প্রয়োজনীয়তাটা নিশ্চয়ই শেষ হয়ে যায়নি এখনও।
     


    ২০১৯ সালে বাংলাদেশ খেলেছে ৭টি ম্যাচ, তামিমের অনুপস্থিতিতে ওপেনিং করেছেন ৫ জন। ভারত সফরে আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন নাঈম শেখ। অবশ্য বিপিএলে এই তরুণ সুবিধা করতে পারেননি তেমন। শান্ত বাংলাদেশের হয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি, তবে বিপিএলে শেষদিকে ঝলক দেখিয়ে ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন পাকিস্তান সফরে। 

    রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে লিটন দাস ও আফিফ হোসেনের ওপেনিং জুটিও বেশ দৃঢ় ছিল- দুজনের রসায়নটাও জমছিল ভালই। সৌম্য সরকার সুযোগ পেলে আবারও ওপেনিংয়ে ফিরবেন কিনা, সেটা অবশ্য অনিশ্চিত। 

    কদিন পরই ৩১ পূর্ণ করে ফেলবেন। ৩০ পেরিয়ে যাওয়ার পরও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০০ বা এর বেশি রান করেছেন ১৫ জন। বয়স সংখ্যা শুধু তাই এক্ষেত্রেও।

    তামিম এক বছর বাদ দিয়ে ফিরছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। বাংলাদেশের মতো তামিমেরও টি-টোয়েন্টিটা ঠিক পছন্দের তালিকার ওপরের ফরম্যাট নয়। ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর, নিশ্চিতভাবেই এখন থেকে প্রতিটি সিরিজ ডাটা ইনপুট দেবে বিশ্বকাপের দল বাছাইয়ে। 

    স্ট্রাইক রেট, স্ট্রাইক-বদল কিংবা চার-ছয়ের বেড়াজাল ছিঁড়ে একটা যুতসই ব্র্যান্ড খুঁজতে হবে তামিমকে, যা তাকে চেনাবে আবার আলাদা করে। যা হবে বাংলাদেশের জন্য কার্যকরী। হয়তো সেটা ভূমিকা রাখবে সেই ‘নিজস্ব বাংলাদেশী ব্র্যান্ড’-এর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তৈরিতেও।