• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    সারি চান না, এক ম্যাচ দিয়ে তাকে বিচার করা হোক

    সারি চান না, এক ম্যাচ দিয়ে তাকে বিচার করা হোক    


     

    আর যাই হোক, এটা নিশ্চয় আশা করেননি মারিজিও সারি। ফ্রেঞ্চ লিগে যারা সপ্তম হয়ে শেষ করেছে, সেই লিঁওর বিপক্ষে ইতালির চ্যাম্পিয়নদের হার তো বড় অঘটনই। কিন্তু নিজেদের মাঠে জিতেও অ্যাওয়ে গোলে বাদ পড়ায় সেটাই মেনে নিতে হচ্ছে সারিকে। তবে দলের হারে হতাশ হলেও খেলায় হতাশ নন জুভেন্টাস কোচ। এই একটা ম্যাচ দিয়ে তাকে যাচাই করা হোক, চান না সেটিও।

    প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর কাল নিজেদের মাঠে অন্তত দুই গোলে জিততে হতো জুভেন্টাসকে। কিন্তু শুরুতে গোল খাওয়ার পর রোনালদো টনিকে ফিরে আসার পরেও কাজটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। সিরি আ চ্যাম্পিয়ন হলেও সারির দলের ফর্মটা ভালো যায়নি কিছুদিন, খেলা দিয়েও মন ভরাতে পারেনি। তবে কালকের ম্যাচের খেলা নিয়ে জুভেন্টাস কোচ সন্তুষ্টই, ‘আমি যদি কোয়ালিফাই না করতে পেরে হতাশও হই, কালকের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুশি।’

    বরং অবাক করেই সারি বলছেন, কালকের ম্যাচে দলের কাছ থেকে এতোটা ভালো খেলা আশা করেননি তিনি, ‘আমি আসলে দলের কাছ থেকে এতোটাও আশা করিনি। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি। আমরা এমন একটা পেনাল্টিতে পিছিয়ে পড়েছি যেটা নাও হতে পারত। ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর তিনটা সুযোগ পেয়েছি আমরা।’

    সারি মনে করিয়ে দিয়েছেন, গ্রুপ পর্বে মাত্র দুই পয়েন্ট হারিয়ে শেষ ষোলোতে উঠেছিল জুভেন্টাস। লিওর মাঠে পরাজয়টাই এবারের লিগে তাদের একমাত্র হার, সেটাও বলছেন সারি, ‘ এই প্রতিযোগিতায় আসলে পা হড়কানোর কোনো সুযোগ নেই। সাধারণ র‍্যাংকিং হলে আমরা ছয় জয়, এক ড্র, এক হারের পর প্রথম বা দ্বিতীয় হতাম।’

    কিন্তু সিরি আ জিতলেও চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়ার মাশুল হিসেবে চাকুরি হারাতে হবে না তো? সারি আশা করছেন, সেরকম কিছু হবে না, ‘আমার মনে হয় না, আমাদের ক্লাব কর্তারা একটা ম্যাচ দিয়ে সবকিছু বিচার করবেন। আমার মনে হয় তারা পুরো পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্তে আসবেন- সেটা আমার পক্ষে যাক বা বিপক্ষে যাক।’

     করোনাভাইরাসের জন্য এবার যে পরিকল্পনায় অনেক রদবদল হয়েছে, সেটাও বললেন সারি, ‘কয়েক মাস আমরা আসলে কিছুই করতে পারিনি। আমরা ঘরে বন্দি ছিলাম, কোয়ারেন্টিনে থেকে আমাদের কেউ কেউ ব্যক্তিগত অনুশীলন করেছে,। এরপর কয়েকদিন দলীয় অনুশীলনের পর আমাদের ৪৮ দিনে ১৪টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে।’