আইনি লড়াইয়ে মেসির চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে বার্সেলোনা
বার্সেলোনা ছাড়তে চান বলে ক্লাবের কাছে ব্যুরোফ্যাক্স (প্রত্যয়িত পত্র) পাঠিয়েছেন মেসি। চার বছর আগে বার্সার সঙ্গে করা চুক্তিতে একটি ‘এক্সিট ক্লজ’ ছিল, যেটির বলে ২০১৯-২০ মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ার সুযোগ ছিল তার। তবে সেই ক্লজের মেয়াদ জুনেই শেষ হয়ে গেছে বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। তবে মেসির মতে, মৌসুম যেহেতু আগস্টে শেষ হয়েছে, তাই সে পর্যন্ত এই ক্লজ বলবৎ থাকার কথা। আর এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষ কোনো সমাধানে আসতে না পারলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি আইনি লড়াইয়েই নামতে হয় দুই পক্ষকে সেক্ষেত্রে বার্সেলোনা মেসির চেয়ে এগিয়ে থাকবে বলে মনে করেন স্প্যানিশ ক্রীড়া আইনজীবী সান্তিয়াগো নেবত।
রয়টার্সের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে স্প্যানিশ সকার প্লেয়ার্স ইউনিয়নের সাবেক পরামর্শক নেবত বলেছেন, “আমার মনে হয়, বার্সেলোনা এক্ষেত্রে ভালো অবস্থানে রয়েছে, তবে মেসিও বার্সেলোনার দুর্বলতাগুলো দেখিয়ে দিয়েছেন। সে যদি বার্সেলোনার কাছে ফ্রি ট্রান্সফার চায় আর ক্লাব যদি সেটা না দেয়, মেসি কিছুই করতে পারবে না।”
“তবে মেসি এক্ষেত্রে ক্লজটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। সে বলছে, আমি ক্লাব ছেড়ে যাব, যদি আমার সাথে আলোচনা না কর। আমি এই ক্লজটি ব্যবহার করব, যেটির সময়কাল বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাই এটি এখনো কার্যকর আছে। করোনার কারণে এখন ক্লজের মেয়াদ শেষের বিষয়টি ছাড়াও দুই পক্ষের ভাব পর্যালোচনা করাটাও জরুরী। ক্লজের মেয়াদ শেষের দিন হিসেবে কেন ১০ জুনকে নির্ধারণ করা হয়েছিল? স্বাভাবিক সময়ে মৌসুম শেষের ১০ দিন পর হিসেবে নাকি দলবদল শুরুর ২০ দিন আগে হিসেবে (সাধারণ সময়ে ১ জুলাই দলবদল শুরু হয়), সেটাও নিশ্চিত হওয়া দরকার।”
বার্সেলোনার নতুন স্পোর্টিং ডিরেক্টর রামন প্লেনস অবশ্য এখনো মেসিকে আগামী মৌসুমে দলে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। ক্লাবের পুনর্গঠন কার্যক্রম ‘বিশ্বের সেরা ফুটবলার’কে কেন্দ্র করেই করার ইচ্ছে তাদের। আর সেই লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণভাবে মেসিকে তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে রাজি করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্লেনস।