নাঈমের ৬ উইকেটে বৃথা গেল মিঠুন-তাইবুরের লড়াই
সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ২১৩ অল-আউট ও ২য় ইনিংস ৩৩৩ অল-আউট
ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৫৫৫/৫ ডিক্লে.
ইস্ট জোন ইনিংস ও ৯ রানে জয়ী
চ্যালেঞ্জটা সহজ ছিল না সেন্ট্রাল জোনের, পুরো দিন ব্যাটিং করা ছাড়া তেমন বিকল্প ছিল না তাদের ম্যাচ বাঁচানোর। মোহাম্মদ মিঠুনের ৮৩, তাইবুর রহমানের ৬২-এর সঙ্গে শুভাগত হোমের ৩৫ রানে সে চেষ্টা করলেন তারা, তবে নাঈম হাসানের ৬ উইকেটে শেষরক্ষা হলো না। দিনের শেষঘন্টায় গিয়ে অল-আউট হয়ে গেছে তারা, ইনিংস পরাজয় রক্ষার সান্ত্বনাটুকুও পাওয়া হয়নি তাদের।
৩ উইকেটে ১১৫ রানে শুরু করা সেন্ট্রাল জোন প্রথম উইকেট হারিয়েছে দিনের ৮ম ওভারে। রুবেল হোসেনের শর্ট বলের তোপ সামলানোর সামর্থ্য ছিল না নাইটওয়াচম্যান শহিদুল ইসলামের, তিনি তুলেছেন ক্যাচ। রকিবুল হাসান আরও কিছুক্ষণ ছিলেন, তবে তাইজুলকে ফ্রন্টফুট ক্লিয়ার করে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ১৪৮ রানে ৫ম উইকেট হারিয়েছে সেন্ট্রাল জোন।
অবশ্য মিঠুন-তাইবুরের ব্যাটিং এরপর হতাশ করে গেছে ইস্ট জোনকে। সেন্ট্রাল লাঞ্চে গেছে ২০৭ রান নিয়ে, তাইবুর-মিঠুন দুজনই তখন পেরিয়ে গেছেন ত্রিশ। বিরতির পর দুজনেরই ফিফটি হয়ে গেল, সঙ্গে দুজনের সেঞ্চুরি জুটিও।
মিঠুন শুরুতে একবার এলবিডব্লিউ শাউট থেকে বেঁচেছিলেন, এরপর থেকেই আলগা বল পেলে সেগুলোর সদ্ব্যবহার করেছেন। পুল শট খেলেছেন, নাঈমের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে স্লগ করে ছয়ও মেরেছেন। অবশ্য মাঝে তাকে রেখে ফিরে গিয়েছিলেন তাইবুর। রুবেল হোসেনের শর্ট বল ডাক করতে গিয়ে ঠিকঠাক করতে পারেননি, বল গিয়ে লেগেছিল এই বাঁহাতির হেলমেটে। এরপর আরও ২ বল খেলেছিলেন, তবে ওভারশেষে উঠে গেছেন ৮৭ বলে ৫৯ রান করে।
শুভাগতর সঙ্গে আরও কিছুক্ষণ থাকার পর যেন ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল মিঠুনের, নাঈমের অফস্টাম্প লাইনের বলটা কাট করতে গিয়ে ধরা পড়লেন স্লিপে। এর আগে ৮৩ রান করতে খেলেছেন ১৪৩ বল, ১০ চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। সেঞ্চুরিটা পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল, তবে শেষটা হতাশায় হয়েছে তার।
মিঠুনের উইকেটের পরই যেন লাইফলাইন পেয়েছে ইস্ট জোন। সোহরাওয়ার্দি শুভ এসে ফিরে গেছেন দ্রুতই, নাঈমের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। মোস্তাফিজ কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছিলেন শুভাগতকে, নাঈমের পঞ্চম শিকার হয়ে ফিরেছেন তিনি।
তাইবুর এরপর আবার নেমেছিলেন, দ্বিতীয় দফা নেমে খেলেছেন ১৭ বল। নাঈমের বল লিভ করতে গিয়ে স্টাম্প হারিয়েছেন তিনি, এরপর তার ও শুভাগতর হতাশাই আসলে বলে দিচ্ছিল সব। সাথী হারা সারথীর মতো তাইজুলের বলে এরপর ক্যাচ তুলেছেন শুভাগত, উল্লাসে মেতেছে ইস্ট জোন।
নাঈম শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট নিয়েছেন ৮৫ রানে, ৮২ রানে ২টি নিয়েছেন তাইজুল। এ ম্যাচ থেকে ১১.৫ পয়েন্ট পেয়েছে ইস্ট জোন, ৩৩৪* রানের রেকর্ড ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন তামিম।