রকিবুলের ৩১৩* ছাড়িয়ে তামিমের ৩৩৪*
রকিবুল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে প্রথম শ্রেণিতে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল, ছাড়িয়ে গেছেন রকিবুলের সর্বোচ্চ ৩১৩ রানের রেকর্ডও। বিসিএলে ইসলামি ব্যাংক ইস্ট জোনের হয়ে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় দিন লাঞ্চের পর এই রেকর্ড করেছেন তামিম।
ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন আগের দিনই। ২২২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করেছিলেন তামিম, প্রথম সেশনে যোগ করেছিলেন আরও ৫৭ রান। ২৭৯ রানে অপরাজিত থেকে গিয়েছিলেন লাঞ্চে।
দুপুর ১.০৬ –এ শুভাগত হোমের ফুললেংথের বলটায় চেক শট খেলে মিডউইকেটে সিঙ্গেল নিয়ে ট্রিপল পূর্ণ করেছেন তামিম, ৪০৭ বলে। শুভাগতকে চার মেরেই ২৯০-পেরিয়েছিলেন, এরপর ট্রিপলে যেতে তামিমের লেগেছে আর ১৯ বল।
প্রথম অভিনন্দনটা তামিম পেয়েছেন রকিবুলের কাছেই/রতন গোমেজ, বিসিবি
এরপরই খোলস ছেড়ে বেড়িয়েছেন। শুভাগতর বলেই কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে রকিবুলের রেকর্ড ভেঙেছেন তামিম, শর্ট-মিডউইকেটে দাঁড়ানো রকিবুলই প্রথম অভিনন্দন জানিয়েছেন তাকে।
২০০৭ সালে জাতীয় লিগে বরিশাল বিভাগের হয়ে জাতীয় লিগে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন রকিবুল। ২০০৭ সালের মার্চে ফতুল্লায় সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে চারে নেমে রকিবুল অপরাজিত ছিলেন ৩১৩ রানে, ৬৬০ মিনিট ব্যাটিং করে ৬০৯ বল খেলেছিলেন তিনি। ট্রিপল সেঞ্চুরি ছুঁতে রকিবুলের লেগেছিল ৬০০ বল। রকিবুল তার ইনিংসে মেরেছিলেন ৩৩টি চার।
তামিম এদিন ট্রিপল করলেন রকিবুলের চেয়ে ১৯৩ বল কম খেলেই। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৩৩৪ রানে, ৫৮৫ মিনিট ব্যাটিং করে ৪২৬ বল খেলে। তামিম ৪২টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়, অবশ্য এ তিনটি ছয়ই মেরেছেন তিনি ট্রিপল সেঞ্চুরির পর। বাউন্ডারি থেকেই ১৯০ রান করেছেন তামিম, যেটিও কোনও বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের রেকর্ড।
রকিবুলের আগে ট্রিপল সেঞ্চুরির কাছে গিয়েছিলেন মার্শাল আইয়ুব, ২০১২-১৩ মৌসুমে বিসিএলেই তিনি করেছিলেন ২৮৯ রান। জাতীয় লিগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে ২৯৫ রান করে থেমেছিলেন নাসির হোসেন।
তামিমের রেকর্ডভাঙা ইনিংসের পর প্রথম ইনিংসে ৫৫৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছেন ইস্ট জোন অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে ৩৪২ রানের বিশাল লিড নিয়েছে তার দল।