নাইমের ১০ উইকেট, মুশফিকে ভরসা নর্থ জোনের
৩য় দিন, স্টাম্পস
নর্থ জোন ১ম ইনিংস ২৭২ অল-আউট, ২য় ইনিংসে ১৪৫/৫ (জুনায়েদ ৩৬, নাইম ৩৫, মুশফিক ২৩*; নাঈম ২/৫৮)
ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৩৩১ অল-আউট (ইয়াসির ১৬৫, ইমরুল ৭৬; সানজামুল ৭/১১৫)
নর্থ জোন ৮৬ রানে এগিয়ে।
ইয়াসির আলির ১৬৫ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে নর্থ জোনের বিপক্ষে ৫৯ রানের লিড পেয়েছিল ইস্ট জোন। তবে তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৪৫ রান করে নর্থ জোন ৮৬ রানে এগিয়ে রয়েছে।
ভেজা আউটফিল্ডের কারণে কক্সবাজারের মেইন গ্রাউন্ডে দিনের খেলা শুরু হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট দেরিতে। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে ইস্ট জোনের সেঞ্চুরিয়ান ইয়াসির আলি চৌধুরী নিজের সহজাত খেলাটাই খেলতে থাকেন। দ্বিতীয় দিন শেষে ১১ রানে পিছিয়ে ছিল ইস্ট জোন। তবে নর্থের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহকে পেরিয়ে যেতে খুব বেশি সময় নেয়নি তাদের।
আর ১৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন ইয়াসির। আজ সানজামুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে নামের পাশে যোগ করেছিলেন আরও ৩১ রান। ১৬৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলার পথে ১৭ টি চার ও ২ টি ছয় এসেছে তার ব্যাট থেকে। দলীয় ৩২১ রানে ইয়াসির ফিরে যাওয়ার পর ১০ রানের মাঝেই শেষ দুই উইকেট হারায় ইস্ট জোন। বড় লিডের লক্ষ্য নিয়ে দিন শুরু করলেও ৫৯ রানে এগিয়ে থেকেই ইনিংস শেষ করে তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানের মাঝে রনি তালুকদার এবং তানভির হায়দারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে নর্থ জোন। তৃতীয় উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ সামলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিক ও অধিনায়ক নাইম ইসলাম। তবে এই দুই ব্যাটসম্যান সেট হয়েও আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা নড়বড়ে অবস্থাতেই দিন শেষ করেছে নর্থ জোন। এই দুজনের উইকেট তুলে নেয়ার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ম্যাচে ১০ উইকেট পেলেন স্পিনার নাঈম হাসান। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়ে নর্থের ব্যাটিং অর্ডার একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতেও প্রথম ইনিংসে ইস্টের হয়ে ৩১ রান করেছেন নাইম।
দিনের শেষভাগে মুশফিকুর রহিম ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের দৃঢ়তায় আর কোনো উইকেট হারায়নি নর্থ জোন। ষষ্ঠ উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়ে ক্রিজে আছেন এই দুজন। মুশফিক ২৩ এবং অঙ্কন ২২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন মাঠে নামবেন।