• ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ২০১৯-২০
  • " />

     

    করোনা ভাইরাসের শঙ্কা নিয়েই শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

    করোনা ভাইরাসের শঙ্কা নিয়েই শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ    

    ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে ফর্মুলা ওয়ান- একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্পোর্টিং ইভেন্ট। করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটের ওপরও। শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল করে দেশে ফিরেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ও ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে করার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে সেসব। ঘরোয়া ক্রিকেটও স্থগিত রাখা হচ্ছে- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারত তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট স্থগিত করেছে, শেফিল্ড শিল্ডও সে পথেই এগুচ্ছে। 

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশেও পড়েছে করোনার প্রভাব- অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পাকিস্তান সফর, স্থগিত করা হয়েছে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে পরিকল্পিত এশিয়া ও বিশ্ব একাদশের দুটি টি-টোয়েন্টি। এতোকিছুর মাঝেই বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর- ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। যদিও ভেন্যুতে বদল আনা হয়েছে, প্রথম তিন রাউন্ড কক্সবাজারে হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে আনা হয়েছে ঢাকার তিনটি ভেন্যু- মিরপুর, বিকেএসপি ও ফতুল্লায়। 

    বিসিবি বলছে, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও মেডিকেল পরামর্শ অনুযায়ীই টুর্নামেন্ট চালাবেন তারা। তবে ক্রিকেটীয় রীতি অনুযায়ী ম্যাচশেষের ‘হ্যান্ডশেক’কে নিরুৎসাহিত করছেন তারা। আর প্রিমিয়ার লিগে ‘দর্শক’দের ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ করার বিষয় ‘প্রয়োজন’ পড়বে না তাদের। তবুও ব্যাপারটিকে দেখা হবে 'গুরুত্ব' সহকারে। 


    করোনা আপডেট : আক্রান্ত আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার পেৎজেলা, স্থগিত প্রিমিয়ার লিগ, বাতিল ভারত-দ. আফ্রিকা সিরিজ


    “বিসিবি থেকে আমাদের কিছু নির্দেশনা আছে সিসিডিএম দলগুলোর প্রতি”, টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি, “করোনাভাইরাসকে বিবেচনায় রেখে সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ও স্বাস্থ্যগত নির্দেশনা দিচ্ছে- সেগুলো আমরা অনুসরণ করবো। আমরা এরই মধ্যে ক্লাবগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং আজ একটি টিম মিটিং আছে। বিসিবি থেকে এটা নিশ্চিত করা হবে যদি কোনো খেলোয়াড় বা অফিসিয়াল সামন্যতম অসুস্থ (হন) বা লক্ষণ দেখা যায় তাৎক্ষণিক যেন বিসিবির মেডিক্যাল টিম এবং ক্লাবকে জানায়। ক্লাব যেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

    “এর বাইরে হ্যান্ডশেকের যে রীতি আছে…. সেটা কিভাবে কমানো যায়। আমরা যেহেতু অভ্যস্ত হয়ে আছি…সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এখন যেটা প্র্যাকটিস হচ্ছে সম্প্রতি, সবদিক বিবেচনা করে আমরা নিরুৎসাহিত করবো হ্যান্ডশেক-এ। এরকম বিষয়গুলো দলগুলোকে দিয়ে দেব, যেন তারা অনুসরণ করে।


    ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ২০২০ : কোন দলে কারা


    “এছাড়া দর্শকদের ব্যাপারে যেটা বলা হয়েছে সেটা আমাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বিবেচনার বিষয় ছিল। এ ম্যাচে হয়তো ‘রেসট্রিকশন’-র প্রয়োজন হবে না। তারপরও আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখব।”

    আর ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এমন- যে নির্দেশনা আসবে সেটিই মানবেন তারা। তামিম ইকবাল বলেছেন এমনই, “আর সবার মতো আমারও ভাবনা আছে এটি নিয়ে। এটিই আশা করব যেন এই কঠিন সময় থেকে গোটা পৃথিবী যেন দ্রুত বের হয়ে আসতে পারে। দুর্ভাবনার অনেক কিছুই আছে। বিশ্বজুড়েই ক্রীড়া ইভেন্ট সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখানে যারা আছেন, চিন্তা করছেন, আমি নিশ্চিত, সঠিক মানুষদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আমাদেরকে আপাতত বলা হয়েছে খেলার জন্য। আমরা খেলতে প্রস্তুত। পরববর্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত এলে সেভাবেই কাজ করব।”