লিটনের সেঞ্চুরিতে ড্র নিশ্চিত করল নর্থ জোন
সাউথ জোন ২৬৮ ও ৩৯৮/৩
নর্থ জোন ২০৭ ও ২৭৯/৪
ফলঃ ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শফিউল ইসলাম
প্রথম ইনিংসে গোল্ডেন ডাক পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে লিটন দাসের সুযোগ ছিল আরেকটি, সেটি দারুণভাবে কাজে লাগালেন লিটন দাস। সেঞ্চুরি করে প্রথম শ্রেণিতে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক টপকেছেন, সেই সঙ্গে নিশ্চিত করেছেন নর্থ জোনের ড্রও।
কাজটা অবশ্য নর্থ জোনের জন্য খুব একটা সহজ ছিল না। ৪৫৪ রানের লক্ষ্য ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল, আজ ম্যাচ বাঁচানোটাই ছিল নর্থ জোনের মূল উদ্দেশ্য। হাতে ১০ উইকেট অবশ্য ছিল। সকালে ব্যাট করতে নেমেছিলেন দুই অপরাজিত ওপেনার মিজানুর রহমান ও রনি তালুকদার। তবে আগের দিনের সঙ্গে ৩৯ রান যোগ করার পর দুজনের জুটি ভাঙে। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাকই মিজানুরকে বোল্ড করে এনে দিয়েছেন ব্রেক থ্রু। চার ওভার পর আবারও রাজ্জাকের আঘাত, এবার রনি তালুকদার ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়ে ফিরেছেন ৩৭ রানে। ৭২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন কি ইশান কোণে মেঘ দেখতে পাচ্ছিল নর্থ জোন?
তবে লিটন আর জুনাইদ কোনো সংশয় দানা বাঁধতে দেননি এরপর। দুই উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে গেছে নর্থ জোন, লিটন এরপর খেলা শুরু করেছেন নিজের মতো। ৮১ বলে পেয়েছেন ফিফটি, ছয়টি চারের সঙ্গে একটি ছয়ও হয়ে গেছে এর মধ্যে। খানিক পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়ে ফেলেছেন। জুনাইদের সঙ্গে জুটিটাও জমে গেছে ততক্ষণে, মনে হচ্ছিল চা বিরতিতে দুজন একসঙ্গেই যাবেন। কিন্তু ৬১ রান করার পর আল আমিন হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন জুনাইদ। নাঈম ইসলামকে নিয়েই চা বিরতিতে গেছেন লিটন।
এরপর দুজন আরও বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে দিয়েছেন, আর কোনো বিপর্যয় হতে দেননি। লিটন আগের ছন্দেই ব্যাট করেছেন, ১৬৫ বলে পেয়েছেন প্রথম শ্রেণিতে নিজের ১৫তম সেঞ্চুরি। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচের ফল প্রায় পরিষ্কার হয়ে গেছে। নাঈম ৪৩ রান করে মাহমুদউল্লাহকে ফিরতি ক্যাচ দিলেও সেটা আর বদলায়নি। ৭৫ ওভার ব্যাট করার পর ড্র মেনে নিয়েছে দুই দল। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটশুন্য থাকলেও প্রথম ইনিংসের ৬ উইকেটের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন শফিউল ইসলাম।