• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    সংখ্যায় সংখ্যায় : ইউরোপে ফ্রেঞ্চ ফুটবলের ইতিহাস নতুন করে লিখল লিওঁ

    সংখ্যায় সংখ্যায় : ইউরোপে ফ্রেঞ্চ ফুটবলের ইতিহাস নতুন করে লিখল লিওঁ    

    ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করে দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেছে লিওঁ। আর ফ্রেঞ্চ ক্লাবটির এই মিরাকলে ওলটপালট হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের অনেক রেকর্ড।

    ২৫ 

    পঁচিশ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে নেই কোনো ইংলিশ এবং স্প্যানিশ দল। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে শেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল।

    এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ওঠা চার দলের দুটি ফ্রান্সের (পিএসজি এবং লিওঁ), আর দুটি জার্মানির (বায়ার্ন মিউনিখ এবং লাইপজিগ)। ২০১২-১৩ মৌসুমের পর এই প্রথম সেমিফাইনালের চারটি দল মিলে দুটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে।

    টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ল গার্দিওলার সিটি। ২০১৭-১৮ মৌসুমে লিভারপুল, ২০১৮-১৯ মৌসুমে টটেনহাম আর এবার লিওঁ-র বিপক্ষে হেরে ইউরোপ থেকে বিদায় নিয়েছে সিটিজেনরা।

    বার্সেলোনা এবং বায়ার্ন মিউনিখের ম্যানেজার হিসেবে নিজের প্রথম সাত চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল পাড়ি দিয়ে সেমিতে পৌঁছাতে পেরেছিলেন গার্দিওলা। তবে সিটির হয়ে শেষ ৩ বারই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হল তাকে।

    আর প্রথম ফ্রেঞ্চ ক্লাব হিসেবে একবিংশ শতকে তৃতীয়বারের মতো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উঠেছে লিওঁ। ২০০৯-১০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ২০১৬-১৭ মৌসুমে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে খেলেছিল তারা।

    চ্যাম্পিয়নস লিগে সিটির বিপক্ষে এই নিয়ে চার গোল করলেন লিওঁ-র ম্যাক্সওয়েল কর্নেই, আর এর মাধ্যমে লিওনেল মেসিকে ছুঁয়েছেন  তিনি। গার্দিওলা সিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর শুধু মেসি-ই সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৪ গোল করতে পেরেছেন।

    ইউরোপিয়ান কাপ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছে দুটি ফ্রেঞ্চ ক্লাব (পিএসজি এবং লিওঁ)। আর ১৯৯২-৯৩ মৌসুমের ইউয়েফা কাপের পর দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শেষ চারে উঠল দুটি ফ্রেঞ্চ ক্লাব।