মুশফিকের পাকিস্তানে যাওয়া উচিৎ, পরিবারের সঙ্গে দেশও গুরুত্বপূর্ণ : বিসিবি প্রেসিডেন্ট
পাকিস্তান সফরের পরের দফায় মুশফিকুর রহিমের সেখানে যাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। পরিবারের সঙ্গে দেশের কথাও ভাবতে বলেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয়ের পর ম্যাচসেরা মুশফিককে নিয়ে এমন কথা বললেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। নিরাপত্তা ইস্যুতে ব্যক্তিগত কারণে এ সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন মুশফিক।
মুশফিকের পারিবারিক দিক দিয়ে আত্মীয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রসঙ্গও টেনেছেন পাপন। বলেছেন, “রিয়াদের কিছু হলে কিছু হবে না, (কিন্তু) মুশফিকের বেলায় কান্নাকাটি কেন হবে”।
মাসখানেকের নাটক চলার পর তিন দফায় পাকিস্তান সফর নিশ্চিত করা বাংলাদেশ এরই মাঝে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও একটি টেস্ট খেলে এসেছে। এরপর এপ্রিলে আবার গিয়ে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলার কথা তাদের। তবে সফর নিশ্চিত হওয়ার আগে থেকেই সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন মুশফিক।
মাঝে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে তার থাকা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। বলা হয়েছিল, এ সিরিজে জায়গা করতে হলে নিজেকে প্রমাণ করে আসতে হবে মুশফিকের। বিসিএলে সেঞ্চুরির পর মিরপুর টেস্টে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম/বিসিবি
এ ম্যাচের পর মিরপুরে সাংবাদিককের পাপন বলেছেন, মুশফিক যাবেন কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন তিনি, “মুশফিকের ব্যাপারে আমরা কিছু শুনিনি, তবে আশা করছি ও যাবে। যাকেই নিব, সেই যাবে। দেশের কথাও ভাবতে হবে। পরিবারের পাশাপাশি দেশও গুরুত্বপূর্ণ।”
চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সফরে যাওয়া আবশ্যিক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি, “ওরা সবাই জানে, যে যেতে হবে, যারা চুক্তিবদ্ধ। দেশের পক্ষে খেলা হলে যেতে হবে।”
অবশ্য “পাকিস্তান ভিন্ন ব্যাপার। একটা ভয় ছিল যারা গেছে, তাদের জন্য। তার বাড়ির লোকও তো খেলে এসেছে। রিয়াদের কিছু হলে কিছু হবে না, শুধু ওর বেলায় কান্নাকাটি হবে নাকি? আমি আগেও বলেছি, এই ইস্যুতে আমি জোরাজুরি করব না। তবে যাওয়া উচিৎ।”
এদিকে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেছেন, পাকিস্তান সফরে তিনি সব সিনিয়রকেই চান, “অধিনায়ক হিসেবে তো আমি সবসময় চাই সাকিব ভাই পর্যন্ত আসুক। যদিও সেটা সম্ভব নয়। অবশ্যই আমি মুশফিক ভাইকে চাই পাকিস্তান সিরিজে।”
তবে এ ব্যাপারে মুমিনুলের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি মুশফিকের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের পর সিলেটে তিনটি ওয়ানডে, এবং এরপর ঢাকায় দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে।