তানভীরের ১৭৭ রানেও তীরে এসে তরী ডুবল নর্থ জোনের
সেন্ট্রাল জোন ১৭০ অল আউট এবং ৩২৫ অলআউট
নর্থ জোন ১৬৬ অলআউট এবং ৩২৩ অলআউট
ফলঃ সেন্ট্রাল জোন ৬ রানে জয়ী।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করেও দলকে জেতাতে পারলেন না নর্থ জোনের তানবির হায়দার। স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচে সেন্ট্রাল জোনের কাছে ৬ রানে হেরেছে তার দল নর্থ জোন। আগের দিন ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে টেস্টের শেষ দিনে মাঠে নেমেছিলেন তানবির। ১৫৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে নর্থ জোন। পাঁচ উইকেট হাতে শেষ দিনে ম্যাচটি জিতে নেয়ার জন্য তাঁদের প্রয়োজন ছিল আরও ১৭৪ রান।
এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তানবির। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর যাত্রায় অনেকটাই নিঃসঙ্গ ছিলেন তিনি। ৫৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে ১৭৭ পর্যন্ত গেছেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে নর্থের আর কেউ পঞ্চাশও ছুঁতে পারেননি।
একা আর কত টানবেন তানবির! দল যখন জয় থেকে ৬ রান দূরে তখন মুকিদের ভেতরের দিকে আসতে থাকা বলে ফ্লাইট মিস করলেন। ইয়র্কার লেংথের বলটিকে জায়গা দাড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনলেন এই ব্যাটসম্যান। নর্থের তীরে এসে তরী ডুবল।
এর আগে প্রথম ইনিংসে নর্থের ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর ৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে সেন্ট্রাল জোন। অধিনায়ক শুভাগত হোমের ১২২ এবং আবদুল মজিদের ৬৯ রানে ভর করে ৩৩০ রানের বড় লক্ষ্য দাড় করায় নর্থ জোনের সামনে। কিন্তু কঠিন লক্ষ্যটার কাছে গিয়েও ছোঁয়া হয়নি।
************
সাউথ জোন ৪৮২ অল আউট এবং বিনা উইকেটে ১৮৭ (এনামুল হক ১০৯*, নাফিস ৬৮*)
ইস্ট জোন ৩০৬ অলআউট এবং ৩৬০ অলআউট
ফলঃ সাউথ জোন ১০ উইকেটে জয়ী।
এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ইস্ট জোনকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে সাউথ জোন। শেষ দিনে সাউথ জোনের সামনে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দাড় করায় ইস্ট জোন। আগের দিন ফলো অনে পরে দ্বিতীয় ইনিংসে পিনাক ঘোষ এবং আফিফ হোসেনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ঘুরে দাড়ায় ইস্ট জোন। কিন্তু এরপরও সাউথের দুই ওপেনার ১৮৫ রানের লক্ষ্যটা মামুলিই বানিয়ে ফেলেছেন।
ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য সামনে রেখে শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এনামুল। ফর্মে থাকা এনামুল ঝড়ো ব্যাটিং করে দ্বিতীয় ইনিংসেও খেললেন ১০৯ রানের দারুণ ইনিংস। অপর প্রান্তে দারুণ সঙ্গ দিয়ে গেছেন শাহরিয়ার নাফীস। দুই ওপেনারের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ১০ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাউথ জোন।
তবে জোড়া সেঞ্চুরি করেও ম্যাচসেরার পুরস্কার কিন্তু এনামুলের হাতে উঠেনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট এবং প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ১১২ রান করার সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহেদি হাসান।
এর আগে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে এনামুল, নুরুল এবং মাহেদির সেঞ্চুরিতে চড়ে ৪৮২ রানের পাহাড় গড়ে সাউথ জোন। প্রথম ইনিংসে ৩০৬ রান করা ইস্ট জোন সেই পাহাড়ের নাগাল পায়নি। তাই ফলো অনে আবারো ব্যাটিংয়ে নামে তারা। তবে এবার পিনাক-আফিফের সেঞ্চুরিতে চড়ে ম্যাচ জয়ের জন্য সাউথ জোনের সামনে মাঝারি লক্ষ্য দাড় করায় ইস্ট জোন। কিন্তু সাউথ জোনের ব্যাটিংয়ে সেটা হয়ে গেছে সহজ।