• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    সিমিওনের দল 'প্রপার ফুটবল' খেলে না, হারের পর ক্লপ

    সিমিওনের দল 'প্রপার ফুটবল' খেলে না, হারের পর ক্লপ    

    ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে হারের পর ডিয়েগো সিমিওনের দলকে অ্যানফিল্ডে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। সেদিন ওয়ান্ডার উন্মাতাল গ্যালারিই সিমিওনের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছিল, এমনটা মনে করেই ক্লপ নিজের দুর্গ অ্যানফিল্ডে অ্যাটলেটিকোকে দেখে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে অ্যানফিল্ড এদিন খুব একটা কাজে আসল না ক্লপের। পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষকে শাসন করলেও শেষ পর্যন্ত ক্লপের কপালে জুটল হার। ইউরোপিয় প্রতিযোগিতায় অ্যানফিল্ডে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডও ভাঙল সিমিওনের হাতেই।   

    ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাই ক্ষোভ আর হতাশা ক্লপের কণ্ঠে। তবে লিভারপুল কোচ নিজেদের নিয়ে মোটেও হতাশ নন, বরং তার সব হতাশা আর আক্ষেপ অ্যাটলেটিকোর খেলার ধরন নিয়ে, “আমি আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট। এ রকম একটা দলের সঙ্গে খেলা খুবই কঠিন। আমি আসলে তাদের খেলার ধরন নিয়ে কথা বলার জন্য সঠিক শব্দও খুঁজে পাচ্ছি না। এতো ভালো প্রতিভাবান একটা দল থাকার পরেও তারা এভাবে কেন খেলে, তা আমার বোধগম্য নয়। তারা ‘প্রপার ফুটবল’ খেলতে পারে, কিন্তু সেটা না করে তারা শুধু নিজেদের অর্ধে দাড়িয়ে থাকে আর প্রতি আক্রমণে ওঠে।” 

    তবে হারের পর বিজয়ী দলের ট্যাকটিকসে খুঁত ধরার বিষয়টি যে খুব একটা ভালো দেখায় না, সেটাও অকপটেই স্বীকার করলেন ক্লপ, “আমি অবশ্যই ফলাফল মেনে নিচ্ছি। তাদের খেলার ধরনও মেনে নিচ্ছি। তবে আমি একজন ‘ব্যাড লুজার’ (হেরে যাওয়ার পর অন্যের খুঁত খোঁজা ব্যক্তি )। বিশেষভাবে যখন আমার দল দারুণ খেলেও হেরেছে তখন ‘ব্যাড লুজারের’ মতো কথা বলাটাই স্বাভাবিক। আমরা এমন একটি দলের সঙ্গে খেলেছি, যারা ম্যাচ জুড়ে দুই লাইনে ৪ জন করে দাঁড় করিয়ে ডিফেন্ড করেছে।”

    প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর ফিরতি লেগে অ্যানফিল্ডে সেই গোল শোধ দিতে বেশ সময় নেয়নি লিভারপুল। জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডামের প্রথমার্ধের গোলে সমতায় নিয়ে আসে তারা। তবে ম্যাচের বাকিটা সময় আর কেউ গোল না পেলেও অতিরিক্ত সময়ে তিন গোল দিয়ে লিভারপুলকে হটিয়ে কোয়ার্টারে জায়গা করে নেয় সিমিওনের অ্যাটলেটিকো। 

    তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিলেও প্রিমিয়ার লিগ এখন লিভারপুলের হাতের নাগালে। বাকি ৯ ম্যাচ থেকে আর মাত্র ৬ পয়েন্ট পেলেই প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা উঠবে তাদের হাতে। অবশ্য লিভারপুল পরের ম্যাচে মাঠে নামার আগে ২ ম্যাচ খেলবে ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনরা যদি সেই দুই ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে তখনই শিরোপা জিতে যাবে লিভারপুল। তবে সেজন্য অন্তত প্রিমিয়ার লিগ চালু থাকতে হবে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিরি আ স্থগিত হয়েছে, কিছুক্ষণ আগে লা লিগাও দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। প্রিমিয়ার লিগ তাই কতদিন চালু থাকে সেটাই এখন দেখার বিষয়।