• মেসির দলবদল
  • " />

     

    বার্সেলোনা-মেসির বাবার বৈঠকের ফলাফল শূন্য, রামোসও চান মেসি থাকুন

    বার্সেলোনা-মেসির বাবার বৈঠকের ফলাফল শূন্য, রামোসও চান মেসি থাকুন    

    লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার ইচ্ছের কথা জানানোর পর থেকেই ক্লাবে তোলপাড় চলছে। ক্লাবে ব্যুরোফ্যাক্স পাঠানোর পর অবশেষে প্রথমবারের মতো বুধবার মেসির বাবা এবং এজেন্ট হোর্হে মেসির সঙ্গে আলোচনায় বসে বার্সেলোনা। তবে আলোচনায় কোনো সমাধানে আসতে পারেনি দুই পক্ষ। মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন, অন্যদিকে ক্লাবও রিলিজ ক্লজের গোঁ ধরে বসে আছে।


    বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ বৈঠকে মেসি বিক্রির জন্য নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ মেসিকে নিতে চাইলে রিলিজ ক্লজ শোধ করেই নিতে হবে। অপরদিকে, মেসির বাবা ছেলের ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথাই পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

    প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মেসির বাবার সঙ্গে ক্লাবের এই বৈঠক চলে। মেসির বাবা ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী মেসি প্রতিটি মৌসুমের শেষেই ফ্রি-তে ক্লাব ছাড়তে পারেন বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু ক্লাব ১০ জুন সেই ক্লজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখে। করোনাভাইরাসের কারণ মৌসুমের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই ক্লজও মৌসুমের শেষ পর্যন্ত থাকবে বলে মত মেসির প্রতিনিধিদের।

    ইএসপিএনের সূত্রমতে, বৈঠক কিছু মুহূর্তে বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল। কারণ কোনো পক্ষই নিজেদের অবস্থান থেকে এক চুলও নড়ছিল না। দুই পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরবর্তী বৈঠকের অবশ্য এখনো নির্ধারিত হয়নি।

    বৈঠকের আগেই দেপোর্তেস কুয়াত্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হোর্হে মেসি বলেছিলেন, “মেসির জন্য এখন বার্সেলোনায় থাকা বেশ কঠিন হবে।”


    এদিকে কঠিন এই সময়ে ‘চিরশত্রু’ রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে পাশে পাচ্ছেন মেসি। রামোসের মতে, “আমি মনে করি, মেসি তার ভবিষ্যতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অর্জন করেছে। আমি জানি না সে সেরা উপায়ে সেটা করছে কিনা। তবে অবশ্যই স্প্যানিশ ফুটবল, বার্সেলোনা এবং আমরা সবসময় সেরা হয়েই জিততে চাই। তাই আমরা চাই সে এখানেই থাকুক।”

    “লিও স্প্যানিশ লিগকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে, সে ক্লাসিকোকেও অনেক আকর্ষণীয় করেছে। আমরা সেরাদের সঙ্গে লড়াই করে জিততে পছন্দ করি আর সে বিশ্বের অন্যতম সেরা।”

    গত ২৫ আগস্ট ক্লাবকে ব্যুরোফ্যাক্স পাঠিয়ে ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছের কথা জানান মেসি। তারপর থেকে ক্রমেই জটিল হচ্ছে মেসি এবং বার্সেলোনার সম্পর্ক।