তামিমের ২২২*, মুমিনুলের ১১১-তে রানপাহাড়ে চড়ছে ইস্ট জোন
২য় দিন, স্টাম্পস
সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ২১৩ অল-আউট
ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৩৯৫/২*
ইস্ট জোন ১ম ইনিংসে ১৮২ রানে এগিয়ে
২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম ও আজকের আগে একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর প্রথম শ্রেণিতে সেঞ্চুরি ছিল আর তিনটি। তামিম এদিন ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরিটিকে রূপ দিলেন ডাবলে, সেন্ট্রাল জোনের বোলারদের করলেন শাসন। সঙ্গে মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি ও তামিমের সঙ্গে তার ২৯৬ রানের ২য় উইকেট জুটিতে পিষ্ট হচ্ছে সেন্ট্রাল জোন, দ্বিতীয় দিনশেষে ৮ উইকেট বাকি রেখে ইস্ট জোন এগিয়ে গেছে ১৮২ রানে। ২৮২ বল খেলে তামিম অপরাজিত আছেন ২২২ রানে, মেরেছেন ৩০টি চার।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে শহিদুলকে কাভার ড্রাইভে চার মেরে রানের কলাম পূর্ণ করেছিলেন, এরপর মেরেছিলেন আরেকটি চার। এরপর মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হয়েছিলেন, ফুললেংথের বলগুলিকে অনসাইডে তামিম খেলেছেন অনায়াসেই।
পিনাক ঘোষও বাউন্ডারি খেলেছেন, ২৬ রানের ইনিংসে ২২ রানই করেছেন চার-ছয়ে। শুভাগত হোমের বলে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে মিস করে হয়েছেন এলবিডব্লিউ, সেন্ট্রাল জোন পেয়েছে প্রথম ব্রেকথ্রু। মুমিনুল এসে অবশ্য হতাশই করে গেছেন শুধু তামিমের সঙ্গে তাদের। লাঞ্চে ইস্ট জোন গেছে ১২৬ রানে। এর আগেই ফিফটি হয়ে গেছে তামিমের, শহিদুলকে স্টিয়ার করে চার মেরে প্রথম মাইলফলকে তিনি গেছেন মাত্র ৭৬ বলে।
সেঞ্চুরি থেকে ফিফটিতে তামিম গেছেন আরও দ্রুত, মাত্র ৫০ বল ও ৬৬ মিনিটে। শহিদুলকে চারের পর ডাবলস ও সিঙ্গেলে তিন অঙ্কে গেছেন তিনি। মাঝে মোস্তাফিজের এক ওভারে মেরেছিলেন তিন চার। তামিমের সেঞ্চুরির পর ফিফটি হয়েছে মুমিনুলের, সোহরাওয়ার্দি শুভকে চার মেরে সেটি ছুঁয়েছেন তিনি ৮৮ বলে।
চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে দেড়শ পূর্ণ হয়েছে তামিমের, ক্যারিয়ারে ৫ম বার দেড়শ বা এর বেশি করলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। দেড়শ থেকে ২০০-তে গেছেন তিনি ৬২ বলে, তবে এই সময়ে মেরেছেন ৮টি চার, এর মাঝে মোস্তাফিজের এক ওভারেই মেরেছেন তিনটি। মুমিনুল যে সময়ে ৯২ থেকে ৯৯-এ গেছেন, তামিম ১৬৫ থেকে চলে গেছেন সে সময়ে ডাবল সেঞ্চুরিতে।
শুভাগত হোমের ফুললেংথের বল ঘুরিয়ে চার মেরে সেটি পূর্ণ করেছেন তিনি। সে ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে মুমিনুলও পূর্ণ করেছেন তিনি অঙ্ক, ৮৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তিন অঙ্কে যেতে ইস্ট জোন অধিনায়কের লেগেছে মোট ১৮০ বল। পেসারদের চেয়ে স্পিনারদের ওপর বেশি চড়াও হয়েছিলেন তিনি, ১২টি চারের মাঝে ৭টিই মেরেছেন তিনি শুভাগত হোমকে। পেসার মুকিদুল ইসলামের অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ফিরেছেন ১১১ রান করে।