• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    নেইমারের চেয়ে এমবাপ্পের ওপর বিনিয়োগে বেশি লাভ দেখছেন রোনালদো

    নেইমারের চেয়ে এমবাপ্পের ওপর বিনিয়োগে বেশি লাভ দেখছেন রোনালদো    

    নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপ্পে, দুজনেই পিএসজির আক্রমণের প্রাণভোমরা । তবে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক স্ট্রাইকার রোনালদো কোনো ক্লাবের দায়িত্ব থাকলে স্বদেশী নেইমারের চেয়ে বরং কিলিয়ান এমবাপ্পেকেই দলে টানতে বেশি আগ্রহী হতেন। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগে লিসবনে আয়োজিত এক প্রিভিউ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সঙ্গে ব্যাঙ্কো সান্তানদারের অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন লুইস ফিগো এবং রুই কস্তা।

    নেইমারের চেয়ে কেন এমবাপ্পেকে কেন বেশি প্রাধান্য দেবেন সেই কারণটিও জানিয়েছেন রোনালদো, “এটা এমন নয় যে একজনের চেয়ে আরেকজন ভালো। তবে আপনি যদি একজন খেলোয়াড়ের পিছনে বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে। এখানে একজনের বয়স ২৮, আরেকজনের ২১, তাই এখানে কার ওপর আপনার বিনিয়োগ করা উচিৎ সেটা সহজেই বোঝা যায়। এটাই হবে যৌক্তিক বিনিয়োগ।”


    খেলোয়াড়ি জীবনে সম্ভাব্য সবকিছু জিতলেও চ্যাম্পিয়নস লিগ কখনো ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার, সেটা নিয়ে একটা আক্ষেপ রয়ে গেছে এই স্ট্রাইকারের, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই একটি শিরোপাই আমার ট্রফি ক্যাবিনেটে নেই। তবে এটা জিততে না পারলেও এখানে খেলা উপভোগ করেছি। এই টুর্নামেন্টে অনেক ম্যাচ খেলেছি আর অনেক গোল করেছি।”

    চ্যাম্পিয়নস লিগে এবারের আসরে পিএসজির এগিয়ে যাওয়ায় অবদান রাখতে পারলেও গোল পাচ্ছেন না নেইমার। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ বার বল জালে জড়াতে পেরেছেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, গোলের অনেকগুলো সহজ  সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন। তবে নেইমার দ্রুতই আবারও গোলের ধারায় ফিরবে বলে বিশ্বাস রোনালদোর, “এটা ঠিক যে নেইমার শেষ কয়েকটা ম্যাচে দারুণ খেলছে, বিশেষভাবে পর্তুগালে মিনি টুর্নামেন্টে, গোলের অনেক সুযোগ তৈরি করছে সে। তবে তার ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা দেখা গেছে। তবে সে গোল করতে জানে, গোল করতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না তার। ভাগ্য ভালো থাকলে ফাইনাল দিয়েই আবারও গোলের ধারায় ফিরতে পারে নেইমার।”

    শেষ পর্যন্ত বায়ার্ন নাকি পিএসজি, লিসবনে ইউরোপ সেরার মুকুট পরবে কে? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই রোনালদোর কাছে, তিনি শুধু একটি ভালো দ্বৈরথের প্রত্যাশায় রয়েছেন, “নকআউট পর্বে নতুন ফরম্যাটে অনেক চমক দেখা গেছে। যেসব দলের সুযোগ কম ছিল, তারাও ম্যাচ জিতেছে। যারা ফাইনালে এসেছে, তারা যোগ্য হিসেবেই উঠে এসেছে। এটা একটা সত্যিকারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। আশা করি, ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টে দারুণ সমাপ্তি হবে।”

    রাত ১ টায় লিসবনে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মাঠে নামবে পিএসজি এবং বায়ার্ন মিউনিখ।