• বিসিএল ২০২০
  • " />

     

    রাজ্জাকের ৭ উইকেটের দিনে জমে উঠেছে ফাইনাল

    রাজ্জাকের ৭ উইকেটের দিনে জমে উঠেছে ফাইনাল    

    বিসিএল ফাইনাল ২০২০

    সাউথ জোন-ইস্ট জোন

    তৃতীয় দিন শেষে

    সাউথ জোন ৪৮৬ অলআউট, ১২৫/৮ (মাহেদি ৪১*; আবু হায়দার ৪/৫১)

    ইস্ট জোন ২৭৩ অলআউট (তানজিদ ৮২, আফিফ ৪৭; রাজ্জাক ৭/১০২)

    সাউথ জোন ৩৩৮ রানে এগিয়ে



    বিসিএল ফাইনালে আজকের দিনটি ছিল বোলারদের। সাউথ জোনের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের বোলিং তাণ্ডবে প্রথম ইনিংসে ২১৩ রানে পিছিয়ে থেকে ২৭৩ রানেই গুটিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে ফরহাদ রেজার সেঞ্চুরিতে চড়ে রানের পাহাড় গড়লেও দ্বিতীয় ইনিংসে সাউথ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। আবু হায়দার রনি এবং রুয়েল মিয়াদের বোলিং তোপে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। তবে শেষ দিকে মাহেদি হাসানের দৃঢ়তায় লিডটিকে তিনশর ওপারে নিয়ে যেতে পেরেছে সাউথ। লিড ইস্টের নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাল ব্যাটিংয়ে নামবে তারা। তবে তাদের হাতে আছে আর মাত্র ২ উইকেট। 

    সাউথ জোনের থেকে ৩৭৬ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করে ইস্ট জোন। দ্বিতীয় দিন শেষের দিকে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে হারিয়েছিল তারা। তবে সেট ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে চড়ে আজ সাউথের সংগ্রহকে টপকে যাওয়ার আশাতেই ছিল ইস্ট। দিনের শুরুতে দ্রুত রাজ্জাকের বলে মাহমুদুলকে হারালেও পঞ্চম উইকেটে আফিফ এবং তানজিদ হাসানের জুটিতে ঠিক পথেই এগুচ্ছিল তারা। এই দুজনের ৬৫ রানের জুটি বড় কিছুর স্বপ্ন দেখালেও তা আর হল কই! ফিফটি থেকে তিন রান দূরে থাকা আফিফ সেই রাজ্জাকের শিকার হয়েই ফিরে গেলেন।

    এরপর জাকির হাসান এবং আবু হায়দার রনির সঙ্গে জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন তানজিদ। তবে রাজ্জাকের স্পিন বিষে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ৮৭ বলে ৭ চার এবং ২ ছয়ে ৮২ রান করে ইনিংসে রাজ্জাকের পঞ্চম শিকার হন তিনি। তানজিদ আউট হওয়ার পর আর ৯ রান যোগ করতেই শেষ ৪ উইকেট হারায় ইস্ট জোন।

    রাজ্জাকের বোলিং বিষে নীল হয়েই প্রথম ইনিংসে সাউথের রান পাহাড়ের ধারে-কাছেও ঘেষতে পারেনি ইস্ট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই নিয়ে ৪১ বার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট পেলেন তিনি।

    ২১৩ রানের বড়সড় লিড পেয়ে শুরু থেকে বিপর্যয়ে পড়ে সাউথ জোন। ইনিংস শুরুর চার ওভারের মাঝেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে তারা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাহমুদুল্লাহ ও শামসুর রহমান চাপ কমানোর চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৫৮ রানে পরপর দুই ওভারে যথাক্রমে আবু হায়দার এবং হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে ফিরে যান দুজনই।

    নুরুল হাসান, আল আমিন এবং প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ফরহাদ রেজার কেউই এরপর দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। তবে শেষ বেলায় মাহেদি হাসানের অপরাজিত ৪১ রানে ভর করে তিনশ ছাড়ানো লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে সাউথ জোন। মাহেদির সঙ্গে অপর প্রান্তে ১ রানে অপরাজিত রয়েছেন রাজ্জাক।