• ইউরোপা লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগে : সেভিয়ার ষষ্ঠ নাকি ইন্টারের চতুর্থ?

    কিক অফের আগে : সেভিয়ার ষষ্ঠ  নাকি ইন্টারের চতুর্থ?    

    কবে, কখন

    সেভিয়া-ইন্টার মিলান

    ইউরোপা লিগ ফাইনাল ২০২০

    ২২ আগস্ট, রাত ১.০০


    সেভিয়া এবং ইন্টার মিলানের মাঝে ফাইনাল দিয়ে এবারের ইউরোপা লিগের পর্দা নামছে। দুই দলের কেউই এর আগে কখনো মুখোমুখি হয়নি, প্রথমবার দেখা হচ্ছে তাদের, তাও আবার ফাইনালে। সেভিয়া এবং ইন্টার মিলানকে ইউরোপা লিগের অভিজাত বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না। রেকর্ড পাঁচবার ইউরোপা লিগ জিতেছে সেভিয়া আর ইন্টার জিতেছে তিন বার।

    সেভিয়া গত এক দশকে এই ট্রফি তিনবার ঘরে তুলতে পারলেও এই সময়টায় ইন্টারের ট্রফির খাতা শুন্য থেকেছে। শেষ ২০১০-১১ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল সান সিরোর দলটি। এরপর থেকে মাঠের পারফরম্যান্স গ্রাফ শুধু নিচের দিকেই গেছে। অবশেষে সাবেক জুভেন্টাস ও চেলসি ম্যানেজার আন্তোনিয়ো কন্তের হাত ধরে এবার ভাগ্য বদলেছে দলটির। সিরি আ-তে চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসের চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে মৌসুম শেষ করেছে ইন্টার, আর ইউরোপা লিগেও শিরোপা থেকে মাত্র ১ জয় দূরে রয়েছে তারা।


    অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদে টিকতে না পারা হুলেন লোপেতেগির হাত ধরে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে সেভিয়া। উনাই এমেরির অধীনে টানা ৩ বার ইউরোপা লিগ জিতেছিল তারা। এরপর দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলে গত মৌসুমে আবারও ইউরোপা লিগে ফিরেছিল সেভিয়া। কিন্তু স্লাভিয়া প্রাহার কাছে হেরে শেষ ষোল থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা। এবার লোপেতেগির অধীনে আবারও ফাইনালে উঠে আসল দলটি।

    ৪-৩-৩ ফরমেশনে সেভিয়াকে খেলানো লোপেতেগি ক্লাবে আসার পর থেকেই পজিশনাল ফুটবলের ওপর জোর দিয়েছেন, যাতে প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের থেকে বল দূরে রাখা যায়। তবে ট্যাকটিকসের দিক দিয়ে লোপেতেগি কতটা সফল হয়েছেন সেটা সময়ই বলে দেবে। কারণ সেমিফাইনালে তার ট্যাকটিকস খুব একটা কাজে দেয়নি। গোলরক্ষক বোনো ইউনাইটেডের দুর্দান্ত অ্যাটাকারদের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই রক্ষা পেয়েছিল সেভিয়া, নয়ত ম্যাচের ফলাফল অন্য রকমও হতে পারত। ইন্টার মিলানের দুর্ধর্ষ স্ট্রাইকারদ্বয় লাউতারো মার্টিনেজ এবং রোমেলু লুকাকুদের ঠেকাতে নতুন কৌশলে না গেলেও বর্তমান ফরমেশনটিকেই আরেকটু সুগঠিত করতে হবে লোপেতেগিকে।


    অপরদিকে থ্রি ম্যান ব্যাকলাইন নিয়ে খেলে ইন্টার মিলান। স্বাভাবিকভাবেই দুই ফুল ব্যাক অনেকটা ওপরে উঠে খেলার সুযোগ পায়। কিন্তু এতে করে খেলায় যতটা গতি সঞ্চার হওয়ার কথা, সেটি হয় না বললেই চলে। মূলত দুই ফরোয়ার্ড দুর্দান্ত ফর্মে থাকায় কাজ চলে যাচ্ছে কন্তের। তবে সেভিয়ার মতো দলের বিপক্ষে ফাইনালে ভালো কিছু করতে হলে খেলায় আরও গতি নিয়ে আসতে হবে তাদের।

    দলের খবর

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে সেভিয়ার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ওকাম্পোস খুড়িয়ে খুড়িয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে চোট গভীর নয় বলেই জানা গেছে। তাই ফাইনালে শুরু থেকেই তাকে দেখা যেতে পারে। স্প্যানিশ ক্লাবটিতে আর কোনো চোট বা নিষেধাজ্ঞার সমস্যা নেই। লুক ডি ইয়ং ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়সূচক গোল করলেও এই ম্যাচেও তার বদলে লোপেতেগি এন নাসিরিকেই শুরু থেকে খেলাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    ইন্টার মিলানেও মাতিয়াস ভেসিনো ছাড়া আর কারও চোট সমস্যা নেই। তাই সেমিফাইনালে শাখতারের বিপক্ষে যে একাদশ দেখা গেছে, সেটিতে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। ইউরোপা লিগে নকআউট পর্বের আগের ম্যাচগুলোর মতো ফাইনালেও ৩-৫-২ ফরমেশনেই আন্তোনিয় কন্তে দল সাজাতে পারেন।

    সম্ভাব্য একাদশ

    সেভিয়া

    বোনো, নাভাস, কুন্দে, ডিয়েগো কার্লোস, রেগিয়োন, ফার্নান্দো, জর্ডান, বানেগা, ওকাম্পোস, এন নাসিরি, সুসো

    ইন্টার মিলান

    হান্দানোভিচ, গডিন, বাস্তোনি, ডি ভ্রাই, দা’মব্রোসিও, গ্যালিয়ারদিনি, বারেলা, ব্রজোভিচ, ইয়ং, মার্টিনেজ, লুকাকু

    প্রেডিকশন

    সেভিয়া ১ - ২ ইন্টার মিলান