লিভারপুলকে আটকে দিল এভারটন
ফুলটাইম
এভারটন ০-০ লিভারপুল
আরও একবার ম্যাড়মেড়ে ড্রয়ের পথেই এগুচ্ছিল মার্সিসাইড ডার্বি। শেষদিকে অবশ্য এভারটন দেখালো চমক। দুই মিনিটের ঝটকায় লিভারপুলের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়েও নিতে নিতে পারত তারা। কিন্তু সুযোগটা আর কাজে লাগাতে পারেনি শেষ পর্যন্ত তারা। তবে লিভারপুলের চির অধরা শিরোপা ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষার প্রহর হয়ত আরেকটু বাড়িয়ে দিতে পেরেছে এভারটন।
৩০ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের পয়েন্ট এখন ৮৩। ম্যানচেস্টার সিটি সোমবার বার্নলির বিপক্ষে জিতে গেলে লিভারপুলের অপেক্ষাটা বাড়বে আরও। সেক্ষেত্রে পরের ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে জিতলেও শিরোপা নিশ্চিত হবে না লিভারপুলের। অপেক্ষা করতে হবে আরও এক ম্যাচ। সেই ম্যাচ অবশ্য ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষেই।
এই নিয়ে মৌসুমে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো ড্র করল লিভারপুল। অক্টোবরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে লিগে সবশেষ ড্র করেছিল ইউর্গেন ক্লপের দল। আর সবমিলিয়ে লিগের সবশেষ ৩ ম্যাচে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জিততে ব্যর্থ হলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুল।
শিরোপার সঙ্গে দূরত্ব একটু বাড়লেও এই ম্যাচে শেষে অবশ্য এভারটনের আফসোসই হওয়ার কথা বেশি। দারুণ সব গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে তাদের। ৮০-৮২ মিনিটের ভেতরই দারুণ ৩টি সুযোগ পেয়েছিল তারা। রিচার্লিসনের কাটব্যাক থেকে ব্যাক ফ্লিকে প্রথমে গোল করতে ব্যর্থ হন ক্লাভার্ট লুইন, অ্যালিসনের কাছে হার মেনেছিলেন তিনি। ফিরতি বলে টম ডেভিসের আড়াআড়ি শট গিয়ে লাগে দূরের বারপোস্টে।
ওই কর্নার থেকে ক্লাভার্ট লুইন দূরের পোস্টে ভালো একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। তার হেড গেছে বাইরে দিয়ে। এর খানিক বাদে রিচার্লিসনও বক্সের ভেতর ঢুকে গোলে শট করেছিলেন। দারুণ দক্ষতায় বদলি ডিফেন্ডার ডেয়ান লভ্রেনকে কাটাতে পারলেও অ্যালিসনকে আর হার মানাতে পারেননি তার স্বদেশী।
মার্সিসাইড ডার্বি দিয়ে প্রায় একশ দিন পর মাঠে ফিরে দুই দলের প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই তেমন আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেনি। রিচার্লিসন অবশ্য কাছাকাছি গিয়েছিলেন। বাইলাইনের কাছ থেকে নেওয়া তার শট তখন চলে যায় বাইরে দিয়ে। অন্যপ্রান্তেও আরেক ব্রাজিলিয়ানের কাছেই গিয়েছিল লিভারপুলের প্রথমার্ধের একমাত্র সুযোগ। রবার্তো ফিরমিনো তখন তাড়াহুড়োয় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেই দুর্বল শট করেছেন গোলে।
মোহামেদ সালাহকে ছাড়াই নেমেছিল লিভারপুল। ফিরমিনো আর সাদিও মানের সঙ্গে ছিলেন তাকুমি মিনামিনো। এই ত্রয়ী তেমন কোনো আশার আলো দেখাতে পারেননি ক্লপকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মিনামিনোর জায়গায় অ্যালেক্স অক্সলেড চেম্বারলেইনকে নামিয়ে ক্লপ চিত্রে কিছুটা বদল এনেছিলেন। তাতে পরের অর্ধে দারুণ শুরু করেছিল লিভারপুলও। তবে এভারটন গোলের যত কাছাকাছি গিয়ে খালি হাতে ফিরেছে, লিভারপুলের আর অতোখানি যাওয়া হয়নি। পয়েন্ট টেবিলের ১৩-তে থেকে ম্যাচ শুরু করা কার্লো আনচেলোত্তির আফসোসটাই বেশি হওয়ার কথা এই ড্রয়ের পর।
বৃহস্পতিবার লিভারপুল পরের ম্যাচ খেলবে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে। সিটি নিজেদের ম্যাচে (বার্নলির বিপক্ষে) পয়েন্ট হারালে আর লিভারপুল প্যালেসকে হারালে সেই রাতে ৩০ বছরের আক্ষেপ ঘুচবে লিভারপুলের।