• বিসিএল ২০২০
  • " />

     

    ইয়াসিরের জোড়া সেঞ্চুরি, নাঈমের ১৩ উইকেটে নর্থকে উড়িয়ে ফাইনালে ইস্ট

    ইয়াসিরের জোড়া সেঞ্চুরি, নাঈমের ১৩ উইকেটে নর্থকে উড়িয়ে ফাইনালে ইস্ট    

    নর্থ জোন ১ম ইনিংস ২৭২ অল-আউট (মুশফিক ১৪০, নাঈম ৮/১০৭) ও ২য় ইনিংস ২৬৯ অল-আউট (অঙ্কন ৪৪, সনজিত ৩৬*, নাঈম ৫/১০১, সাকলাইন ২/৫৮) 
    ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৩৩১ অল-আউট (ইয়াসির ১৬৫, ইমরুল ৭৬, সানজামুল ৭/১১৫) ও ২য় ইনিংস ২১১/২ (ইয়াসির ১১০, আশরাফুল ৭৬) 
    ইস্ট জোন ৮ উইকেটে জয়ী 


    নাঈম হাসানের ১৩ উইকেটের পর ইয়াসির আলি রাব্বির জোড়া সেঞ্চুরির সঙ্গে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৭০ রানে ভর করে নর্থ জোনের বিপক্ষে বড় জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইস্ট জোন। ২য় ইনিংসে ২৬৯ রানে অল-আউট হয়ে ইস্টকে ২১১ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল নর্থ, শেষ সেশনে রাব্বির ৮৮ বলে ১১০ রানের সঙ্গে আশরাফুলের ৮৬ বলে ৭০ রানের ইনিংসে সে লক্ষ্য ইস্ট পেরিয়ে গেছে ৩৪.৫ ওভারেই। দ্বিতীয় ইনিংসে ইস্টের রানরেট তাই ৬.০৫! 

    আগেরদিন ৫ উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল নর্থ জোন। তবে শেষ উইকেটে ৪৭ রানের জুটির আগে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা এদিন। সাকলাইন সজিবের বলে মুশফিকুর রহিম এলবিডব্লিউ হওয়ার পর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বোল্ড হয়েছেন নাঈম হাসানের বলে। এতক্ষণ ঝুলে থাকা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন বনেছেন নাঈমের চতুর্থ শিকার, ১০৮ বলে ৪৪ রানে। সানজামুল ইসলামকে দিয়ে পঞ্চম উইকেট পেয়েছেন এই অফস্পিনার, ১ম ইনিংসে ১০৭ রানে ৮ উইকেটের পর এবার ৫ উইকেট নিলেন ১০১ রানে। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন তিনি, তবে ম্যাচসেরা ফিগার এটিই। 

    অবশ্য নাঈমের মাইলস্টোনের পর শীঘ্রই অল-আউট হয়নি নর্থ জোন, সনজিত সাহা ও সালাউদ্দিন শাকিল মিলে খেলেছেন প্রায় ১৯ ওভার। ৮৫ বলে খেলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সনজিত, আর রাহাতুল ফেরদৌসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে শাকিল ৪৬ বল খেলে করেছেন ১৩। 

    অবশ্য ব্যাটিংয়ে কাজটা করলেও বোলিংয়ে ঠিক সুবিধা করতে পারেননি সনজিত-শাকিল বা নর্থ জোনের অন্য বোলাররা। এক সেশনে ২১১ রান তুলতে হতো, ৫ম ওভারে রান-আউট হয়ে পিনাক ঘোষ ফিরলেও এরপর রীতিমত নর্থ জোনকে শাসন করেছেন রাব্বি ও আশরাফুল। 

    প্রথম ১০ ওভারে তারা তুলেছিলেন ৩৯ রান, তবে এরপর থেকেই ঝড়টা বেড়েছে ধীরে ধীরে। প্রথম ২৬ বলে ১৮ রান করা রাব্বি ফিফটিতে গেছেন ৪৬ বলে, এরপর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মাত্র ৭৮ বলে। শেষ পর্যন্ত ১১০ রানের ইনিংসে মেরেছেন ৫টি ছয়ের সঙ্গে ৮টি চার। সানজামুলের বলে ক্যাচ দেওয়ার সময় অবশ্য জয়টা নাগালে চলে এসেছিলেন ইস্টের, প্রয়োজন ছিল আর ২৩ রান। 

    অন্যপ্রান্তে থাকা আশরাফুলের ব্যাটিং কাজটা সহজ করে দিয়েছিল ইয়াসিরের। জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় ৬২ বলে ফিফটি করা আশরাফুলের সঙ্গী ছিলেন ইমরুল কায়েস। আশরাফুল ৮১.৩৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করলেও তার ইনিংসে মেরেছেন মাত্র ৪টি চার। নাঈম ইসলামের ২ ওভারে ৭ রান ছাড়া বাকি বোলারদের সবাই দিয়েছেন ৫-এর ওপর করে ওভারপ্রতি রান, এমনকি বোলিংয়ে এসেছিলেন মুশফিকুর রহিমও। তবে ৩ ওভারে ১৭ রানই দিয়েছেন শুধু, উইকেট আর পাওয়া হয়নি। 

    ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া ৫ দিনের ফাইনালে ইস্ট জোনের প্রতিপক্ষ সাউথ জোন।