• বিসিএল ২০২০
  • " />

     

    মার্শালের সেঞ্চুরির পরও সেন্ট্রালের ২৩৫, দিনশেষে চাপে সাউথও

    মার্শালের সেঞ্চুরির পরও সেন্ট্রালের ২৩৫, দিনশেষে চাপে সাউথও    

    ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন- বিসিবি সাউথ জোন

    ১ম দিন, স্টাম্পস
    সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ২৩৫ অলআউট (মার্শাল ১১৬, মুস্তাফিজ ৩০*; মাহেদি ৩/৪৬)
    সাউথ জোন ১ম ইনিংস ২৯/২* (এনামুল ১৩*, শামসুর ৩* ; ইফরান ১/১৫)
    সাউথ জোন ২০৬ রানে পিছিয়ে   


    দিনের বাকি তখন ১১ ওভার। ১১৬ রানে ক্রিজে মার্শাল আইয়ুব, নবম উইকেটে সঙ্গী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে জুটিটা ৪০ পেরিয়ে গেছে। ইনিংসজুড়েই অনেকটা সঙ্গিহীন আইয়ুবকে ভালই সঙ্গ দিচ্ছিলেন মোস্তাফিজ, তবে দিনের শেষভাগে এসে আইয়ুবের কী হলো সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন! মাহেদি হাসানের মাথার উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে উল্টো সহজ ফিরতি ক্যাচ দিলেন তিনি। শেষে গিয়ে মোস্তাফিজ একটু ব্যাট চালিয়ে খেলে ৩০ করলেন, তবে সেন্ট্রাল জোন ২৩৫-এর বেশি যেতে পারলো না আর। দিনশেষে অবশ্য ২৯ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সাউথ জোনও।

    কক্সবাজারের তুলনামূলক সবুজ উইকেটে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে দলের ব্যাটসম্যানদের উপর নিজের আস্থার বিষয়টিই যেন প্রকাশ করেছিলেন সেন্ট্রালের অধিনায়ক শুভাগত হোম। কিন্তু শুরুর সেই আস্থা উবে যেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভারের মাঝেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে সেন্ট্রাল জোন। সদ্য রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট খেলে ফেরা জাতীয় দলের দুই ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত দুই অঙ্ক ঘর ছোঁয়ার আগেই ফিরেছেন, যথাক্রমে  ১ ও ৮ রান করে শফিউল ও ফরহাদ রেজার বলে ক্যাচ দিয়ে।   

    এরপর একদিক থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সেন্ট্রাল জোন। দলীয় ১০০ রান পূর্ণ হওয়ার আগেই নেই ছয় ব্যাটসম্যান। পাঁচ নম্বরে নামা আইয়ুব তখন একাই হাল ধরার চেষ্টা করেছেন। লোয়ার মিডল অর্ডার এবং টেল এন্ডারদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে টেনেছেন। শেষের দিকে জাবিদ হোসেন, আরাফাত সানি এবং মোস্তাফিজের সঙ্গে তার সেই জুটিগুলোতে ভর করেই সাউথ জোনের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২০০ পেরিয়ে গেছে সেন্ট্রাল জোন।

    দলীয় ৩৭ রানে সেন্ট্রাল জোন তৃতীয় উইকেট হারানোর পর নেমেছিলেন মার্শাল। শুরু থেকেই দেখে-শুনে, উইকেটের ভাব বুঝে খেলা মার্শাল ৭৫ বলে ফিফটি করেন। একপ্রান্ত আগলে তিনি সমঝে খেলতে থাকলেও অপর প্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল চলতে থাকে। দিনের শেষ সেশনে মার্শাল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৬০ বলে, প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে যা ২০তম তার। তবে সেঞ্চুরির পর একটু হাত খুলে খেলতে গিয়েই উইকেটটি খুইয়েছেন তিনি।  

    সাউথ জোনের হয়ে এই ইনিংসে উইকেট পেয়েছেন পাঁচ বোলারের সবাই। তবে তাদের মাঝে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন স্পিনার মাহেদি হাসান। নর্থ জোনের বিপক্ষে বিসিএলে আগের ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নেয়া মাহেদি আজও নিয়েছেন ৩টি। সেঞ্চুরিয়ান মার্শালের আগে-পরে রকিবুল হাসান ও জাবিদের উইকেট নিয়েছেন তিনি। 

    শফিউলের পর দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও আব্দুর রাজ্জাক নিয়েছেন ২টি করে, ১টি নিয়েছেন ফরহাদ রেজা। 

    প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এরপর শুরুটা গড়বড় করে ফেলেছিল সাউথ জোনও- অদ্ভুত দর্শন দুইটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে তারাও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ইফরান হোসেনের ভেতরের দিকে আসতে থাকা বল লিভ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন শাহরিয়ার নাফিস। আর রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝির বলি হয়ে ফিরেছেন ইরফান শুক্কুর।

    দিনশেষে সেন্ট্রাল জোনের চেয়ে ২০৬ রানে পিছিয়ে আছে সাউথ জোন। ১৩ রানে ব্যাটিং করা এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গী শামসুর রহমান অপরাজিত আছেন ৩ রানে।