• বিসিএল ২০২০
  • " />

     

    অবশেষে লাল বলে জ্বলে উঠলেন মোস্তাফিজ

    অবশেষে লাল বলে জ্বলে উঠলেন মোস্তাফিজ    

     

    সাউথ জোন-ইস্ট জোন

    ২য় দিন শেষে

    সাউথ জোন ৪৮২ অলআউট (এনামুল ১২৯, নুরুল ১৫৫, মাহেদী ১১২; রেজাউর ৩/৯৬, সাকলাইন ৩/১২৬)

    ইস্ট জোন ২৭০/৫ (পিনাক ৮০, আশরাফুল ৭১; মাহেদি ২/৯৮)

     


    প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কখনো ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পাননি নুরুল হাসান। ১৫৫ রানে অপরাজিত থেকে আজ ডাবলের স্বপ্ন নিয়েই মাঠে নামার কথা তাঁর। কিন্তু স্বপ্নভঙ্গ হতে দেরি হয়নি। দিনের দ্বিতীয় ওভারে আর কোনো রান যোগ না করেই হাসান মাহমুদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন।

    দলের সর্বোচ্চ রান করে যাওয়া ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর সাউথ জোনও আর বেশিক্ষণ ইনিংস টিকিয়ে রাখতে পারেনি। দলীয় ৪৫৫ রানে নুরুল ফিরে যাওয়ার পর স্কোরকার্ডে আর ২৭ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট হারায় তারা। ইস্ট জোনের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন রেজাউর রহমান এবং সাকলাইন সজীব।

    এর জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছে ইস্ট জোনের। মোহাম্মদ আশরাফুল এবং পিনাক ঘোষের ব্যাটে এসেছে ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি । ৭১ রান করে সাউথ জোনের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন আশরাফুল। সঙ্গী ফিরে যাওয়ার পর পিনাক ঘোষও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। ফরহাদ রেজার বলে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে সীমানায় ধরা পড়েন তিনি। ৮০ রানের ইনিংসটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি এই ওপেনার।

    মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়ে ইস্ট জোন। ইয়াসির আলি চৌধুরীকে নিয়ে নতুনভাবে ইনিংস গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন ইস্টের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। কিন্তু ২৮ রান করেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। পাঁচ নম্বরে নামা আফিফ হোসেনও খুব বেশি সময় উইকেটে থাকেননি, ১৫ রান করে মাহেদি হাসানের বলে আউট হন তিনি। এক প্রান্ত আগলে থাকা ইয়াসির আলিও শেষ পর্যন্ত নিজের উইকেটটি বাঁচাতে পারেননি। রাজ্জাকের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৪৪ রানেই থেমে যান তিনি। দিন শেষে ইস্ট জোনের হয়ে নাসির হোসেন ১২* এবং জাকির হাসান ১৩* রানে অপরাজিত আছেন।

    দ্বিতীয় দিন শেষে সাউথ জোনের চেয়ে এখনো ২১২ রানে পিছিয়ে আছে ইস্ট জোন।

     

    ****

     

    ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন-নর্থ জোন

    ২য় দিন শেষে

    সেন্ট্রাল জোন ১৭০ এবং ১৮৭/৫ (মজিদ ৬৯, তাইবুর ৪৭; তাসকিন ২/৪৬)

    নর্থ জোন ১৬৬ অলআউট

     


    পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে জায়গা হয়নি মোস্তাফিজের। জাতীয় দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো স্পষ্টভাবেই বলেছিলেন বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে ফিরতে হলে তূণে নতুন অস্ত্র আনতে হবে মোস্তাফিজকে। কোচের কথা হয়তো মাথায় রেখেছিলেন মোস্তাফিজ। নর্থ জোনের ব্যাটিং অর্ডার অনেকটা একাই দুমড়ে-মুচড়ে দিলেন তিনি। নর্থ জোনের ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিককে ফিরিয়ে দিনের শুরু। এরপর তার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন মুশফিক। শেষের দিকে এনামুল হক জুনিয়র এবং তাসকিনের উইকেট দুটিও পেয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে ২৩ ওভার বল করে মাত্র ৮৪ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র সপ্তমবারের মতো চার উইকেট পেলেন। 

    মোস্তাফিজের সঙ্গে আরাফাত সানি, শুভাগত হোমদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নর্থ জোন খুব বেশিদূর এগুতে পারেনি। ৩ উইকেটে ৮৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা নর্থ জোন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছেন আরিফুল হক। এছাড়া জুনায়েদ সিদ্দিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭ রান, কিন্তু তাদের কেউই ইনিংস লম্বা করতে না পারাতেই ভুগেছে নর্থ জোন।

    প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর লিড পাওয়ার বিষয়টি কল্পনা করাও মুশকিল ছিল সেন্ট্রাল জোনের জন্য। কিন্তু নর্থ জোনের ব্যাটিং দুর্দশার বদৌলতে ৪ রানের লিড নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে সেন্ট্রাল। আগের ইনিংসে ৫ উইকেটে পাওয়া তাসকিন আজও শুরুটা ভালো করেছিলেন। সেন্ট্রালের ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মোহাম্মদ নাইমকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন তিনি। পেয়ার পাওয়ার দুঃস্বপ্নের অভিজ্ঞতা হলো নাঈমের।  আর দিনের শেষ দিকে উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া আবদুল মজিদের উইকেটটিও তুলে নিয়েছেন তাসকিন। প্রথমে চতুর্থ উইকেটে তাইবুর রহমানের সঙ্গে ৮৯ রানের এবং পঞ্চম উইকেটে শুভাগত হোমের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়ে সেন্ট্রালের হালে পানি আনার চেষ্টা করছিলেন মজিদ। কিন্তু দিনের একবারে শেষ দিকে এসে উইকেট খোয়ানোটা নিশ্চয়ই পোড়াবে তাকে। শুভাগত হোম ও জাকের আলী মিলে শেষ করেছেন দিন। সেন্ট্রাল জোনের অধিনায়ক শুভাগত ২৮ রানে এবং জাকের আলি কোনও রান না করে অপরাজিত আছেন।

    নর্থ জোনের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে সেন্ট্রাল জোন।