করোনাভাইরাসের প্রভাবে কমে যেতে পারে সিটির দলবদলের বাজেট, ইঙ্গিত দিলেন গার্দিওলা
করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপের ফুটবল ক্লাবগুলোর ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির কথা কারও অজানা নয়। খেলোয়াড় এবং স্টাফদের বেতন কমানোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কৃচ্ছ্রতাসাধন করে আর্থিক ক্ষতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে ক্লাবগুলো। আর এই অবস্থায় দলবদলের বাজারেও স্বাভাবিকভাবেই তাদের খরচ কমিয়ে দেওয়ার কথা। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, সাধারণ সময়ে কাড়ি-কাড়ি অর্থ খরচ করা ম্যানচেস্টার সিটিকেও খরচে বাধ দিতে হচ্ছে। আর তাই আগামী দলবদলের বাজারে সিটির বাজেট অনেকটা সংকুচিত হতে পারে বলে জানালেন দলটির ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা।
এই মৌসুম শেষ অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার ডেভিড সিলভা ক্লাব ছাড়ছেন সেটা পুরনো খবর। জার্মান উইঙ্গার লেরয় সানেও এই মৌসুমেই সিটিকে বিদায় বলছেন এমন গুঞ্জনও চাউর হয়েছে। আর গত মৌসুম শেষে বিদায় নেওয়া ক্লাবের সাবেক অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানির বদলি হিসেবে কোনও ডিফেন্ডারকে এখনও দলে টানেনি সিটি। সামনের দলবদলে তাই স্কোয়াডের বেশকিছু জায়গায় খেলোয়াড় প্রয়োজন দলটির। তবে স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গার্দিওলা জানালেন, “করোনাভাইরাসের কারণে ক্লাবের আর্থিক বিষয়াবলীতে কোনও পরিবর্তন এসেছে কিনা তা আমি ঠিক জানিনা। মৌসুম শেষ হলে সেটি জানা যাবে। আমি আগে বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখে যখন ছিলাম, তখন ক্লাব কর্তৃপক্ষ যখন বলত যে ‘এটা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে’, সেটা মেনে নিতে হত। ক্লাব বর্তমান স্কোয়াড ধরে রাখতে পারে কিনা সেটার ওপর সবকিছু নির্ভর করবে। আগামী দুই মাসে এই বিষয়ে ক্লাবকে কাজ করতে হবে।”
এই সপ্তাহেই সানে বেশ কয়েকবার ক্লাবের নতুন চুক্তির প্রস্তাব দিরিয়ে দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। আর সানে যদি একান্তই এই মৌসুম শেষে ক্লাব ছেড়ে চলে যান এবং তার বদলে ক্লাব যদি নতুন খেলোয়াড় দল আনতে না পারে সেক্ষেত্রে যারা এখন স্কোয়াডে আছে তাদের দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে হবে গার্দিওলাকে। সানে চলতি মৌসুম শেষে ক্লাবের সঙ্গে থাকবেন কিনা সেই বিষয়ে গার্দিওলা নিজেও নিশ্চিত নন, “লেরয় আমাদের খেলোয়াড়। সে আগামী গ্রীষ্মে ক্লাব ছাড়বে নাকি চুক্তি শেষ হলেই চলে যাবে, এই বিষয়টি নিয়ে আমি এখনই নিশ্চিত নই। আক্রমণভাগে আমাদের যথেষ্ট ভালমানের খেলোয়াড় রয়েছে। বাম প্রান্ত দিয়ে গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ফিল ফোডেনরা খেলতে পারে, রহিম স্টার্লিং-ও আছে। তারা সবাই ফিট আছে। আমাদের স্কোয়াডের অন্য দিকগুলোতে নজর দেওয়া উচিৎ।”