ড্রয়ের পর ভিএআরের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন মরিনহো
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ছয় ম্যাচ পর জয়ের সুবাস পাচ্ছিল টটেনহাম। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ের জন্য প্রথমার্ধে স্টিভেন বার্গউইনের গোলটিকেই তখন যথেষ্ট মনে হচ্ছিল। তবে ম্যাচের যখন মিনিট দশেক বাকি, তখনই ঘটল অঘটন। বক্সের ভেতর পল পগবার কাছ থেকে বল কেড়ে নিতে গিয়ে তাকে ফাউল করে বসেন স্পার্স ডিফেন্ডার এরিক ডায়ার। রেফারি জোনাথন মস কালবিলম্ব না করে সোজা পেনাল্টির ইঙ্গিত দেন, ভিএআরও মাঠের রেফারির সিদ্ধান্তে সমর্থন জানায়। পেনাল্টি থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলেই নিশ্চিত ৩ পয়েন্ট খোয়া যায় স্বাগতিকদের। আর ভিএআরের এই পেনাল্টি বহাল রাখার সিদ্ধান্তকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না টটেনহাম ম্যানেজার জোসে মরিনহো।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে মাঠের রেফারি মস আরও একটি পেনাল্টি দিয়েছিলেন ইউনাইটেডকে। তবে ফাউলের যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় সেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পাল্টে দিয়েছিল ভিএআর। ম্যাচের পর কোনও রাখঢাক না করেই ভিএআরকে একহাত নিয়েছেন মরিনহো, “আমি প্রথম পেনাল্টি নিয়ে খুশি নই, দ্বিতীয়টি নিয়েও আমার অনুভূতি একই। মোদ্দাকথা, আমি ভিএআর নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নই। প্রথম পেনাল্টিতে রেফারির প্রতি আমার কোনও ক্ষোভ নেই, সে ভুল সিদ্ধান্ত দিতেই পারে। সেই ভুল সিদ্ধান্তগুলোকে শোধরানোর দায়িত্ব তো ভিএআরের।”
“দ্বিতীয় পেনাল্টির জন্য আমি রেফারিকে দায়ী করব। কারণ সে বিল্ডআপে আমাদের নিশ্চিত ফ্রি-কিক না দিয়ে পরে ইউনাইটেডকে পেনাল্টি দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ভিএআর ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করেছে। আমাদের বিপক্ষে ইউনাইটেড পেনাল্টি পাবে এটা ধারণা করেছিলাম আগেই, কারণ তাদের পেনাল্টি পাওয়ার বেশ ভালো রেকর্ড রয়েছে।”
ইউনাইটেড ম্যানেজার সোলশার ভিএআর নিয়ে কিছু বলেননি। তিনি বরং দলের অন্যতম সেরা তারক পগবার দারুণ প্রত্যাবর্তনের বন্দনাতেই ব্যস্ত থাকলেন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে, “পলকে ফিরে পেয়ে দারুণ খুশি। একজন মিডফিল্ডারের যা যা করা দরকার তার সবই করেছে সে। ট্যাকল করেছে, পাস ইন্টারসেপ্ট করেছে এবং অসাধারণ কিছু স্কিলও দেখিয়েছে। সে এই মৌসুমে চোটের কারণে খুব বেশি খেলতে পারেনি। তবে দলের খেলায় কীভাবে অবদান রাখতে পারে সে তা এই ম্যাচে দেখিয়ে দিয়েছে। আশা করি, পল আরও হয়ে ফিট হয়ে দলকে নিজের সেরাটা দিতে পারবে।