• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    রিয়ালকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে না পেরে কেঁদেছিলেন মরিনহো

    রিয়ালকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে না পেরে কেঁদেছিলেন মরিনহো    

    কোচিং ক্যারিয়ারে একবারই ম্যাচ হেরে কেঁদেছিলেন হোসে মরিনহো। সেটাও ২০১১-১২ মৌসুমে, রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়নস লিগ না জেতাতে পেরে। পর্তুগিজ কোচের মতে, সেবারের রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা প্রাপ্যই ছিল।

    মরিনহো রিয়াল মাদ্রিদে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমে লা লিগা জিতেছিলেন। সেবার পয়েন্ট আর গোলের রেকর্ড গড়ে স্পেনের সেরা হয়েছিল রিয়াল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নের মিউনিখের কাছে হেরে বাদ পড়তে হয়েছিল সেমিফাইনাল থেকেই, “ওই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ ছিল স্পেনের সেরা দল। ইউরোপের সেরা দলও ছিল রিয়াল। সে জন্যই বায়ার্নের কাছে হারটা মানা কঠিন ছিল।

    “আমার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত একবারই হারের পর কেঁদেছি। ওটাই ছিল সে রাত। আমার স্পষ্ট মনে আছে। আইতোর (কারাঙ্কা) আর আমি বাড়ির সামনে নামলাম। গাড়িতে পুরোটা সময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। খুব কঠিন ছিল মেনে নেওয়া, কারণ আমরা সে মৌসুমে সেরা দল ছিলাম।”- মার্কাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন টটেনহাম হটস্পার কোচ।

    মরিনহোর অধীনে ৩ মৌসুমে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। মরিনহো চলে যাওয়ার পরের মৌসুমেই কার্লো আনচেলোত্তির অধীনে লস ব্ল্যাঙ্কোরা পরম আরাধ্য দশম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা ঘরে তোলে। এরপর জিনেদিন জিদানের অধীনে ৫ মৌসুমে আরও ৪ বার ইউরোপসেরা হওয়ার পর রিয়াল সমর্থকদের সেই মৌসুম নিয়ে আফসোসও কমেছে অনেকখানি। তবে মরিনহোর জন্য ওই মৌসুমের আবেদনটা আছে আগের মতোই।

    “আমরা একটা প্লেয়িং স্টাইল তৈরি করেছিলাম। সবসময় গোছানো ফুটবল খেলতাম। আর খেলোয়াড়রাও মাঠে নামলে বুঝে যেত কার কোনটা কাজ।”

    এবং আমরা ট্রানিজিশনে ভয়ঙ্কর ছিলাম প্রতিপক্ষের জন্য। সবসময় গোলের জন্য চেষ্টা করতাম, আমরা প্রায় অপ্রতিরোধ্য ছিলাম। সত্যি বলতে ওই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন লিগ শিরোপাটা প্রাপ্য ছিল।”