আবাহনীর কঠিন পরীক্ষাটাই 'উন্নতি' হিসেবে দেখছেন লেমোস
এএফসি কাপের বাছাইপর্বে মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়ার সঙ্গে ঘরের মাঠে ড্র করে আবাহনীর মূলপর্বে খেলা শঙ্কায় পড়ে গেছে অনেকখানি। দ্বিতীয় লেগে এখন মালেতে জিততে হবে আবাহনীকে, অথবা অন্তত ৩-৩ গোলের ড্র করতে হবে। আর প্রথম লেগের মতো ২-২ গোলে ড্র করলে খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। ঘরের মাঠের সুবিধাটা কাজে লাগাতে না পারায় আবাহনীর সামনে তাই কঠিন পরীক্ষা। অবশ্য আবাহনী কোচ মারিও লেমোস এই পরীক্ষাকে বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য 'উন্নতি' বলছেন।
আগের মৌসুম এএফসি কাপে জোনাল সেমিফাইনালে উঠেছিল আবাহনী। মালদ্বীপ লিগ চ্যাম্পিয়ন মাজিয়ার বিপক্ষে তাই আবাহনীর ওপর প্রত্যাশাও ছিল বেশি। এটাকেই লেমোস বলছেন উন্নতি, "আমরাই আসলে আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অনেক উঁচুতে নিয়ে গিয়েছি এখন। মালদ্বীপের কোনো ক্লাবের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো দল সাম্প্রতিক সময় কোনো পয়েন্ট পায়নি। অথচ আমরা মাজিয়ার ড্র করার পর সবাই সমর্থক, সাংবাদিক- সবাই হতাশ। এর মানে আমরা আসলে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি, যেখানে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার অবস্থা নেই।"
"ম্যাচের আগে আমি বলতে পারতাম, জয় আমাদের জন্য কঠিন হবে। তাতে হয়ত আমার সুবিধা হত। কিন্তু আমরা লুকোতে চাইনি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিডিয়ারও মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে। সবাই এখন আমাদের কাছে বেশি প্রত্যাশা করছে। বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এটা জরুরী ছিল।"
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী মাজিয়ার সঙ্গে ড্র করেছিল ২-২ গোলে। মালেতে ফিরতি লেগ ১২ ফেব্রুয়ারি। আবাহনী মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছে আগামীকাল ৯ ফেব্রুয়ারি। তবে এবারও পুরো শক্তির দল আচ্ছেন না লেমোস। ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশার ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে নতুন করে। প্রথম লেগেও খেলা হয়নি জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডারের। লেমোস বলছেন, দ্বিতীয় লেগেও তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
এএফসি কাপের প্রাক বাছাইয়ে আবাহনীর উতরানোর সমীকরণ কঠিন হলেও এটাকে বাড়তি চাপ মনে করছেন না পর্তুগিজ লেমোস, "বাড়তি কোনো চাপ অনুভব হচ্ছে না। এটা আমার আর আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ, খেলোয়াড়রাও মালের ম্যাচটিকে সেভাবেই দেখছে।"