ফাইনালসুলভ লড়াই শেষে সমতায় বার্সা-ইউনাইটেড
বার্সেলোনা ২:২ ম্যান ইউনাইটেড
তর্কসাপেক্ষে ইউরোপা লিগের সবচেয়ে বড় দুই দল তারা। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনাও ছিল সেরকম। ন্যু ক্যাম্পের প্রায় লাখখানেক দর্শককে হতাশ করেনি কোনো দলই। আক্রমণাত্মক ফুটবলের পশরা সাজিয়ে প্রাণবন্ত ৯০ মিনিট উপহার দিয়েছে বার্সেলোনা ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দুই দলই এক পর্যায়ে লিড নিলেও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয়েছে প্রথম লেগ।
নকআউট পর্বের প্রথম রাউন্ডেই এই দুই ইউরোপীয় পরাশক্তির দেখা হয়ে যাওয়া তাদের জন্য ছিল দুঃসংবাদই। তবে নিজেদের লিগে শিরোপার জন্য লড়াই করলেও এই ম্যাচকে ছোট করে দেখেনি কেউ। দুই দলই নামিয়েছে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী একাদশ। যদিও ইনজুরির জন্য অনুপস্থিত ছিলেন কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য (বার্সার ডেম্বেলে, বুস্কেটস; ইউনাইটেডের মার্শিয়াল এরিকসেন), কিন্তু এই ম্যাচকে ঘিরে অল-আউট অ্যাটাকের পরিকল্পনাই করেছিলেন দুই ম্যানেজার। যে কারণে প্রথম মিনি থেকেই খোলামেলা আক্রমণ-নির্ভর ফুটবল খেলতে শুরু করে দুই দল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের মহড়া সাজিয়ে গেলেও প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনো দল।
দ্বিতীয়ার্ধেই শুরুতেই অবশ্য ভাঙে ডেডলক। ৪৭ মিনিটে মাঠের এক প্রান্তে আরাউহোর ভুল থেকে প্রায় গোল করেই বসেছিলেন জ্যাডন সাঞ্চো। কিন্তু তার শট বাইরে দিয়ে যাওয়ার পর পরই অপর প্রান্তে আক্রমণে উঠে বার্সা। সেই আক্রমণ থেকে পাওয়া কর্নারে হেড করে গোল করেন মার্কোস অ্যালনসো।
তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি বার্সা। এর দুই মিনিটের মধ্যে অপর প্রান্তে এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে নিয়ার পোস্টে টার স্টেগানকে পরাস্ত করেন মার্কাস রাশফোর্ড।
৫৯ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে ইউনাইটেড। এই গোলের মূল কারিগরও রাশফোর্ড। ছোট করে নেওয়া কর্নার থেকে বল নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকেন রাশফোর্ড। তারপর করেন ক্রস। তার ক্রস ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও কাসেমিরোকে পেড়িয়ে বার্সা ডিফেন্ডার জুলস কুন্ডের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড।
দ্বিতীয়ার্ধের এই পর্যায়ে এসে ম্যাচে ইউনাইটেড পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু বার্সা হার মানেনি। ৭৬ মিনিটে কাসেমিরোর এক ব্যাকপাসকে কেটে বলের দখল নেন জুলস কুন্ডে। লেফট উইংয়ে থাকা রাফিনহাকে পাস দেন তিনি। একটু ভিতরে এসে বক্সে দাঁড়ানো লেভানডফস্কিকে ক্রস করেন রাফিনহা। তবে সেই ক্রসে পা ছোঁয়াননি লেভা। তার এবং গোলরক্ষকের সামনে ড্রপ খেয়ে জালে জড়ায় বল। ম্যাচে ফিরে আসে বার্সা।
শেষ ১৫ মিনিটের সিংহভাগ সময় বার্সাই আক্রমণ চালায়। বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের শেষ পাঁচ মিনিটে। এই সময়ে বার্সার একটি কর্নার থেকে প্রায় নিজের জালে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন কাসেমিরো। বল ক্রসবারে লাগায় শেষ রক্ষা হয় ইউনাইটেডের।