মুশফিকের ১৪০-এর জবাবে ইয়াসিরের ১৩৪*, নাঈমের ৮-এর পর সানজামুলের ৫*
২য় দিন, স্টাম্পস
নর্থ জোন ১ম ইনিংস ২৭২ অল-আউট (মুশফিক ১৪০, নাঈম ৮/১০৭)
ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ২৬১/৭* (ইয়াসির ১৩৪*, ইমরুল ৭৬, সানজামুল ৫/৯২)
ইস্ট জোন ১১ রানে পিছিয়ে
ইয়াসির রাব্বির অপরাজিত সেঞ্চুরি ও ইমরুল কায়েসের ৭৬ রানের ইনিংসে ২৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর বাজে অবস্থা কাটিয়ে উঠে লিডের দিকে এগুচ্ছে ইস্ট জোন। নর্থ জোনের বিপক্ষে ৩য় রাউন্ডের ২য় দিনশেষে ৩ উইকেট বাকি রেখে তারা পিছিয়ে আছে ১১ রানে। ৫ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম, কক্সবাজারের মেইন গ্রাউন্ডে চলছে স্পিনারদেরই দাপট।
আগেরদিন নর্থের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিককে সঙ্গ দিয়েছিলেন তিনজন, এদিন সে অর্থে ইয়াসিরকে এখন পর্যন্ত সঙ্গ দিয়েছেন দুজন- ইমরুলের পর ২৬ রান করা আফিফ হোসেন। ২৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইয়াসির-ইমরুলের জুটিতে উঠেছিল ১৩৭ রান। এরপর ৬ষ্ঠ উইকেটে আফিফকে সঙ্গে নিয়ে ইয়াসির যোগ করেছেন আরও ৬৭ রান।
৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা ইস্ট জোন নাইটওয়াচম্যান সাকলাইন সজিবকে হারিয়ে ফেলেছিল সকালের ৯ম ওভারে গিয়ে, সানজামুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন তিনি। ইয়াসির-ইমরুলের ঘুরে দাঁড়ানো এরপরই।
৩ উইকেটে ৮২ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিলেন তারা, ফিফটি থেকে ৫ রান দূরে ছিলেন ইমরুল। মাইলফলকে যেতে এই বাঁহাতি ওপেনারের লেগেছে ১০০ বল। চা-বিরতির আগ দিয়ে সানজামুলের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ৭৬ রান করতে তিনি খেলেছেন ১৫৩ বল, মেরেছেন ৭টি চার। ২১ বলে ৩ রান করে সানজামুলের বলেই বোল্ড হয়ে ফিরেছেন নাসির, ইয়াসিরের সঙ্গে আর ১০ রান যোগ করে।
আফিফের সঙ্গে জুটির সময় সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেছেন ইয়াসির। ৫১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এই ডানহাতির এটি ৭ম সেঞ্চুরি, বিসিএলের এই মৌসুমে প্রথম। মাইলফলকে তিনি গেছেন ২২২তম বলে, আরিফুল হককে ৩ বলের ব্যবধানে ২ চার মেরে। সুযোগ পেয়েছেন তার ইনিংসে, সেসব কাজেও লাগিয়েছেন দারুণভাবে।
ইয়াসির-আফিফের জুটি ভেঙে ক্যারিয়ারের ২০তম ৫ উইকেট নিয়েছেন সানজামুল। আফিফের উইকেটের পরের ওভারে জাকির হাসানকে ফিরিয়েছেন সনজিত সাহা, জাকিরও হয়েছেন এলবিডব্লিউ।
দিনের বাকি থাকা ৬ ওভার নাঈম হাসানকে নিয়ে এরপর নিরাপদেই পার করেছেন ইয়াসির। দিনশেষে তিনি অপরাজিত ২৭১ বলে ১৩৪ রানে, এখন পর্যন্ত ১৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়।