• মেসির দলবদল
  • " />

     

    বার্সেলোনার বিপক্ষে আদালতে যেতে চাননি মেসি, তাই থেকে গেলেন বার্সায়

    বার্সেলোনার বিপক্ষে আদালতে যেতে চাননি মেসি, তাই থেকে গেলেন বার্সায়    

    লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার পর তার কাছে রাস্তা খোলা ছিল দুইটি। চুক্তির বাই আউট ক্লজ অনুযায়ী ৭০০ মিলিয়ন ইউরো বার্সেলোনাকে পরিশোধ করে এরপর যে কোনো ক্লাবের দলে ভেড়াতে হত মেসিকে। যদিও মেসির আইনজীবিরা দাবি করেছিলেন চুক্তির একটি শর্ত অনুযায়ী মেসি স্বেচ্ছায় ক্লাব ছাড়তে পারেন। আর বার্সেলোনা দাবি করেছিল ৭০০ মিলিয়ন ইউরো। এই দ্বন্দ্বে জিতে মেসিকে ক্লাব ছাড়তে হলে যেতে হত আদালতে। মেসি বলছেন, যে ক্লাবের সঙ্গে তার আত্মার বন্ধন তার বিপক্ষে কোর্টে দাঁড়াতে চাননি বলেই থেকে যাচ্ছেন তিনি।

    গোল ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দলবদলের নাটকীয় সব ঘটনায় খোলাসা করেছেন ৩৩ বছর বয়সী। এই মৌসুমের মাঝামাঝি সময়েই বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত ক্লাব প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তোমেউকে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে বার্তোমেউ জানিয়েছিলেন মৌসুম শেষে সিদ্ধান্ত নিতে।



    "আমি নিশ্চিত ছিলাম আমাকে যেতে দেওয়া হবে। প্রেসিডেন্ট আমাকে সবসময় বলে এসেছেন, মৌসুম শেষে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারব। পরে তারা দাবি করে বসল আমি ১০ জুনের আগে জানাইনি। কিন্তু তখন আমরা করোনাভাইরাসের কারণে মৌসুমের মাঝপথে। এই করোনাভাইরাস মৌসুমের সময় বদলে দিয়েছে।"

    "যেহেতু ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করা অসম্ভব এই কারণেই আমি এখন ক্লাব থেকে যাব। কারণ প্রেসিডেন্ট আমাকে জানিয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো ছাড়া তারা আমাকে ছাড়বে না।"

    "আরেকটা উপায় ছিল, যদি আদালতে গিয়ে আমরা মীমাংসা করতাম। আমি কখনও এই কাজ করব না। যে ক্লাব আমাকে দিয়েছে তাদের নিয়ে আমি কোর্টে যাব না। এটা আমার প্রাণের ক্লাব। আমি এখানেই আমার জীবন গড়েছি।"

    "বার্সা আমাকে সব দিয়েছে, আর আমি বার্সাকে সব নিংড়ে দিয়েছি। বার্সাকে নিয়ে আমি কোর্টে যাব এই কথা ভুলেও কোনোদিন আমার মাথায় আসেনি।"

    ২০১৭ সালে বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির চুক্তি অনুযায়ী শেষ বছরে (২০২০) স্বেচ্ছায় চুক্তি বাতিল করতে পারতেন মেসি। কিন্তু সেটি ক্লাবকে জানাতে হত ১০ জুনের আগে। আর মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার ব্যাপারে ব্যুরোফ্যাক্স পাঠিয়েছিলেন আগস্টের ২৪ তারিখ। মেসির আইনজীবিরা দাবি করেছিলেন করোনাভাইরাসের কারণে মৌসুমের সময়সূচী বদলে যাওয়ায় একক ইচ্ছায় চুক্তি বাতিলের শর্তটি বলবত আছে। আর বার্সা দাবি করেছিল, সেই সময় ১০ জুনেই ফুরিয়ে গেছে।