• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগে : ফাঁকা মাঠে শাপমোচনের লক্ষ্য পিএসজির

    কিক অফের আগে : ফাঁকা মাঠে শাপমোচনের লক্ষ্য পিএসজির    

    কবে, কখন

    পিএসজি - বরুশিয়া ডর্টমুন্ড

    চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোল (দ্বিতীয় লেগ)

    পার্ক দে প্রিন্স 

    ১২ মার্চ, রাত ২.০০

    (প্রথম লেগের ফল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ২-১ পিএসজি)


    চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট পর্বে এসে হোঁচট খাওয়ার পুরনো বাতিক আছে পিএসজির। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-১ গোলে হেরে আবারও নক আউট পর্ব থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় রয়েছে তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগে গত তিন মৌসুমেও শেষ ষোলোতেই যাত্রা সাঙ্গ হয়েছিল প্যারিসিয়ানদের। আগামী বৃহস্পতিবার পার্ক দি প্রিন্সে জার্মান প্রতিপক্ষকে আতিথ্য দেবে তারা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্রেঞ্চ সরকারের সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই ম্যাচটি ‘দর্শকবিহীন’ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

    প্রথম লেগে শক্তিমত্তায় ডর্টমুন্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ১৯ বছর বয়সী এরলিং ব্রুট হালান্ডের জোড়া গোলে হেরে ফিরতে হয়েছিল পিএসজিকে। তবে নেইমার এক গোল শোধ করায় দ্বিতীয় লেগে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা থাকছে তাদের। সেই ম্যাচে তিন জনের রক্ষণ খেলিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন পিএসজি কোচ থমাস টুখেল।  দারুণ দুই গোলে তরুণ হালান্ড সেদিন তার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছিলেন। জানুয়ারিতে ডর্টমুন্ডে যোগ দিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে ১২ গোল করেছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বে সালজবুর্গের হয়ে ৮ গোল করেছিলেন, পিএসজির হয়ে প্রথম লেগে ২ গোল করায় এবারের আসরে তার মোট গোল এখন ১০ টি। ১১ গোল করে গোল স্কোরারদের তালিকার শীর্ষে থাকা রবার্ট লেভানডফস্কির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন এই ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয় লেগেও তাই পিএসজির মাথা ব্যথার কারণ হতে পারেন হালান্ড।

    বাঁচা-মরার দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামার আগে ইতিহাস ঘাঁটলে দুয়েকটি আশার বাণী খুঁজে পাবে পিএসজি, তবে সমানসংখ্যক হতাশার গল্পও রয়েছে তাদের জন্য। চ্যাম্পিয়নস লিগে এর আগে প্রথম লেগে পিছিয়ে থাকার পর কখনও নকআউট পর্বে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি প্যারিসের দলটি। অপর দিকে ডর্টমুন্ড এখন পর্যন্ত নকআউট পর্বে চার বার প্রথম লেগে এগিয়ে ছিল, চারবারই পরের পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা। তবুও পিএসজির জন্য আশার বাণী, ২০১৪ সালের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট পর্বে টানা ৫ টি অ্যাওয়ে ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই হেরেছে জার্মান দলটি। এছাড়াও ২০১৭ সালের পর আর শেষ ষোলো পেরুনো হয়নি লুসিয়েন ফাভরের দল। অবশ্য বৃহস্পতিবার পিএসজির মাঠে অন্তত ড্র করতে পারলেই কোয়ার্টার ফাইনালের সেই অপেক্ষা ঘুচবে তাদের।

    এই ম্যাচের আগে অবশ্য দুই দলের কারোরই ফর্ম নিয়ে সমস্যা নেই। প্রথম লেগের পর পিএসজি এবং ডর্টমুন্ড নিজ নিজ দেশে ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলোয় তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে, সবগুলো ম্যাচেই জয় পেয়েছে দুই দল। তবে কার্ড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কো ভেরাত্তি এবং থমাস মিউনিয়েরের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে খেলতে না পারার বিষয়টি পিএসজিকে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রাখছে। দলটির কোচ টুখেলের জন্য ম্যাচটির মাহাত্ম্য একটু বেশিই। একে তো সাবেক দলের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হেরে বাদ পড়ার শঙ্কা, তার ওপর এই ম্যাচের ফল পক্ষে না আসলে চাকুরি নিয়েও সঙ্কটে পড়তে হতে পারে এই জার্মানকে। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় নিয়মিত সাফল্য পেলেও সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে পিএসজির সাফল্য নেই বললেই চলে, তাই ইউরোপে আবারও ব্যর্থ হলে নিশ্চিতভাবেই কোচের চাকুরিতেও তার প্রভাব পড়বে। 

    দলের খবর

    ঘরের মাঠে কার্ড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার জন্যে মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তি এবং থমাস মিউনিয়েরকে পাচ্ছে না পিএসজি। উরুর চোটের কারণে অ্যান্ডার হেরেরাও এই ম্যাচের স্কোয়াডে নেই। থিয়াগো সিলভা এবং কলিন দাগবার ফিটনেস নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে প্রথম লেগে পিএসজির বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি মার্কো রেউস, চোটের কারণে দ্বিতীয় লেগেও অনুপস্থিত থাকছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। অবশ্য প্রথম লেগ মিস করলেও এই ম্যাচে ফিরে আসতে পারেন মিডফিল্ডার থমাস ডেলানি, তবে সেজন্য অবশ্যই ম্যাচের আগে ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে তাকে।

    সম্ভাব্য একাদশ

    পিএসজি 

    নাভাস, কেহরার, মারকুইনোস, থিয়াগো সিলভা, বের্নাত, পারেদেস, গায়া, কিমপেম্বে, নেইমার, ডি মারিয়া, এমবাপ্পে

    বরুশিয়া ডর্টমুন্ড 

    বুরকি, পিসেক, জাগাদু, হুমেলস, হাকিমি, এমরে চ্যান, উইটসেল, গেরেরো, সানচো, হালান্ড, থরয়ান হ্যাজার্ড

    হেড টু হেড

    বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এবং পিএসজি আগে তিন বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। ২০১০-১১ ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্বে এই দু’দলের প্রথম দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। অপর ম্যাচে এবারের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ২-১ গোলে হেরেছে প্যারিসিয়ানরা।

    প্রেডিকশন

    পিএসজি ১ - ১ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড