• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইউনাইটেডের 'রেকর্ড-জয়', অবামেয়াংয়ের আরেকটি চূড়া: সংখ্যায় সংখ্যায় প্রিমিয়ার লিগ

    ইউনাইটেডের 'রেকর্ড-জয়', অবামেয়াংয়ের আরেকটি চূড়া: সংখ্যায় সংখ্যায় প্রিমিয়ার লিগ    

    আর চার রাউন্ড বাকি প্রিমিয়ার লিগের। লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে আগেই, ম্যান সিটিরও দুয়ে থাকা প্রায় নিশ্চিত। দুই দলের জন্য বাকি ম্যাচগুলো এখন আনুষ্ঠানিকতাই। তবে শীর্ষ চারের বাকি দুইটি জায়গা নিয়ে লড়াই হচ্ছে জমজমাট। এই সপ্তাহে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তিনে উঠে এসেছে চেলসি, আর্সেনালের সঙ্গে ড্র করে চারে নেমে গেছে লেস্টার সিটি। ম্যান ইউনাইটেদকে অ্যাস্টন ভিলাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আছে পাঁচেই। তবে চেলসি (৬০), লেস্টার (৫৯), ইউনাইটেড (৫৮) একদম কাছাকাছি, শেষ চার রাউন্ডে এই দুই জায়গায় হতে পারে অনেক কিছুই। ওদিকে উলভস বেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে ছয়ে, ইউরোপা লিগের লড়াইয়ে শেফিল্ড, আর্সেনাল, টটেনহাম, বার্নলি আছে তাদের কাছাকাছি। এত কিছুর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে এই সপ্তাহে হয়েছে কিছু রেকর্ডও।

     

    পুনরায় লিগ শুরুর পর টানা চার ম্যাচে অন্তত তিন বা তার বেশি গোলে জয় পেল ইউনাইটেড। শেফিল্ড (৩-০), ব্রাইটন (৩-০), বোর্নমাউথ (৫-২), অ্যাস্টন ভিলার (৩-০) সঙ্গে জয়ে করেছে একটা রেকর্ডও। প্রিমিয়ার লিগে কোনো ক্লাবের টানা চার ম্যাচে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড নেই। সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগের আগে লিভারপুলের ছিল এই কীর্তি, ১৯৮৭ সালে।

     

    টটেনহামের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করার ম্যাচে বার্নলির গোলে কোনো শট হয়নি। এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে এই ঘটনা প্রথম। টটেনহাম অবশ্য ১২টি কর্নার নিয়েছিল। এতগুলো কর্নার নিয়েও গোলে কোনো শট করতে না পারার কীর্তিও লিগে গত ১০ বছরে প্রথম।

     

    ১৩

    এই মৌসুমে ম্যান ইউনাইটেডের মোট পেনাল্টি-প্রাপ্তি। এই মৌসুমে এর চেয়ে বেশি পেনাল্টি পায়নি আর কোনো দল। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসেই এটা রেকর্ড, এর আগে লেস্টার (২০১৫-১৬) ও ক্রিস্টাল প্যালেস (২০০৪-০৫) পেয়েছিল এতগুলো পেনাল্টি। এই মৌসুমে লিগে ৭৯টি পেনাল্টির ১৩টিই পেল ইউনাইটেড।

     

    টানা তিন প্রিমিয়ার লিগে গোল পেলেন ইউনাইটেড টিন এজার ম্যাসন গ্রিনউড। ইউনাইটেডের হয়ে টিন-এজে টানা তিন ম্যাচে গোল করার কীর্তি আছে আর একজনেরই, ২০০৫ সালে করেছিলেন ওয়েইন রুনি। আর ১৮ বা তার কম বয়সে টানা তিনটি লিগের ম্যাচে গোল করা চতুর্থ খেলোয়াড় হলেন গ্রিনউড।

     

    ৩০

    এই মৌসুমে লিভারপুল তাদের প্রথম ৩৪টি প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের ৩০টিতেই জিতেছে। ইংলিশ লিগে এর চেয়ে কম ম্যাচে কেউ ৩০টি জয় পায়নি।

     

    থিঁয়েরি অঁরির পর দ্বিতীয় আর্সেনাল ফুটবলার হিসেবে টানা দুই মৌসুমে ২০ লিগ গোল হলো পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াংয়ের। অঁরি টানা পাঁচ মৌসুমে ২০টির বেশি গোল করেছিলেন।

     

    থিও ওয়ালকট, ডেভিড সিলভা ও জর্ডান হেন্ডারসনের সঙ্গে গত ১০ প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে অন্তত ১ গোল করা চতুর্থ ফুটবলার হলেন ড্যানি ওয়েলবেক।

    ইউরোপিয়ান লিগে গত চার মৌসুমে্র প্রতিটিতে অন্তত ২০ গোল করেছেন এমন খেলোয়াড় ছিলেন তিনজন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি ও রবার্ট লেভানডফস্কির সঙ্গে এবার যোগ দিলেন পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং।

     

    এই মৌসুমে আলাদা পাঁচজন (ডি ব্রুইন, আগুয়েরো, স্টার্লিং, জেসুস, মাহরেজ) ম্যান সিটির হয়ে অন্তত ১০ গোল করেছেন। ইংলিশ লিগের ইতিহাসে যা প্রথম।

     

    ১৮

    এই মৌসুমে কেভিন ডি ব্রুইনের অ্যাসিস্ট। ইংলিশ লিগে এক মৌসুমে এর চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট আছে শুধু মেসুত ওজিলের (২০১৫-১৬ মৌসুমে ১৯টি) ও সর্বোচ্চ থিয়েরি অঁরির (২০০২-০৩ মৌসুমে ২০টি)

     

    (সূত্রঃ অপটা, গ্রেসনোট, ইএসপিএন)