• বিসিএল ২০২০
  • " />

     

    তাইজুলের ৫-এ ম্লান সাইফের ২১৪ বলের ৫৮

    তাইজুলের ৫-এ ম্লান সাইফের ২১৪ বলের ৫৮    

    সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ২১৩ অল-আউট

    ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ০/০*

    ইস্ট জোন ১ম ইনিংসে ২১৩ রানে পিছিয়ে

    পুরো স্কোরকার্ড দেখুন


    সকালে ফ্লাডলাইট জ্বললো, ফ্লাডলাইট জ্বললো বিকেলেও। শীত চলে যাব যাব করলেও যেন মিরপুরে বিসিএলের ম্যাচে রাখলো এর প্রভাব। সকাল আর বিকেলে আলোকস্বল্পতার মাঝেও কৃত্রিম আলোয় চললো খেলা। তবে খেলার আলো কাড়লেন তাইজুল ইসলাম, আর দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে সাইফ হাসান।

    তাইজুলের ৫ উইকেটে সেন্ট্রাল জোনকে প্রথম ইনিংসে ২১৩ রানে গুটিয়ে দিয়েছে ইস্ট জোন। একপ্রান্ত আগলে রেখে ইনিংসের প্রায় শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন সাইফ হাসান, তাইজুলের বলেই ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি করেছেন ২১৪ বলে ৫৮ রান।

    একপাশে সাইফকে রেখে একে একে ফিরেছিলেন সেন্ট্রালের নয়জন ব্যাটসম্যান। তাইবুরের পর সোহরাওয়ার্দি রানের হিসেবে, আর শান্ত ও শুভাগত বলের হিসেবে সঙ্গ দিয়েছিলেন সাইফকে। মিরপুরের এ উইকেটে ঘাসের ছোঁয়া ছিল, সেখানেই সাইফ নিজেকে রেখেছিলেন খোলসের ভেতর। ফিফটি করতেই তিনি খেলেছেন ১৯১ বলে, অবশ্য ৫টি চারের সঙ্গে ২টি ছয়ও মেরেছেন তিনি। তাইজুলকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে স্লিপের হাতে ধরা পড়ে শেষটা অবশ্য হয়েছে হতাশায়।

    সকালে কুয়াশার কারণে প্রায় সোয়া এক ঘন্টা দেরিতে শুরু হয়েছিল খেলা, টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে প্রথম উইকেট পেতে বেশ অপেক্ষায় করতে হয়েছিল ইস্ট জোনকে। ৫ম ওভারেই স্পিন এনেছিলেন ইস্ট জোন অধিনায়ক মুমিনুল হক, সেটা অবশ্য কাজে দেয়নি। সাফল্য এসেছে ওই পেসেই।

    সৌম্য সরকার শুরু করেছিলেন স্ট্রোকপ্লে। ৮ম বলে রুবেল হোসেনকে কাভার ড্রাইভে চার মেরে শুরু করেছিলেন, ৩৬ রানের ইনিংসে চারই মেরেছেন ৮টি। তবে শট খেলার অতি প্রবণতা কাল হয়েছে তার, হাসান মাহমুদকে আপার-কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন স্লিপে।

    নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাইফ হাসান শুরু করেছিলেন একই ভঙ্গিমায়, ক্রিজে টিকে থাকার দিকে নজর ছিল তাদের। তবে আবু জায়েদ রাহি সে বাঁধ ভেঙেছেন, বোল্ড হয়েছেন শান্ত, ৪৩ বলে ১০ রান করে। এরপর রকিবুল হাসান পেস বুঝতে না পেরে হয়েছেন কট-বিহাইন্ড। তাইজুলকে প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে শর্টে ধরা পড়েছেন- ১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল সেন্ট্রাল জোন।

    তাইবুর এসে অবশ্য খেলা শুরু করেছিলেন যেন অন্য উইকেটে, অন্য বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে। দারুণ সব শট খেলা শুরু করলেন, পেসাররা একটু জায়গা দিলেই কাট করতে ভুল হয়নি এই বাঁহাতির। সাইফের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন থেকে চা-বিরতিতে গিয়েছিলেন তাইবুর, সেন্ট্রাল জোনের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১১৭ রান।

    বিরতির পর দুজনের ৭২ রানের জুটি ভেঙেছেন তাইজুল, ৬০ বলে ৭ চারে ৪৬ রান করে তার বলে বোল্ড হয়েছেন তাইবুর। তাইজুলের বলে আবু জায়েদের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে শুভাগত করেছেন ২৭ বলে ৩ রান।

    সোহরাওয়ার্দি শুভ এরপর ভাল সঙ্গ দিয়েছেন সাইফকে, তবে ৩৬ বলে ৩১ রান করে তাইজুলকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। সাইফ শেষ পর্যন্ত তাইজুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন, এ উইকেট দিয়েই পাঁচ পূর্ণ হয়েছে তাইজুলের। এই বাঁহাতি খরচ করেছেন ৫৮ রান, প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ২২তম বার ইনিংসে ৫ বা এর বেশি উইকেট নিলেন তিনি। এর আগে-পরে দুই ওভারে শহিদুল ইসলাম ও মুকিদুল ইসলামকে বোল্ড করে ইনিংস শেষ করেছেন নাঈম হাসান।

    ফ্লাডলাইটের আলোতেই ব্যাটিংয়েই নেমেছিল ইস্ট জোন, তবে দুই বল পরই দিনের খেলার ইতি টেনেছেন আম্পায়াররা।