ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তিতে বিলম্ব ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার
ক্রিকেট কার্যত বন্ধ বিশ্বজুড়েই। একের পর এক পূর্বনির্ধারিত সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে, অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ঘরোয়া মৌসুম। এর প্রভাব পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার পেশাদার ক্রিকেটারদের আর্থিক বিষয়ের ভবিষ্যতের ওপরও। করোনাভাইরাস মহামারিতে অবস্থা পর্যবেক্ষণে সময় নেওয়ার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তির তালিকা প্রকাশের সময়, জানিয়েছে ক্রিকইনফো।
মহামারিতে থমকে যাওয়া সময়ে বিলম্ব হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্ম মৌসুমের খেলা শুরু হতেও। এ বছর সেখানে হওয়ার কথা ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, রাজ্যভিত্তিক দলগুলির সঙ্গে বিগ ব্যাশের দলগুলিও ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে সবগুলো দিক পর্যবেক্ষণ করছে আপাতত।
এমনিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক অবস্থা খেলাবিহীন মৌসুমেও সবকিছু চালিয়ে নেওয়ার মতো দৃঢ় অবস্থায় আছে। তবে আন্তর্জাতিক সূচি পিছিয়ে যাওয়া শুরু করলে সেটির প্রভাব পড়বে এর ওপর। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সংস্থা তাই বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছে।
এর আগে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের পর লভ্যাংশ শেয়ারিং মডেলে গিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, তবে এই মডেলের মূলে আছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বার্ষিক চুক্তি। রাজ্যভিত্তিক দলগুলিকে দেওয়া বার্ষিক বরাদ্দও বড় একটি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে।
বার্ষিক চুক্তির তালিকা প্রকাশ বিলম্ব হতে পারে, ক্রিকেটারদের এমন জানিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার উইমেনস টিমের অধিনায়ক ম্যাগ লেনিং ক্রিকইনফোকে বলেছেন, “গত সপ্তাহের শেষের দিকে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আমার মনে হয় ৩০ এপ্রিল বার্ষিক চুক্তির তালিকা প্রকাশের শেষ সময় তাদের, তবে বর্তমানে যা অবস্থা, তাতে আমার মনে হয় সবার একটু ধৈর্য্য ধরা উচিৎ। আমরা কীসের সম্মুখীন, এর প্রভাব আমাদের খেলায় কেমন হবে- এগুলো নিয়ে কাজ করা উচিৎ।”
এফটিপি অনুযায়ী এখন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। এরপর পুনরায় নির্ধারিত সূচিতে জুনে বাংলাদেশে দুটি টেস্ট খেলতে আসার কথা ছিল তাদের। আর অক্টোবর-নভেম্বরে হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ তাদের।